ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আওয়ামীপন্থী ৬০ জনকে বদলী করে বিএমডিএ’তে আওয়ামী ফ্যাসিবাদিদের পুনর্বাসন-সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ সাবেক ইডির বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টাসহ হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার। অটোচালক শাওন হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার। ব্রাহ্মণপাড়ায় একই বিদ্যালয়ের তিন কিশোর নিখোঁজ সাবেক ছাত্রলীগ সদস্য কাজী শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহারের দাবি, স্থানীয়দের ১১বিজিবির সফল অভিযানে ৯,৪৫০ ইয়াবা, সিএনজি, নগদ টাকা ও মোবাইলসহ আটক ১ গভীর নলকূপ অপারেটরের বিরুদ্ধে সেচ না দিয়ে ফসল মেরে ফেলার অভিযোগ হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ০৬ জন আসামীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।  কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রোগীর অভিভাবকের সাথে নার্স ইনচার্জের অশালীন আচরণ হত্যা মামলায় জড়িত কিশোর অপরাধীকে র‌্যাব ও র‌্যাব এর যৌথ অভিযানে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার।

আওয়ামীপন্থী ৬০ জনকে বদলী করে বিএমডিএ’তে আওয়ামী ফ্যাসিবাদিদের পুনর্বাসন-সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ সাবেক ইডির বিরুদ্ধে

আওয়ামীপন্থী ৬০ জনকে বদলী করে বিএমডিএ’তে আওয়ামী ফ্যাসিবাদিদের পুনর্বাসন-সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ সাবেক ইডির বিরুদ্ধে

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী বহুমুখি উন্নয়ণ কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) সাবেক নির্বাহী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ব্যপক অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে।

বিএমডিএ সূত্রে জানা যায়, কর্মক্ষেত্রে শফিকুল ইসলাম দূর্নীতি, অনুপস্থিতি, দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অদক্ষতা, বদলী বানিজ্য, নিয়ম বহিভর্ভূত কাজসহ আওয়ামীপন্থীদের সহযোগীতা, পুনর্বাসন ও ফ্যাসিবাদী নীতি অবলম্বন করে গেঔের এখনও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সরকারের উচ্চ পর্যায় হতে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য বিএমডিএ’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা তার শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

সূত্র মতে, মোঃ শফিকুল ইসলাম গত মে ২০২৫ বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। তিনি বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে ২০০৯ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুজ্জামান লিটনের ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন।

তিনি আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট হয়ে ২০১৫ সালে মেহেরপুর জেলার জেলা প্রশাসক নিযুক্ত হন। আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুজ্জামান লিটনের সুপারিশে তিনি রাজশাহী ওয়াসাতেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামীলীগের সাবেক মেয়রের সুপারিশে বিগত সরকারের মেয়াদে সর্বশেষ ১৪/০৭/২০২৪ তিনি বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর নির্বাহী পরিচালক (ইডি) হিসাবে যোগদান করেন।

রাজশাহী মহানগরের আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে ইডি শফিকুল ইসলামের রয়েছে গোপন শখ্যতা। বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের সময়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য রাজশাহীতে বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা করা হয়। তারই অংশ হিসাবে ৩ আগষ্ট ২০২৪ শফিকুল ইসলাম ফ্যাসিবাদীদের সাথে গোপন বৈঠক করেন যা স্থিরচিত্র দ্বারা প্রমানিত হয়।

স্থিরচিত্রে দেখা যায়, তিনি রাসিক সাবেক প্যানেল মেয়র শরিফুল ইসলাম বাবুর ব্যক্তিগত চেম্বারে মহানগর আ’লীগের নেতাদের সাথে গোপন বৈঠক করছেন। পরে তার নির্দেশে বিএমডিএর শ্রমিকলীগের কর্মচারীরা লাঠি-সোটা ও দেশীয় অস্ত্র হাতে মিছিল করে রাজশাহী মহানগরের সাহেব বাজার এলাকায় ৪ ও ৫ আগষ্ট হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংসতায় অংশ গ্রহণ করেন।

