ঢাকা , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হিজলায় ৬টি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের আগমন: পরিদর্শনে যাচ্ছেন মৌলবির হাট লঞ্চ ঘাট বরিশালের হত্যা মামলার আসামী ঢাকা থেকে আটক। ময়নামতি ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল ১১% ডেলিগেট থাকায় ঘোষনা হয়নি কমিটি! রাজশাহীর ২ সাবেক চেয়ারম্যানের দেশ ত্যাগে নিষেধ  গোপালগঞ্জে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস ২০২৫ পালতি। র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন-স্ত্রী সুস্মিতার বিচারের দাবী গোপালগঞ্জ বাসীর।  অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী শাহীন কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ২৮৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ০১ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। দেবীগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থীসহ দুই জনের মৃত্যু গনহত্যার বিচার ও আ.লীগ নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না- নাটোরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি।

ধর্মীয় ও পারিবারিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নারী সংস্কার নীতিমালা প্রণয়নের দাবি

ধর্মীয় ও পারিবারিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নারী সংস্কার নীতিমালা প্রণয়নের দাবি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত সুপারিশ বাতিল সহ নারী সংস্কার কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে সম্মিলিত নারী প্রয়াসের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (০৮ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ধর্মীয় ও পারিবারিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নারী সংস্কার নীতিমালা’ প্রণয়নের জন্য ইসলামিক স্কলারদের নেতৃত্বে সব ধর্মের প্রতিনিধির সমন্বয়ে নতুন নারী সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি জানান।

সম্মিলিত নারী প্রয়াসের সভানেত্রী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনীম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রী, মানবাধিকার কর্মী সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন।

মানববন্ধনে সম্মিলিত নারী প্রয়াসের সেক্রেটারি লালমাটিয়া মহিলা কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরা খানম বলেন, নারী কমিশনের চেয়ারম্যান স্পষ্ট বলেছেন তিনি কোন মুসলিম নারী স্কলারকে সংস্কারকাজে সহায়তা করার প্রয়োজনীয়তা মনে করেননি!

তাহলে এই সংস্কার কার জন্য প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, নারী সমাজ এই সংস্কার সুপারিশ প্রত্যাখান করছে। অনতিবিলম্বে নতুন কমিশন গঠন করে ধর্মীয় ও পারিবারিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নারী সংস্কার নীতিমালা করতে হবে।

তিনি নারী সংস্কার কমিশনের ১০ সদস্যকে তাদের মা-বোন ও কন্যাকে নিয়ে যৌন শ্রমিক হিসেবে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, দেখুন যৌন শ্রমিক হিসেবে আপনি বেশি মর্যাদাশীল নাকি একজন নারী হিসেবে বেশি সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী। অবশ্যই একজন নারী পতিতালয়ে গিয়ে লাঞ্ছিত ও অপমানিত এবং জুলুমের শিকার হয়।

নারী বিষয়ক কমিশন, পাবর্ত্য চট্টগ্রামের সীমানা ও নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব করে কমিশনের মূল দায়িত্ব থেকে সরে রাষ্ট্র বিরোধী কাজ করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের কাজ রাষ্ট্রের সীমানা নির্ধারনের নামে বিভাজন সৃষ্টি করা নয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহীন আরা আনওয়ারী বলেন, যৌনকর্মীদের শ্রমিকের স্বীকৃতি দেওয়া মানে হচ্ছে পুরো সমাজের অধিবাসীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলা। গনোরিয়া, সিলবিস, এইডসের মতো ভয়াবহ ব্যাধী মারাত্মক রূপ ধারণ করবে। নৈতিকতার অবজ্ঞা ঘটবে। তাই তিনি বিজ্ঞানময় কুরআনের নীতিমালায় নারী সংস্কার নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান।

যৌনকর্ম নয়তো পেশা, সে-তো সমাজ নষ্টের নেশা স্লোগানে নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাখান করে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত নারী প্রয়াসের সহকারী সেক্রেটারি সাহেল মোস্তারী, সম্মিলিত নারী প্রয়াসের সদস্য যথাক্রমে তাহমিনা আক্তার সুরমা, নুসরাত জাহান লিজা, হেলেনা আক্তার লাকি, নাদিয়া বিনতে মাহতাব প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ হচ্ছে পুরুষকে নারীর প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো। অথচ পুরুষ নারীর প্রতিপক্ষ নয়, নারী পুরুষের পরিপূরক। কোন ধর্ম নারীর প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি করেনি বরং নারীকে সম্মানিত ও মর্যাদাশীল করেছে। ইসলাম নারীদের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও মর্যাদার দায়িত্ব পুরুষের উপর দিয়ে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। ধর্মীয় ও পারিবারিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নারী সংস্কার নীতিমালা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্য কোন পন্থায় নারী সংস্কার নীতিমালা করা হলে সেটা নারীদের জন্য কল্যাণকর হবে না। বরং সমাজে অপরাধ প্রবনতা বাড়বে, নৈতিকতার অবজ্ঞা ঘটবে।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

