ঢাকা , বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মানব পাচার মামলার আসামী শওকত যশোরের বাঘারপাড়ায় র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার। ময়মনসিংহ নগরীর রহমতপুরে শব্দদুষণ করায় ৩ টি গাড়িত ৪০০০ টাকা জরিমানা বাকেরগঞ্জে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা  সাপাহারে সীমান্তে টিকটক করতে গিয়ে দুজন ছাত্র আটক। উল্লাপাড়ায় জামায়াতের কর্মীসভায় নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা তানোর গোল্লাপাড়া বাজারে অভিনব কায়দায় এক রাতে ৫ দোকানে চুরি মাসুদ খানকে ভরপাশার ৫নং ওয়ার্ডে সভাপতি পদে দেখতে চায় বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা”নব্য বিএনপির মাথা নস্ট! পিরোজপুরের না‌জিরপু‌রে জমি দখল করে চলছে অবৈধ গ্যাস কারখানা পিরোজপুরের নাজিরপুরে ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার বদরগঞ্জে বিএনপি নেতা লাভলু মিয়া হত্যার জড়িত প্রমান করাতে পারলে এক লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করলেন সরোয়ার জাহান মানিক। 

কাউখালীতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ গাইড বই বিক্রি হচ্ছে 

কাউখালীতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ গাইড বই বিক্রি হচ্ছে 

 

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি। 
পিরোজপুরের কাউখালীতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গাইড বই ছাড়া সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের বই শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় কম। এদিকে অধিক মূল্যর গাইড বই কিনতে অধিকাংশ অভিভাবকরা হিমশিম খাচ্ছেন।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার সমূহে শিক্ষার্থীদের গাইড বই পড়ানো হয়। সরকারের দেওয়া বই পড়ানো হয় কম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। একশ্রেণীর শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের গাইড কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন। মাধ্যমিক স্তরে শ্রেণীভেদে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে এক সেট গাইড বই কিনতে হয়। মাদ্রাসার স্তরে নবম থেকে দশম শ্রেণীতে ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায় গাইড বই কিনতে হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৫০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকায় গাইড বই বিক্রি হচ্ছে। প্রাথমিক শাখায় শিক্ষকদের পছন্দের বই হল লেকচার, পাঞ্জেরী, পপি ও টিচার্স, মাধ্যমিক শাখায় লেকচার ও পাঞ্জেরী।
উপজেলার দাসেরকাঠি গ্রামের অভিভাবক এনায়েত হোসেন, শিয়াল কাঠি গ্রামের অভিভাবক সারোয়ার হোসেন, আমরাজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা কুলসুম বেগম বলেন, শিক্ষকরা সরকারি বইয়ের গুরুত্ব কম দিয়ে গাইড বই পড়াতে বেশি অভ্যস্ত।
অধিকাংশ অভিভাবকরা জানান, শিক্ষকরা কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের বলেন গাইড বইয়ে পড়া সহজ যা তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে তাই তোমরা গাইড বই পড়ো। অভিভাবকরা আরও জানান শিক্ষকরা তাদের পছন্দের কোম্পানির গাইড বইয়ের তালিকা হাতে ধরিয়ে দেন। এখানে ছাত্র অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অসহায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন, গাইড বই কেনাবেচা আইনত নিষিদ্ধ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাইড বই পড়ানো যাবেনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হইবে। এবং অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মানব পাচার মামলার আসামী শওকত যশোরের বাঘারপাড়ায় র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার।

কাউখালীতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ গাইড বই বিক্রি হচ্ছে 

আপডেট সময় ০৩:৩৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

 

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি। 
পিরোজপুরের কাউখালীতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গাইড বই ছাড়া সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের বই শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় কম। এদিকে অধিক মূল্যর গাইড বই কিনতে অধিকাংশ অভিভাবকরা হিমশিম খাচ্ছেন।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার সমূহে শিক্ষার্থীদের গাইড বই পড়ানো হয়। সরকারের দেওয়া বই পড়ানো হয় কম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। একশ্রেণীর শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের গাইড কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন। মাধ্যমিক স্তরে শ্রেণীভেদে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে এক সেট গাইড বই কিনতে হয়। মাদ্রাসার স্তরে নবম থেকে দশম শ্রেণীতে ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায় গাইড বই কিনতে হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৫০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকায় গাইড বই বিক্রি হচ্ছে। প্রাথমিক শাখায় শিক্ষকদের পছন্দের বই হল লেকচার, পাঞ্জেরী, পপি ও টিচার্স, মাধ্যমিক শাখায় লেকচার ও পাঞ্জেরী।
উপজেলার দাসেরকাঠি গ্রামের অভিভাবক এনায়েত হোসেন, শিয়াল কাঠি গ্রামের অভিভাবক সারোয়ার হোসেন, আমরাজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা কুলসুম বেগম বলেন, শিক্ষকরা সরকারি বইয়ের গুরুত্ব কম দিয়ে গাইড বই পড়াতে বেশি অভ্যস্ত।
অধিকাংশ অভিভাবকরা জানান, শিক্ষকরা কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের বলেন গাইড বইয়ে পড়া সহজ যা তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে তাই তোমরা গাইড বই পড়ো। অভিভাবকরা আরও জানান শিক্ষকরা তাদের পছন্দের কোম্পানির গাইড বইয়ের তালিকা হাতে ধরিয়ে দেন। এখানে ছাত্র অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অসহায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন, গাইড বই কেনাবেচা আইনত নিষিদ্ধ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাইড বই পড়ানো যাবেনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হইবে। এবং অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।