বৈষম্যবিরোধীদের ছাত্র/জনতার  আন্দোলন দমনে ফ্যাসিষ্ট সরকারের পক্ষে লাঠি মিছিলের স্থিরচিত্র হতে দেখা যায়, বিএমডিএ’র শ্রমিকলীগ রাজ-১৫০০ এর সেক্রেটারী সরাসরি ওই মিছিলে ইডি শফিকুলের নির্দেশে অংশগ্রহণ করেন। শফিকুলের নির্দেশে নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হুদা ফেসবুকে স্ট্র্যাটাস দিয়ে সরাসরি ৪ আগষ্টে মাঠে নামেন বলে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অভিযোগ। ৫ আগষ্টে ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন হলে বিএমডিএ’র সংস্কারপন্থী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দাবী-দাওয়া ইডি শফিকুল ইসলাম বারবার পদদলিত করতে থাকেন।

৫ আগষ্টের প্রায় দেড়-দুইমাস পরে সংস্কারপন্থী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দাবীর মুখে তিনি ৪ আগষ্টে ঘোষনা দিয়ে মাঠে নামা নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হুদাকে সদর দপ্তর হতে বদলী রংপুর সার্কেলে নিযুক্ত করেন। কিন্তু ইডি শফিকুল বিএমডিএ থেকে চলে যাওয়ার প্রাক্কালে নাজমুল হুদাকে লালমনিরহাট জেলার দায়িত্ব দিয়ে তাকে পুনর্বাসন করেন। আবার সংস্কারপন্থী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দাবীর মুখে লাঠি মিছিলের সামনের সারিতে স্থিরচিত্র দেখানোর পরেও শ্রমিকলীগ রাজ- ১৫০০ এর সেক্রেটারীকে ইডি শফিকুল কোন শাস্তি বা বদলী করেন নাই।

পরবর্তীতে বিএমডিএ’তে চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলে চেয়ারম্যানের অনুরোধে ইডি শফিকুল তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ডিসেম্বর মাসে শ্রমিকলীগের সেক্রেটারীকে বদলী করেন। আওয়ামীপন্থীদের সাথে গোপন আঁতাত থাকায় শফিকুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি এমনকি বদলী পর্যন্ত করেননি। বৈষম্যের শিকার সকল কর্মকর্তা/কর্মচারি বারবার দাবী জানালেও তিনি তার অবস্থানে অনড় থেকেছেন। এমনকি আওয়ামী মদদপুষ্ট শ্রমিকলীগ রাজ-১৫০০ কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি যিনি ৪ আগষ্ট লাঠি মিছিলের নেতৃত্ব দেন, তাকে ইডি শফিকুল তার নিজের ড্রাইভার হিসেবে (প্রধান কার্যালয়ে) বহাল রেখেছেন। ৩ আগষ্টে শফিকুল ইসলামের স্থিরচিত্র এবং বিএমডিএ’তে তে আওয়ামীপন্থীদের মদদ ও পুনর্বাসন করেছেন বলে অভিযোগ।

গত ১৪/০৭/২০২৪ বিএমডিএ’তে যোগদানের পরে শফিকুল ইসলাম বিএমডিএ’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারিগণকে সাথে নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং দূর্নীতিমুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কর্তৃপক্ষকে গড়ে তুলবে বলে সকলেই আশা করেন। কিন্তু ৫ আগষ্ট পট পরিবর্তনের পর দৃশ্যপট পাল্টে যায়।

কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা/কর্মচারী বিশেষ করে যারা বিগত ১৭/১৮ বছর বিভিন্নভাবে নির্যাতিত এবং বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের পক্ষে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বিগত ১৭/১৮ বছর যারা বিএমডিএ’তে রাম-রাজত্ব কায়েম করেছিল তাদের বহাল রাখা হয়। অবৈধ টেন্ডার এবং কোটেশন বাণিজ্য চলতেই থাকে। ট্রান্সফার-পোস্টিং, পদোন্নতি, মাস্টাররোল কর্মচারীদের নিয়োগ বাণিজ্য করে যারা কোটি কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তারপরও, এই ইডি  শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়া ব্যক্তিবর্গ, পতিত সরকারের সময় নিয়োগ প্রাপ্ত পিডি, অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নেওয়া কর্মকর্তা/কর্মচারী, ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরোধী মতাবলম্বী যারা ১৭/১৮ বছর ধরে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা এলাকায় কর্মরত রয়েছেন-তাদের বদলীর বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা গৃহিত হয়নি। এমনকি বিএমডিএ’র ৮৪তম বোর্ড সভায় বঞ্চিতদের বিষয়টি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহিত হলেও অজ্ঞাত কারণে ইডি নীরব ভূমিকা পালন করেন। তথ্য মতে, শফিকুল ইসলাম বিএমডিএতে থাকাকালীন সময়ে ০৯/১২/২০২৪ ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ৯৫ টি লটের বিপরীতে দরপত্র আহবান করা হয়।