হিজলায় ৬টি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের আগমন: পরিদর্শনে যাচ্ছেন মৌলবির হাট লঞ্চ ঘাট

ধর্মীয় ও পারিবারিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নারী সংস্কার নীতিমালা প্রণয়নের দাবি

আপডেট সময় ১১:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত সুপারিশ বাতিল সহ নারী সংস্কার কমিশন পুনর্গঠনের দাবিতে সম্মিলিত নারী প্রয়াসের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (০৮ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ধর্মীয় ও পারিবারিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নারী সংস্কার নীতিমালা’ প্রণয়নের জন্য ইসলামিক স্কলারদের নেতৃত্বে সব ধর্মের প্রতিনিধির সমন্বয়ে নতুন নারী সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি জানান।

সম্মিলিত নারী প্রয়াসের সভানেত্রী শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনীম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রী, মানবাধিকার কর্মী সহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন।

মানববন্ধনে সম্মিলিত নারী প্রয়াসের সেক্রেটারি লালমাটিয়া মহিলা কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরা খানম বলেন, নারী কমিশনের চেয়ারম্যান স্পষ্ট বলেছেন তিনি কোন মুসলিম নারী স্কলারকে সংস্কারকাজে সহায়তা করার প্রয়োজনীয়তা মনে করেননি!

তাহলে এই সংস্কার কার জন্য প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, নারী সমাজ এই সংস্কার সুপারিশ প্রত্যাখান করছে। অনতিবিলম্বে নতুন কমিশন গঠন করে ধর্মীয় ও পারিবারিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নারী সংস্কার নীতিমালা করতে হবে।

তিনি নারী সংস্কার কমিশনের ১০ সদস্যকে তাদের মা-বোন ও কন্যাকে নিয়ে যৌন শ্রমিক হিসেবে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, দেখুন যৌন শ্রমিক হিসেবে আপনি বেশি মর্যাদাশীল নাকি একজন নারী হিসেবে বেশি সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী। অবশ্যই একজন নারী পতিতালয়ে গিয়ে লাঞ্ছিত ও অপমানিত এবং জুলুমের শিকার হয়।

নারী বিষয়ক কমিশন, পাবর্ত্য চট্টগ্রামের সীমানা ও নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব করে কমিশনের মূল দায়িত্ব থেকে সরে রাষ্ট্র বিরোধী কাজ করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের কাজ রাষ্ট্রের সীমানা নির্ধারনের নামে বিভাজন সৃষ্টি করা নয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহীন আরা আনওয়ারী বলেন, যৌনকর্মীদের শ্রমিকের স্বীকৃতি দেওয়া মানে হচ্ছে পুরো সমাজের অধিবাসীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলা। গনোরিয়া, সিলবিস, এইডসের মতো ভয়াবহ ব্যাধী মারাত্মক রূপ ধারণ করবে। নৈতিকতার অবজ্ঞা ঘটবে। তাই তিনি বিজ্ঞানময় কুরআনের নীতিমালায় নারী সংস্কার নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান।

যৌনকর্ম নয়তো পেশা, সে-তো সমাজ নষ্টের নেশা স্লোগানে নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রত্যাখান করে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত নারী প্রয়াসের সহকারী সেক্রেটারি সাহেল মোস্তারী, সম্মিলিত নারী প্রয়াসের সদস্য যথাক্রমে তাহমিনা আক্তার সুরমা, নুসরাত জাহান লিজা, হেলেনা আক্তার লাকি, নাদিয়া বিনতে মাহতাব প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে ড. শামীমা তাসনিম বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ হচ্ছে পুরুষকে নারীর প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো। অথচ পুরুষ নারীর প্রতিপক্ষ নয়, নারী পুরুষের পরিপূরক। কোন ধর্ম নারীর প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি করেনি বরং নারীকে সম্মানিত ও মর্যাদাশীল করেছে। ইসলাম নারীদের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও মর্যাদার দায়িত্ব পুরুষের উপর দিয়ে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। ধর্মীয় ও পারিবারিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে নারী সংস্কার নীতিমালা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্য কোন পন্থায় নারী সংস্কার নীতিমালা করা হলে সেটা নারীদের জন্য কল্যাণকর হবে না। বরং সমাজে অপরাধ প্রবনতা বাড়বে, নৈতিকতার অবজ্ঞা ঘটবে।