ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সাংগঠনিক সভা রাজস্থলীতে কুমিল্লায় বন‍্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৭০টি সরকারি বসতঘর হস্তান্তর। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সকল শ্রমিকদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ জহিরুল কাইয়ুম  বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমান ভারতীয় অবৈধ মালামাল জব্দ ব্রাহ্মণপাড়ায় মাওলানা রইস উদ্দিন এর নির্মম হত্যাকান্ডে দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ব্রাহ্মণপাড়ায় বিভিন্ন যানবাহনে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা মহান মে দিবসে সকল মেহনতী মানুষকে.কর্ণেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আনোয়ার হোসেন’র শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন নওগাঁর মান্দায় স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে করে ভাইরাল অতঃপর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবশেষে ধর্ষণের মামলা গোদাগাড়ীতে ১০ লাখ টাকার হেরোইন-সহ গ্রেফতার মাদক কারবারী ফারুক বাইশারী শাহ নুরুদ্দীন দাখিল মাদ্রাসার এডহক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

নওগাঁয় অভিযোগ দিতে গিয়ে থানা হাজতে দুই ভুক্তভোগী!অপরদিকে মান্দায় একই ঘটনা 

নওগাঁয় অভিযোগ দিতে গিয়ে থানা হাজতে দুই ভুক্তভোগী!অপরদিকে মান্দায় একই ঘটনা 

 

 

 

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ সদর উপজেলার তিলেকপুর ইউনিয়নে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে থানায় অভিযোগ দিতে গিয়ে দুই ব্যক্তি হাজতে গেলেন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার তিলেকপুর ইউনিয়নের মৃত ইসমাইল মন্ডলের ছেলে মো.খাজা উদ্দিন (৫৮) এবং তার ছেলে মো. নাদিম হোসেন (২৩) নওগাঁ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তাদের আটক করে হাজতে নিয়ে যায়।
আরো তথ্য নিয়ে জানা গেছে, নওগাঁর মান্দা উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত মজিবর মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম গত, ২ সপ্তাহ আগে মান্দা থানায় প্রতিপক্ষের নামে অভিযোগ করতে গেলে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিযোগ কারী রফিকুল ইসলামকে থানায় আটক রেখে উল্টো মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাদের বিরুদ্ধে আজ সকালে নাজমা বেগম একটি অভিযোগ দিলে সেটি একটি মামলা নিয়ে নেওয়া হয়। তারা কাউন্টার অভিযোগ করতে থানায় আসলে, ওয়ারেন্ট থাকায় তাদের কে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে গত, ২ সপ্তাহ আগে মান্দা উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামে জমিজমা নিয়ে ২ পক্ষের জখম হয়। এক পক্ষ মান্দা উপজেলার বিএনপি নেতা টিপু সাহেবকে দিয়ে থানায় বারবার সুপারিশ করছে। তাই আমরা পরিস্থিতির শিকার বাধ্য হয়ে কে আসামী আর কে আসামী নয় ২য় পক্ষের লোক রফিকুল ইসলামকে আমরা হাতের নাগালে পেয়েছিলাম। পরিবেশ পরিস্থিতি সামলাতে আমরা তাকে আসামী করে জেল হাজতে প্রেরণ করি। তবেই পরিস্থিতি কন্ট্রোল এ আসে। কে প্রকৃত আসামী আর কে নির্দোষী সেটা আদালতে প্রমাণ হবে।

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি নূরে এ আলম বলেন, 
“আমি বিষয়টি পুরোপুরি জানি না। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে যিনি ছিলেন, তিনি আসামিকে থানায় পেয়ে আটক করেছেন। অভিযোগ তদন্ত করে, ভিকটিমের বক্তব্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাদের আটক করা হয়েছে, তাদেরও মামলা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এগুলো জানা ছিল না, তবে আপনারা বলছেন “বিষয়টি আমি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সাংগঠনিক সভা রাজস্থলীতে

নওগাঁয় অভিযোগ দিতে গিয়ে থানা হাজতে দুই ভুক্তভোগী!অপরদিকে মান্দায় একই ঘটনা 

আপডেট সময় ০৮:১০:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

 

 

 

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ সদর উপজেলার তিলেকপুর ইউনিয়নে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে থানায় অভিযোগ দিতে গিয়ে দুই ব্যক্তি হাজতে গেলেন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার তিলেকপুর ইউনিয়নের মৃত ইসমাইল মন্ডলের ছেলে মো.খাজা উদ্দিন (৫৮) এবং তার ছেলে মো. নাদিম হোসেন (২৩) নওগাঁ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ তাদের আটক করে হাজতে নিয়ে যায়।
আরো তথ্য নিয়ে জানা গেছে, নওগাঁর মান্দা উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত মজিবর মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলাম গত, ২ সপ্তাহ আগে মান্দা থানায় প্রতিপক্ষের নামে অভিযোগ করতে গেলে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অভিযোগ কারী রফিকুল ইসলামকে থানায় আটক রেখে উল্টো মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তাদের বিরুদ্ধে আজ সকালে নাজমা বেগম একটি অভিযোগ দিলে সেটি একটি মামলা নিয়ে নেওয়া হয়। তারা কাউন্টার অভিযোগ করতে থানায় আসলে, ওয়ারেন্ট থাকায় তাদের কে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদিকে গত, ২ সপ্তাহ আগে মান্দা উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামে জমিজমা নিয়ে ২ পক্ষের জখম হয়। এক পক্ষ মান্দা উপজেলার বিএনপি নেতা টিপু সাহেবকে দিয়ে থানায় বারবার সুপারিশ করছে। তাই আমরা পরিস্থিতির শিকার বাধ্য হয়ে কে আসামী আর কে আসামী নয় ২য় পক্ষের লোক রফিকুল ইসলামকে আমরা হাতের নাগালে পেয়েছিলাম। পরিবেশ পরিস্থিতি সামলাতে আমরা তাকে আসামী করে জেল হাজতে প্রেরণ করি। তবেই পরিস্থিতি কন্ট্রোল এ আসে। কে প্রকৃত আসামী আর কে নির্দোষী সেটা আদালতে প্রমাণ হবে।

এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি নূরে এ আলম বলেন, 
“আমি বিষয়টি পুরোপুরি জানি না। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে যিনি ছিলেন, তিনি আসামিকে থানায় পেয়ে আটক করেছেন। অভিযোগ তদন্ত করে, ভিকটিমের বক্তব্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাদের আটক করা হয়েছে, তাদেরও মামলা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এগুলো জানা ছিল না, তবে আপনারা বলছেন “বিষয়টি আমি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”