২৩/১২/২০২৪ প্রকল্পের পিডি মোঃ শহীদুর রহমান স্বীকারোক্তি দেন, ইডি’র নির্দেশে তত্ত্ধসঢ়;ধসঢ়বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমানকে ৩০ টি লটের গোপন রেট দেয়া হয়েছে যা সম্পূর্নরূপে চাকরিবিধিমালার পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।


এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান, ইডিকে লিখিতভাবে ব্যাবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। 
অনিয়মের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকায় এবং ঠিকাদারদের রোষানলে পড়ায় বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে তড়িঘড়ি করে দরপত্র বাতিলের ব্যাবস্থা করেন। শফিকুল ইসলামের যোগশাজসে দরপত্র রেট কেনা- বেচা হওয়ার জের হিসেবে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হন এবং তা জাতীয় পত্রিকায় ফলাওভাবে প্রচারিত হয়।

২৩/০২/২০২৫ শফিকুল ইসলাম বিমডিএ হতে বদলী হওয়ার পর ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসরদের পুনর্বাসনের লক্ষে তড়িঘড়ি করে ১৩/০৩/২০২৫ ২টি আদেশে ২৫ জন এবং ১৮/০৩/২০২৫ ৪টি আদেশে ২৭ জন কর্মকর্তা/ কর্মচারিকে বদলী করেন। ২৩/০৩/২০২৫ দায়িত্ব হস্তান্তর করলেও তিনি অবৈধভাবে ৮/০৪/২০২৫ ৩ টি আদেশে ৬ জন এবং ০৯/০৪/২০২৫ ১ টি আদেশে ২ জনকে বদলী করেণ। বদলী/দায়িত্ব হস্তান্তরের পরেও নির্বাহী পরিচালকের ব্যাপকভাবে এরকম ৬০ জন কর্মকর্তা/কর্মচারিকে বদলী করা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং চাকরি বিধিমালার পরিপন্থী।


এছাড়া আওয়ামীপন্থীদের পছন্দের জায়গায় পুনর্বাসন করতেই তিনি এই সকল বদলী করেছেন বিএমডিএ সূত্রে জানা যায়। 
মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড এ শফিকুল ইসলামকে পদায়ন/বদলি আদেশ করা সত্তে¡ও তিনি আওয়ামী মদদপুষ্ট ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিরুল ইসলাম (তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী) কে পুরস্কৃত করার উদ্দেশ্যে বিএমডিএ’র রাজশাহী সার্কেলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে ১৮/০৩/২০২৫ বদলির আদেশ জারী করেন। অথচ নাজিরুল ইসলাম গত সরকারের আমলে অনুমোদিত ২৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।

উল্লেখ্য যে, নাজিরুল ইসলাম গত  সরকারের আমলে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের আস্থাভাজন হিসেবে ৩ টি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইতিপূর্বে তার বিভিন্ন প্ধসঢ় ধসঢ়র্র কল্পের অনিয়মের চিত্র সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।

৫ আগষ্টের পরে বদলী হওয়া আওয়ামী মদদপুষ্ট ও খায়রুজ্জামান লিটনের আস্থাভাজন এবং বিএমডিএ’র স্বীকৃত দূর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম এবং নাজমুল হুদাকে ০৮/০৪/২০২৫ বদলী করে তাদেরকে পুনর্বাসন ও পুরর্স্কত করেন। বিএমডিএ তে থাকাকালীন সময়ে শফিকুল ইসলাম অর্ধ দিবসের (বেলা ১১টা হতে দুপুর ১.৩০ পর্যন্ত) বেশি সময় অফিসে বসেন না, বিভিন্ন অজুহাতে প্রায়শঃ অফিসে অনুপস্থিত থাকতেন। অথচ ফসল উৎপাদনে সেচ অত্যন্ত জরুরি হওয়ায় সেচ মৌসুমে কর্তৃপক্ষের প্রায় সকল কর্মকর্তা/কর্মচারির ছুটি বাতিল করে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেচের সার্বিক কাজ সম্পন্ন করে ফসল রক্ষার চেষ্টা করা হয়। তার যোগদান করা প্রায় ০৮/০৯ মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি অদ্যাবধী মাঠ পর্যায়ের কোন অফিস পরিদর্শন করেননি বা কর্তৃপক্ষের সেচ কার্যক্রম নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারির সঙ্গে ভাল-মন্দ আলাপ করেননি।


