ঢাকা , বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আওয়ামীলীগ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে : এড. এমরান চৌধুরী ৪ ও ৫ আগষ্ট আ’লীগের লাঠি মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় অভিযোগ সাবেক নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্তরায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আর কোন সরকারকে স্বৈরাচার হতে দেওয়া হবে না -সাইফুল ইসলাম খান মিলন বাগদা রেনু পোনাসহ ১১ জেলে আটক। ক্ষুধা, দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে -মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ট্রেনে কাটা পরে যুবকের মৃত্যু নেছারাবাদে আলহাজ্ব আব্দুল হাই তালুকদার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত।  ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাইমুল ইসলাম রনি কেন্দ্রীয় নির্দেশনা পালন ​কয়রায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন 

রাজশাহীতে শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণচেষ্টার অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপান করা, সেই নারীর মৃত্যু

রাজশাহীতে শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণচেষ্টার অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপান করা, সেই নারীর মৃত্যু

 

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে রাতের আধারে ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণ চেষ্টার অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপান করা সেই নারী সেলিনা বেগম মারা গেছেন। রবিবার ভোর রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ২৬ নং ওয়ার্ডে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দিনগত রাত সাড়ে ১০টায় ঘাস পোড়ানো বিষপান করেন সেলিনা বেগম। পরে তাকে তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে রামেক হাসপতালের নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে ২৬নং ওয়ার্ডে ৪দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে রবিবার ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত সেলিনা বেগম (৪৭),তিনি মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার নারীকেলবাড়িয়া এলাকার মৃত আতাহার আলীর মেয়ে।

এ ব্যপারে রবিবার দুপুর ১টায় নিহতের ছোট ভাই মোঃ শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনা করার অপরাধে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় একমাত্র আসামী মোঃ আলমগীর হোসেন (৫০), তিনি মহানগরীর মতিহার থানার বিনোদপুর বাজার এলাকার মৃত হান্নান কসাইয়ের ছেলে।

সেলিনা বেগমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), মোঃ মতিয়ার রহমান। তিনি জানান, সেলিনা বেগমের সাথে আলমগীর হোসেনের টাকা সংক্লান্ত লেনদেনের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। এ ব্যপারে মৃত নারীর ছোট ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

ওসি আরও বলেন, মৃত্যের লাশ রামেক মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

উল্লেখ্য, গত (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যম কর্মীদের ভিডিও ক্যামেরার সামনে ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম বলেন, পরিবারে অভাব অনাটনের কারনে দীর্ঘদিন যাবত অভিযুক্ত আলমগীর কসাইকে নগদ টাকা ধার দিতেন। সেই টাকা দিয়ে আলমগীর গরু কিনে মাংসের ব্যবসা করে পূনরায় টাকা ফেরত দিতেন। সেই সাথে লাভ হিসেবে অতিরিক্ত কিছু টাকা দিতেন।

এরই ধারাবাহিকতায় আলমগীর ওই নারীর কয়েক হাজার টাকা আটকে দেন। সেই টাকার জন্য চাপ দেওয়ায় আলমগীর ক্ষিপ্ত হয়ে গত অনুমানিক ১৫দিন পূর্বে রাতের আধারে সেলিমা বেগমের বাড়িতে প্রবেশ করেন। ওই সময় তিনি কৌশলে বাইরে থেকে ঘরের দরজা খুলে মুখচেপে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লিলতাহানী ও ধর্ষণ চেষ্টা করেন। নিজেকে রক্ষা করতে নারী অভিযুক্তকে লাথি মেরে চিৎকার শুরু করলে আলমগীর পালিয়ে যান। তবে প্রতিবেশীদের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এনিয়ে এলাকায় ব্যপক চর্চা শুরু হলে লজ্জা ও অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়িতে থাকা ঘাস পোড়ানো বিষপান করেন সেলিমা বেগম।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামীলীগ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে : এড. এমরান চৌধুরী

রাজশাহীতে শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণচেষ্টার অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপান করা, সেই নারীর মৃত্যু

আপডেট সময় ০৭:৫৫:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

 

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে রাতের আধারে ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানী ও ধর্ষণ চেষ্টার অপমান সহ্য করতে না পেরে বিষপান করা সেই নারী সেলিনা বেগম মারা গেছেন। রবিবার ভোর রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ২৬ নং ওয়ার্ডে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দিনগত রাত সাড়ে ১০টায় ঘাস পোড়ানো বিষপান করেন সেলিনা বেগম। পরে তাকে তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে রামেক হাসপতালের নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে ২৬নং ওয়ার্ডে ৪দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে রবিবার ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত সেলিনা বেগম (৪৭),তিনি মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার নারীকেলবাড়িয়া এলাকার মৃত আতাহার আলীর মেয়ে।

এ ব্যপারে রবিবার দুপুর ১টায় নিহতের ছোট ভাই মোঃ শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনা করার অপরাধে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় একমাত্র আসামী মোঃ আলমগীর হোসেন (৫০), তিনি মহানগরীর মতিহার থানার বিনোদপুর বাজার এলাকার মৃত হান্নান কসাইয়ের ছেলে।

সেলিনা বেগমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), মোঃ মতিয়ার রহমান। তিনি জানান, সেলিনা বেগমের সাথে আলমগীর হোসেনের টাকা সংক্লান্ত লেনদেনের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। এ ব্যপারে মৃত নারীর ছোট ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

ওসি আরও বলেন, মৃত্যের লাশ রামেক মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

উল্লেখ্য, গত (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যম কর্মীদের ভিডিও ক্যামেরার সামনে ভুক্তভোগী সেলিনা বেগম বলেন, পরিবারে অভাব অনাটনের কারনে দীর্ঘদিন যাবত অভিযুক্ত আলমগীর কসাইকে নগদ টাকা ধার দিতেন। সেই টাকা দিয়ে আলমগীর গরু কিনে মাংসের ব্যবসা করে পূনরায় টাকা ফেরত দিতেন। সেই সাথে লাভ হিসেবে অতিরিক্ত কিছু টাকা দিতেন।

এরই ধারাবাহিকতায় আলমগীর ওই নারীর কয়েক হাজার টাকা আটকে দেন। সেই টাকার জন্য চাপ দেওয়ায় আলমগীর ক্ষিপ্ত হয়ে গত অনুমানিক ১৫দিন পূর্বে রাতের আধারে সেলিমা বেগমের বাড়িতে প্রবেশ করেন। ওই সময় তিনি কৌশলে বাইরে থেকে ঘরের দরজা খুলে মুখচেপে ধরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লিলতাহানী ও ধর্ষণ চেষ্টা করেন। নিজেকে রক্ষা করতে নারী অভিযুক্তকে লাথি মেরে চিৎকার শুরু করলে আলমগীর পালিয়ে যান। তবে প্রতিবেশীদের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এনিয়ে এলাকায় ব্যপক চর্চা শুরু হলে লজ্জা ও অপমান সহ্য করতে না পেরে বাড়িতে থাকা ঘাস পোড়ানো বিষপান করেন সেলিমা বেগম।