ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
৩ মাসের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে প্রতিকি কাফন মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ বিয়ের দিনই আত্মহত্যা করলো বর জুলাই শহীদদের মাগফেরাতে বাকৃবি ছাত্রশিবিরের দোয়া মাহফিল  বানারীপাড়ায় ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে স্কুল ছাত্রী অপহরণ  ভূঞাপুরে গৃহবধূর আত্মহত্যা বানারীপাড়া বালিকা বিদ্যালয় এসএসির ফলাফলে এবারও সেরা কুবিতে ১১ জুলাই প্রথম প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের, পরিচয় মিললো ২জনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। গণতন্ত্র সুসংহত রাখতে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে কাজ করতে হবে- মিফতাহ্ সিদ্দিকী লালমাইয়ে মাদক সেবন ও সংরক্ষণের দায়ে কারাদণ্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করেন ইউএনও হিমাদ্রী খীসা

এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে, সাথে সাথে জামাতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে …..মাসুদ সাঈদী 

এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে, সাথে সাথে জামাতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে .....মাসুদ সাঈদী 

 

বিশেষ প্রতিনিধি: 
৫ই আগস্ট একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়ে জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। যে প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছিল সেই প্রত্যয়ের ব্যত্যয় কেন আজহারুল ইসলাম এর ব্যাপারে হল। কেন আজকেও তাকে মুক্তি দেওয়া হলো না। তার মুক্তির দাবিতে কেন আমাদেরকে রাজপথে নামতে হয়েছে। কেন্দ্র ঘোষিত জামায়াতের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুর শহীদ মিনারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এক কথা বলে মাসুদ সাঈদী।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী শাসন আমলে ওই কুলাঙ্গার বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে মৌলবাদ, সন্ত্রাস তদন্ত কমিশন নামে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিশন গঠিত হয়েছিল ওই কুলাঙ্গার বিচারপতি মানিকের নেতৃত্বে। সেই কমিশনের সদস্য ছিল বর্তমান বাংলাদেশের অবৈধ  রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পু। চুপ্পুর ষড়যন্ত্রে আজকে এটিএম আজাহারের মুক্তি হচ্ছে না।
এটিএম আজহারের মুক্তির পাশাপাশি অবৈধ রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগ দাবি করছি। এটিএম আজহারুলকে ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় দেওয়া হয়েছিল ফাঁসির রায়। সেখানে তার বিরুদ্ধে যে সাক্ষী দেওয়া হয়েছিল সেই সাক্ষীদের সাক্ষ্য বলেছিল তারা নাকি দেড় কিলোমিটার দূর থেকে একজন তিন কিলোমিটার দূর থেকে আর একজন সাক্ষী, ৬ কিলোমিটার দূর থেকে দেখেছে এটিএম আজহারুল ইসলাম পাক সেনাদের সাথে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমেছে।
এরকমের গাঁজাখুরি সাক্ষীর মাধ্যমে যে বিচার পরিচালিত হয় ওই বিচারের কপালে আমরা ঝাড়ু মারি। আমরা শুধু এটিএম আজহারের মুক্তি দাবি করছি না। এই পঁচা সাক্ষীর ভিত্তিতে যারা সাক্ষ্য দিয়েছে বিচার করেছে ওই সমস্ত কুলাঙ্গার বিচারপতিদের ফাঁসি দাবি করছে। আমরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছি। মেহেরবানী করে আমাদের ধৈর্যের চুতি ঘটাবেন না। আমরা কিন্তু ফোস করতে জানি। ৫ই আগস্ট আমরা দেখেছি কিভাবে ফোস করতে হয়।
এ সময় মাসুদ সাঈদী বলেন, আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না যতক্ষণ পর্যন্ত মজলুম এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিশ্চিত না হয়। এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে। একই সাথে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে। আমাদের নিবন্ধন কারো দয়ায় আমরা পাইনি। আমাদের নিবন্ধন কারো দয়ায় আমরা চাই না। আমরা আমাদের অধিকার আদায় করে নেব। আমরা আমাদের মার্কা আদায় করে নেব ইনশাআল্লাহ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয় শহরের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষেণ শেষে সাঈদী ফাউন্ডেশনে গিয়ে শেষ হয়।

জেলা জামাতের আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসেন ফরিদের সভাপতি আরো উপস্থিত ছিলেন, সেক্রেটারি মো: জহিরুল হক, সহ সেক্রেটারি শেখ আব্দুর রাজ্জাক, পেশাজীবী বিভাগের জেলা সভাপতি আব্দুল্লাহিল মাহমুদ, শিবিরের জেলা সভাপতি মেহেদী হাসান প্রমুখ।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