এছাড়া নির্বাহী পরিচালক হয়েও তিনি কর্তৃপক্ষের কোন সভায় এ উপস্থিত থাকেন না।
 যোগদানের পর অত্র কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা/কর্মচারি নিয়ে তিনি কোন মাসিক সভা, আলোচনা সভা বা কোন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেননি। কর্তৃপক্ষে চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ার পর চেয়ারম্যানের অনুরোধে মাসিক সভা, বার্ষিক সভাসহ অন্যান্য সভা আয়োজিত হলেও তিনি কোন একটি সভা বা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেননি।

বিএমডিএ’র তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, যিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের রাজশাহী অঞ্চলের চাকরি বিষয়ক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের মনোনিত আইইবি রাজশাহী কেন্দ্রের সদস্য। তিনি নির্বাহী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলামের বন্ধু ও পরমর্শদাতা ও কুটকৌশলের হোতা। নির্বাহী পরিচালক দিনে যে ২/৩ ঘন্টা অফিস করেন তার ৯০% সময় তার সাথে ব্যয় করেন।


(ইডি) শফিকুল ইসলাম ছাত্র জিবনে সরাসরি ছাত্র ইউনিয়নের এবং পরবর্তীতে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। 
অফিস কক্ষে ধূমপানের জন্য তার আলাদা স্মোকিং জোন রয়েছে। ওই স্মোকিং জোনে জুনিয়র কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও শিবির আহমেদসহ ধূমপান করেন। এছাড়াও বিএমডিএ’তে থাকাকালীন সময়ে তিনি ডাবল লিফটিং, হাই ভ্যালু ক্রপ এবং অন্যান্য প্রকল্প হতে বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করেন।


দারুশা এলাকায় পুকুর পুনঃখনন করে সেই মাটি দিয়ে তার নীচু জমি ভরাট করেন, 
তার শিরোইল বাসার ছাদে ঠিকাদার সম্ধসঢ়;্রাটকে দিয়ে চিলেকোঠা তৈরি, ছাদবাগান এবং সৌন্দর্যবৃদ্ধি কাজ করেন। এছাড়াও ডাবল লিফটিং প্রকল্পের ৭০ কোটি টাকার পাইপ সরবরাহের টেন্ডারে  আরএফএল কোম্পানি হতে তিনি একটি ১কোটি টাকার ব্রান্ড নিউ গাড়ি নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সার্বিক অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে, বিএমডিএর সাবেক নির্বাহী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, নিময় ও বিধি অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্য ভিত্তিহীন বলেও জানান তিনি।

 

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামীপন্থী ৬০ জনকে বদলী করে বিএমডিএ’তে আওয়ামী ফ্যাসিবাদিদের পুনর্বাসন-সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ সাবেক ইডির বিরুদ্ধে

আওয়ামীপন্থী ৬০ জনকে বদলী করে বিএমডিএ’তে আওয়ামী ফ্যাসিবাদিদের পুনর্বাসন-সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ সাবেক ইডির বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ০১:০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী বহুমুখি উন্নয়ণ কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) সাবেক নির্বাহী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ব্যপক অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে।

বিএমডিএ সূত্রে জানা যায়, কর্মক্ষেত্রে শফিকুল ইসলাম দূর্নীতি, অনুপস্থিতি, দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অদক্ষতা, বদলী বানিজ্য, নিয়ম বহিভর্ভূত কাজসহ আওয়ামীপন্থীদের সহযোগীতা, পুনর্বাসন ও ফ্যাসিবাদী নীতি অবলম্বন করে গেঔের এখনও তিনি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সরকারের উচ্চ পর্যায় হতে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য বিএমডিএ’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা তার শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

সূত্র মতে, মোঃ শফিকুল ইসলাম গত মে ২০২৫ বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। তিনি বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে ২০০৯ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুজ্জামান লিটনের ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন।

তিনি আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট হয়ে ২০১৫ সালে মেহেরপুর জেলার জেলা প্রশাসক নিযুক্ত হন। আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুজ্জামান লিটনের সুপারিশে তিনি রাজশাহী ওয়াসাতেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামীলীগের সাবেক মেয়রের সুপারিশে বিগত সরকারের মেয়াদে সর্বশেষ ১৪/০৭/২০২৪ তিনি বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর নির্বাহী পরিচালক (ইডি) হিসাবে যোগদান করেন।

