ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
​ত্রিশালের আমিরাবাড়ী ইউনিয়নে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত  সংস্কার ও খুনিদের বিচার ছাড়া বাংলাদেশের মানুষ কোনো নির্বাচন মেনে নিবে না” আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমান গুলশানে অটোরিকশা চালকদের রাস্তা অবরোধ  ফুলবাড়ীতে বিএনপির যৌথসভা অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে বাস-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১, আহত ৩ দিনাজপুরে বালুঘাট বন্ধের দাবিতে মশাল মিছিল কাজিরহাট থানার পশ্চিম আজিমপুর সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয়ে মাঠে রেন্ট্রি গাছটি মরণফাদ  আজ দুপুরের মধ্যে বরিশালসহ দেশের ১০ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস  নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় যুবককে গুলি করে হত্যা র‍্যাব এর অভিযানে প্রধান আসামি বাবু গ্রেফতার।  টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মেয়েকে ধর্ষণের অপরাধে বাবা গ্রেফতার

কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিরকুট ‘ড. ইউনূসকে আরও পাঁচ বছর চাই’

কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিরকুট ‘ড. ইউনূসকে আরও পাঁচ বছর চাই’

 

এম এ কুদ্দুছ, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ শহরের আলোচিত পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। গতকাল শনিবার এতে ২৮ বস্তা টাকার শত শত চিরকুট পাওয়া যায়। এসব চিরকুটে ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রত্যাশার কথা রয়েছে। দুটি চিরকুট অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে। এর একটিতে লেখা- ড. ইউনূস স্যারকে আরও ৫ বছর চাই।

এটি দানবাক্সে ফেলা হয়েছে সাধারণ জনগণ;- এর পক্ষ থেকে। অন্যটিতে লেখা পাগলা চাচা, শেখ হাসিনা কোথায়। এ চিরকুটে লেখকের নাম নেই। তবে ব্যঙ্গ করে এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। চিরকুটগুলো প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাউকে ধরতে দেন না। বিভিন্ন সময় মসজিদে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশে দানবাক্সে কোনো ধরনের চিরকুট না ফেলতে মাইকে অনুরোধ জানায় কর্তৃপক্ষ। এখন চিরকুটের সংখ্যা কমলেও, একেবারে বন্ধ হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, পাগলা মসজিদে দান করলে মনের আশা পূরণ হয়। এ কারণে তারা টাকা-পয়সা ও অলংকার দান করেন। অন্য ধর্মের মানুষও এখানে দান করে থাকেন। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক জেসমিন আক্তারের তত্ত্বাবধানে সকালে বাক্সগুলো খোলা হয়।

গণনা শেষে সন্ধ্যায় জানানো হয়, এবার ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া গেছে। কিছু বিদেশি মুদ্রা ও অলংকার পাওয়া গেছে। সর্বশেষ গত ৩০ নভেম্বর ১১ দানবাক্সে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, চিরকুট বা চিঠি কাউকে দেখানো হয় না। কারণ এগুলো প্রচার হলে মানুষের মাঝে মসজিদ সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়।

তিনি জানান, দানবাক্সের টাকা রূপালী ব্যাংকে রাখা হয়। লভ্যাংশ থেকে অসহায় জটিল রোগীদের অনুদান দেওয়া হয়। মসজিদ কমপ্লেক্স মাদ্রাসার এতিম ছাত্রের খরচসহ মসজিদ পরিচালনার ব্যয় মেটানো হয়। জমানো অর্থে পুরুষ ও নারীদের নামাজের জন্য নতুন দুটি শেড নির্মাণ করা হবে। মসজিদ কমপ্লেক্স সম্প্রসারণের কাজও করা হবে।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

​ত্রিশালের আমিরাবাড়ী ইউনিয়নে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত 

কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিরকুট ‘ড. ইউনূসকে আরও পাঁচ বছর চাই’

আপডেট সময় ০৭:৩৬:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

 

এম এ কুদ্দুছ, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ শহরের আলোচিত পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। গতকাল শনিবার এতে ২৮ বস্তা টাকার শত শত চিরকুট পাওয়া যায়। এসব চিরকুটে ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রত্যাশার কথা রয়েছে। দুটি চিরকুট অনেকের দৃষ্টি কেড়েছে। এর একটিতে লেখা- ড. ইউনূস স্যারকে আরও ৫ বছর চাই।

এটি দানবাক্সে ফেলা হয়েছে সাধারণ জনগণ;- এর পক্ষ থেকে। অন্যটিতে লেখা পাগলা চাচা, শেখ হাসিনা কোথায়। এ চিরকুটে লেখকের নাম নেই। তবে ব্যঙ্গ করে এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। চিরকুটগুলো প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাউকে ধরতে দেন না। বিভিন্ন সময় মসজিদে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশে দানবাক্সে কোনো ধরনের চিরকুট না ফেলতে মাইকে অনুরোধ জানায় কর্তৃপক্ষ। এখন চিরকুটের সংখ্যা কমলেও, একেবারে বন্ধ হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, পাগলা মসজিদে দান করলে মনের আশা পূরণ হয়। এ কারণে তারা টাকা-পয়সা ও অলংকার দান করেন। অন্য ধর্মের মানুষও এখানে দান করে থাকেন। কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক জেসমিন আক্তারের তত্ত্বাবধানে সকালে বাক্সগুলো খোলা হয়।

গণনা শেষে সন্ধ্যায় জানানো হয়, এবার ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া গেছে। কিছু বিদেশি মুদ্রা ও অলংকার পাওয়া গেছে। সর্বশেষ গত ৩০ নভেম্বর ১১ দানবাক্সে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, চিরকুট বা চিঠি কাউকে দেখানো হয় না। কারণ এগুলো প্রচার হলে মানুষের মাঝে মসজিদ সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়।

তিনি জানান, দানবাক্সের টাকা রূপালী ব্যাংকে রাখা হয়। লভ্যাংশ থেকে অসহায় জটিল রোগীদের অনুদান দেওয়া হয়। মসজিদ কমপ্লেক্স মাদ্রাসার এতিম ছাত্রের খরচসহ মসজিদ পরিচালনার ব্যয় মেটানো হয়। জমানো অর্থে পুরুষ ও নারীদের নামাজের জন্য নতুন দুটি শেড নির্মাণ করা হবে। মসজিদ কমপ্লেক্স সম্প্রসারণের কাজও করা হবে।