ঢাকা , রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মঠবাড়িয়ায় জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল মেঘনায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার। বাগমারায় কে বা কাহারা বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করছে  গৌরনদীতে বর্ষাবরণ ও কবি-সাহিত্যিকদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমনা পরীক্ষায় কৃতকার্য সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এমপি পদপ্রার্থী ড. মোবারক হোসাইন  দিনভর গণসংযোগ ও বিএনপি’র অফিস পরিদর্শন করেন হাজী জসিম উদ্দিন জসিম সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে চার দফা দাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাবি শাখার  বিএনপির সম্মেলনে মির্জা ফখরুলের ছোট ভাইয়ের উপর হামলা, গাড়ি ভাংচুর আহত চার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে আসামী জাকারিয়াকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ময়মনসিংহে মৃত্তিকার বিভাগীয় কার্যালয় ও গবেষণাগার উদ্বোধন করেন মহাপরিচালক

খানসামায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

খানসামায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মো. আজিজার রহমান, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের খানসামায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতারা। শনিবার (১২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় চৌধুরী রাইস মিল চত্বরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, দিনাজপুর-৪ আসনের বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন, গতকাল (১১ জুলাই) কেন্দ্র ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভাবকি ইউনিয়নের কাচিনিয়া বাজারে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। এই হামলার নির্দেশ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান মিয়া এবং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভাবকী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল আলম তুহিন। তাদের নেতৃত্বে সশস্ত্র ক্যাডাররা হামলা চালায়।
তিনি জানান, ওই হামলায় তিনিসহ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। গুরুতর আহতদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলাকারীরা লাঠি, পাইপ ও ইটপাটকেল ব্যবহার করে ভাঙচুর চালায়। এতে শতাধিক মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, হামলার সময় পুলিশকে অবহিত করা হলেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষেপণ করা হয়। যদি আগে ভাগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তৎপর হতো, তাহলে এই ন্যাক্কারজনক হামলা এড়ানো যেত।
উপজেলা বিএনপি ও স্থানীয় নেতারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কারের দাবি জানান। তারা বলেন, বিএনপি কখনো সহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। যারা দলের মধ্যে থেকে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন।
নেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বিএনপিতে ঐক্য ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা, আহত নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আহতদের কয়েকজন সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে হামলার নির্মমতা তুলে ধরেন।
আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল

খানসামায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ১১:১৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
মো. আজিজার রহমান, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের খানসামায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতারা। শনিবার (১২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় চৌধুরী রাইস মিল চত্বরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, দিনাজপুর-৪ আসনের বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ করেন, গতকাল (১১ জুলাই) কেন্দ্র ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভাবকি ইউনিয়নের কাচিনিয়া বাজারে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়। এই হামলার নির্দেশ দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান মিয়া এবং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভাবকী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল আলম তুহিন। তাদের নেতৃত্বে সশস্ত্র ক্যাডাররা হামলা চালায়।
তিনি জানান, ওই হামলায় তিনিসহ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। গুরুতর আহতদের দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলাকারীরা লাঠি, পাইপ ও ইটপাটকেল ব্যবহার করে ভাঙচুর চালায়। এতে শতাধিক মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, হামলার সময় পুলিশকে অবহিত করা হলেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষেপণ করা হয়। যদি আগে ভাগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তৎপর হতো, তাহলে এই ন্যাক্কারজনক হামলা এড়ানো যেত।
উপজেলা বিএনপি ও স্থানীয় নেতারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কারের দাবি জানান। তারা বলেন, বিএনপি কখনো সহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। যারা দলের মধ্যে থেকে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন।
নেতারা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বিএনপিতে ঐক্য ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা, আহত নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আহতদের কয়েকজন সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের আঘাতের চিহ্ন দেখিয়ে হামলার নির্মমতা তুলে ধরেন।