রাজশাহী মহানগরের আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে ইডি শফিকুল ইসলামের রয়েছে গোপন শখ্যতা। বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের সময়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য রাজশাহীতে বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা করা হয়। তারই অংশ হিসাবে ৩ আগষ্ট ২০২৪ শফিকুল ইসলাম ফ্যাসিবাদীদের সাথে গোপন বৈঠক করেন যা স্থিরচিত্র দ্বারা প্রমানিত হয়।

স্থিরচিত্রে দেখা যায়, তিনি রাসিক সাবেক প্যানেল মেয়র শরিফুল ইসলাম বাবুর ব্যক্তিগত চেম্বারে মহানগর আ’লীগের নেতাদের সাথে গোপন বৈঠক করছেন। পরে তার নির্দেশে বিএমডিএর শ্রমিকলীগের কর্মচারীরা লাঠি-সোটা ও দেশীয় অস্ত্র হাতে মিছিল করে রাজশাহী মহানগরের সাহেব বাজার এলাকায় ৪ ও ৫ আগষ্ট হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংসতায় অংশ গ্রহণ করেন।

বৈষম্যবিরোধীদের ছাত্র/জনতার  আন্দোলন দমনে ফ্যাসিষ্ট সরকারের পক্ষে লাঠি মিছিলের স্থিরচিত্র হতে দেখা যায়, বিএমডিএ’র শ্রমিকলীগ রাজ-১৫০০ এর সেক্রেটারী সরাসরি ওই মিছিলে ইডি শফিকুলের নির্দেশে অংশগ্রহণ করেন। শফিকুলের নির্দেশে নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হুদা ফেসবুকে স্ট্র্যাটাস দিয়ে সরাসরি ৪ আগষ্টে মাঠে নামেন বলে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অভিযোগ। ৫ আগষ্টে ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন হলে বিএমডিএ’র সংস্কারপন্থী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দাবী-দাওয়া ইডি শফিকুল ইসলাম বারবার পদদলিত করতে থাকেন।

৫ আগষ্টের প্রায় দেড়-দুইমাস পরে সংস্কারপন্থী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দাবীর মুখে তিনি ৪ আগষ্টে ঘোষনা দিয়ে মাঠে নামা নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হুদাকে সদর দপ্তর হতে বদলী রংপুর সার্কেলে নিযুক্ত করেন। কিন্তু ইডি শফিকুল বিএমডিএ থেকে চলে যাওয়ার প্রাক্কালে নাজমুল হুদাকে লালমনিরহাট জেলার দায়িত্ব দিয়ে তাকে পুনর্বাসন করেন। আবার সংস্কারপন্থী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দাবীর মুখে লাঠি মিছিলের সামনের সারিতে স্থিরচিত্র দেখানোর পরেও শ্রমিকলীগ রাজ- ১৫০০ এর সেক্রেটারীকে ইডি শফিকুল কোন শাস্তি বা বদলী করেন নাই।

পরবর্তীতে বিএমডিএ’তে চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলে চেয়ারম্যানের অনুরোধে ইডি শফিকুল তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ডিসেম্বর মাসে শ্রমিকলীগের সেক্রেটারীকে বদলী করেন। আওয়ামীপন্থীদের সাথে গোপন আঁতাত থাকায় শফিকুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি এমনকি বদলী পর্যন্ত করেননি। বৈষম্যের শিকার সকল কর্মকর্তা/কর্মচারি বারবার দাবী জানালেও তিনি তার অবস্থানে অনড় থেকেছেন। এমনকি আওয়ামী মদদপুষ্ট শ্রমিকলীগ রাজ-১৫০০ কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি যিনি ৪ আগষ্ট লাঠি মিছিলের নেতৃত্ব দেন, তাকে ইডি শফিকুল তার নিজের ড্রাইভার হিসেবে (প্রধান কার্যালয়ে) বহাল রেখেছেন। ৩ আগষ্টে শফিকুল ইসলামের স্থিরচিত্র এবং বিএমডিএ’তে তে আওয়ামীপন্থীদের মদদ ও পুনর্বাসন করেছেন বলে অভিযোগ।