৩ মাসের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে প্রতিকি কাফন মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে, সাথে সাথে জামাতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে …..মাসুদ সাঈদী 

আপডেট সময় ০৭:০১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

বিশেষ প্রতিনিধি: 
৫ই আগস্ট একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়ে জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল। যে প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছিল সেই প্রত্যয়ের ব্যত্যয় কেন আজহারুল ইসলাম এর ব্যাপারে হল। কেন আজকেও তাকে মুক্তি দেওয়া হলো না। তার মুক্তির দাবিতে কেন আমাদেরকে রাজপথে নামতে হয়েছে। কেন্দ্র ঘোষিত জামায়াতের কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুর শহীদ মিনারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এক কথা বলে মাসুদ সাঈদী।
https://www.youtube.com/watch?v=-U84mY08vos
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী শাসন আমলে ওই কুলাঙ্গার বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে মৌলবাদ, সন্ত্রাস তদন্ত কমিশন নামে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিশন গঠিত হয়েছিল ওই কুলাঙ্গার বিচারপতি মানিকের নেতৃত্বে। সেই কমিশনের সদস্য ছিল বর্তমান বাংলাদেশের অবৈধ  রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পু। চুপ্পুর ষড়যন্ত্রে আজকে এটিএম আজাহারের মুক্তি হচ্ছে না।
https://www.facebook.com/100076419312432/videos/455837204161733/?__cft__[0]=AZUsfnwRw0VpecwddBMj-jyHHkt3pI5nT3POwAjs4ck_ZRYerMz0seC2XOfqNscnaZ6JlZ8Qw0tUtDEHfULQ7HUof-BVKXUr4DUCvXJHXx2fJfcrGfXHFCJtX93OVTTmXXiRnnhmrtoU9RHBnQeVYxS8puX3y2UCiSXXOYhoDnfp2tRkTiT8iODXfHgB9VkXzX_K2joLmHEHFLWQHr2thmj3&__tn__=%2CO%2CP-R
এটিএম আজহারের মুক্তির পাশাপাশি অবৈধ রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর পদত্যাগ দাবি করছি। এটিএম আজহারুলকে ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় দেওয়া হয়েছিল ফাঁসির রায়। সেখানে তার বিরুদ্ধে যে সাক্ষী দেওয়া হয়েছিল সেই সাক্ষীদের সাক্ষ্য বলেছিল তারা নাকি দেড় কিলোমিটার দূর থেকে একজন তিন কিলোমিটার দূর থেকে আর একজন সাক্ষী, ৬ কিলোমিটার দূর থেকে দেখেছে এটিএম আজহারুল ইসলাম পাক সেনাদের সাথে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমেছে।
এরকমের গাঁজাখুরি সাক্ষীর মাধ্যমে যে বিচার পরিচালিত হয় ওই বিচারের কপালে আমরা ঝাড়ু মারি। আমরা শুধু এটিএম আজহারের মুক্তি দাবি করছি না। এই পঁচা সাক্ষীর ভিত্তিতে যারা সাক্ষ্য দিয়েছে বিচার করেছে ওই সমস্ত কুলাঙ্গার বিচারপতিদের ফাঁসি দাবি করছে। আমরা ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছি। মেহেরবানী করে আমাদের ধৈর্যের চুতি ঘটাবেন না। আমরা কিন্তু ফোস করতে জানি। ৫ই আগস্ট আমরা দেখেছি কিভাবে ফোস করতে হয়।
এ সময় মাসুদ সাঈদী বলেন, আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না যতক্ষণ পর্যন্ত মজলুম এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিশ্চিত না হয়। এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে। একই সাথে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে। আমাদের নিবন্ধন কারো দয়ায় আমরা পাইনি। আমাদের নিবন্ধন কারো দয়ায় আমরা চাই না। আমরা আমাদের অধিকার আদায় করে নেব। আমরা আমাদের মার্কা আদায় করে নেব ইনশাআল্লাহ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয় শহরের বিভিন্ন সড়ক পদক্ষেণ শেষে সাঈদী ফাউন্ডেশনে গিয়ে শেষ হয়।

জেলা জামাতের আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসেন ফরিদের সভাপতি আরো উপস্থিত ছিলেন, সেক্রেটারি মো: জহিরুল হক, সহ সেক্রেটারি শেখ আব্দুর রাজ্জাক, পেশাজীবী বিভাগের জেলা সভাপতি আব্দুল্লাহিল মাহমুদ, শিবিরের জেলা সভাপতি মেহেদী হাসান প্রমুখ।