গত ১৪/০৭/২০২৪ বিএমডিএ’তে যোগদানের পরে শফিকুল ইসলাম বিএমডিএ’র সর্বস্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারিগণকে সাথে নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং দূর্নীতিমুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কর্তৃপক্ষকে গড়ে তুলবে বলে সকলেই আশা করেন। কিন্তু ৫ আগষ্ট পট পরিবর্তনের পর দৃশ্যপট পাল্টে যায়।

কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা/কর্মচারী বিশেষ করে যারা বিগত ১৭/১৮ বছর বিভিন্নভাবে নির্যাতিত এবং বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের পক্ষে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বিগত ১৭/১৮ বছর যারা বিএমডিএ’তে রাম-রাজত্ব কায়েম করেছিল তাদের বহাল রাখা হয়। অবৈধ টেন্ডার এবং কোটেশন বাণিজ্য চলতেই থাকে। ট্রান্সফার-পোস্টিং, পদোন্নতি, মাস্টাররোল কর্মচারীদের নিয়োগ বাণিজ্য করে যারা কোটি কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তারপরও, এই ইডি  শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়া ব্যক্তিবর্গ, পতিত সরকারের সময় নিয়োগ প্রাপ্ত পিডি, অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নেওয়া কর্মকর্তা/কর্মচারী, ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরোধী মতাবলম্বী যারা ১৭/১৮ বছর ধরে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা এলাকায় কর্মরত রয়েছেন-তাদের বদলীর বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা গৃহিত হয়নি। এমনকি বিএমডিএ’র ৮৪তম বোর্ড সভায় বঞ্চিতদের বিষয়টি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহিত হলেও অজ্ঞাত কারণে ইডি নীরব ভূমিকা পালন করেন। তথ্য মতে, শফিকুল ইসলাম বিএমডিএতে থাকাকালীন সময়ে ০৯/১২/২০২৪ ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ৯৫ টি লটের বিপরীতে দরপত্র আহবান করা হয়।

২৩/১২/২০২৪ প্রকল্পের পিডি মোঃ শহীদুর রহমান স্বীকারোক্তি দেন, ইডি’র নির্দেশে তত্ত্ধসঢ়;ধসঢ়বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমানকে ৩০ টি লটের গোপন রেট দেয়া হয়েছে যা সম্পূর্নরূপে চাকরিবিধিমালার পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।


এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান, ইডিকে লিখিতভাবে ব্যাবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। 
অনিয়মের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকায় এবং ঠিকাদারদের রোষানলে পড়ায় বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে তড়িঘড়ি করে দরপত্র বাতিলের ব্যাবস্থা করেন। শফিকুল ইসলামের যোগশাজসে দরপত্র রেট কেনা- বেচা হওয়ার জের হিসেবে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হন এবং তা জাতীয় পত্রিকায় ফলাওভাবে প্রচারিত হয়।

২৩/০২/২০২৫ শফিকুল ইসলাম বিমডিএ হতে বদলী হওয়ার পর ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোসরদের পুনর্বাসনের লক্ষে তড়িঘড়ি করে ১৩/০৩/২০২৫ ২টি আদেশে ২৫ জন এবং ১৮/০৩/২০২৫ ৪টি আদেশে ২৭ জন কর্মকর্তা/ কর্মচারিকে বদলী করেন। ২৩/০৩/২০২৫ দায়িত্ব হস্তান্তর করলেও তিনি অবৈধভাবে ৮/০৪/২০২৫ ৩ টি আদেশে ৬ জন এবং ০৯/০৪/২০২৫ ১ টি আদেশে ২ জনকে বদলী করেণ। বদলী/দায়িত্ব হস্তান্তরের পরেও নির্বাহী পরিচালকের ব্যাপকভাবে এরকম ৬০ জন কর্মকর্তা/কর্মচারিকে বদলী করা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং চাকরি বিধিমালার পরিপন্থী।


এছাড়া আওয়ামীপন্থীদের পছন্দের জায়গায় পুনর্বাসন করতেই তিনি এই সকল বদলী করেছেন বিএমডিএ সূত্রে জানা যায়। 
মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড এ শফিকুল ইসলামকে পদায়ন/বদলি আদেশ করা সত্তে¡ও তিনি আওয়ামী মদদপুষ্ট ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিরুল ইসলাম (তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী) কে পুরস্কৃত করার উদ্দেশ্যে বিএমডিএ’র রাজশাহী সার্কেলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে ১৮/০৩/২০২৫ বদলির আদেশ জারী করেন। অথচ নাজিরুল ইসলাম গত সরকারের আমলে অনুমোদিত ২৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন।

উল্লেখ্য যে, নাজিরুল ইসলাম গত  সরকারের আমলে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের আস্থাভাজন হিসেবে ৩ টি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইতিপূর্বে তার বিভিন্ন প্ধসঢ় ধসঢ়র্র কল্পের অনিয়মের চিত্র সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।

৫ আগষ্টের পরে বদলী হওয়া আওয়ামী মদদপুষ্ট ও খায়রুজ্জামান লিটনের আস্থাভাজন এবং বিএমডিএ’র স্বীকৃত দূর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম এবং নাজমুল হুদাকে ০৮/০৪/২০২৫ বদলী করে তাদেরকে পুনর্বাসন ও পুরর্স্কত করেন। বিএমডিএ তে থাকাকালীন সময়ে শফিকুল ইসলাম অর্ধ দিবসের (বেলা ১১টা হতে দুপুর ১.৩০ পর্যন্ত) বেশি সময় অফিসে বসেন না, বিভিন্ন অজুহাতে প্রায়শঃ অফিসে অনুপস্থিত থাকতেন। অথচ ফসল উৎপাদনে সেচ অত্যন্ত জরুরি হওয়ায় সেচ মৌসুমে কর্তৃপক্ষের প্রায় সকল কর্মকর্তা/কর্মচারির ছুটি বাতিল করে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সেচের সার্বিক কাজ সম্পন্ন করে ফসল রক্ষার চেষ্টা করা হয়। তার যোগদান করা প্রায় ০৮/০৯ মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি অদ্যাবধী মাঠ পর্যায়ের কোন অফিস পরিদর্শন করেননি বা কর্তৃপক্ষের সেচ কার্যক্রম নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারির সঙ্গে ভাল-মন্দ আলাপ করেননি।


এছাড়া নির্বাহী পরিচালক হয়েও তিনি কর্তৃপক্ষের কোন সভায় এ উপস্থিত থাকেন না।
 যোগদানের পর অত্র কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা/কর্মচারি নিয়ে তিনি কোন মাসিক সভা, আলোচনা সভা বা কোন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেননি। কর্তৃপক্ষে চেয়ারম্যান নিযুক্ত হওয়ার পর চেয়ারম্যানের অনুরোধে মাসিক সভা, বার্ষিক সভাসহ অন্যান্য সভা আয়োজিত হলেও তিনি কোন একটি সভা বা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেননি।

বিএমডিএ’র তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, যিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের রাজশাহী অঞ্চলের চাকরি বিষয়ক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের মনোনিত আইইবি রাজশাহী কেন্দ্রের সদস্য। তিনি নির্বাহী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলামের বন্ধু ও পরমর্শদাতা ও কুটকৌশলের হোতা। নির্বাহী পরিচালক দিনে যে ২/৩ ঘন্টা অফিস করেন তার ৯০% সময় তার সাথে ব্যয় করেন।


(ইডি) শফিকুল ইসলাম ছাত্র জিবনে সরাসরি ছাত্র ইউনিয়নের এবং পরবর্তীতে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। 
অফিস কক্ষে ধূমপানের জন্য তার আলাদা স্মোকিং জোন রয়েছে। ওই স্মোকিং জোনে জুনিয়র কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও শিবির আহমেদসহ ধূমপান করেন। এছাড়াও বিএমডিএ’তে থাকাকালীন সময়ে তিনি ডাবল লিফটিং, হাই ভ্যালু ক্রপ এবং অন্যান্য প্রকল্প হতে বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করেন।


দারুশা এলাকায় পুকুর পুনঃখনন করে সেই মাটি দিয়ে তার নীচু জমি ভরাট করেন, 
তার শিরোইল বাসার ছাদে ঠিকাদার সম্ধসঢ়;্রাটকে দিয়ে চিলেকোঠা তৈরি, ছাদবাগান এবং সৌন্দর্যবৃদ্ধি কাজ করেন। এছাড়াও ডাবল লিফটিং প্রকল্পের ৭০ কোটি টাকার পাইপ সরবরাহের টেন্ডারে  আরএফএল কোম্পানি হতে তিনি একটি ১কোটি টাকার ব্রান্ড নিউ গাড়ি নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সার্বিক অনিয়ম ও দূর্ণীতির বিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে, বিএমডিএর সাবেক নির্বাহী পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, নিময় ও বিধি অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্য ভিত্তিহীন বলেও জানান তিনি।