ঢাকা , শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বনানী থানা পুলিশের চৌকস সোর্স সহিদকে লাঞ্চিত করার ঘোষণায় তীব্র নিন্দা! সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নিরীহ আলীমের উপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে ও আসামীদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবীতে মানব বন্ধন। ময়মনসিংহ সিপিএসসি, র‌্যাব-১৪, কর্তৃক ২বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার ০১ বাকৃবিতে রোভার স্কাউটের দুই দিনব্যাপী দীক্ষা গ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন বদরগঞ্জে রথযাত্রা উৎসব কঠোর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। পুলিশের বিশেষ অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্যসহ দুই আসামি গ্রেফতার মুসলিম ভূখন্ডে ইসরাইলী আগ্রাসনের প্রতিবাদে ফেনীতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল  রাজশাহীতে পলাতক আসামী ও বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ গ্রেফতার -৬ কালীগঞ্জে মুসলিম রাষ্ট্রে ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আলোচনা সভা ও বিক্ষোভ বিপুল পরিমান ইসকফ সিরাপসহ ০১ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

অদম্য মেধাবী নাজমুস সাকিবের স্বপ্নপূরণে সহযোগিতা চাই ভ্যানচালক বাবা  

অদম্য মেধাবী নাজমুস সাকিবের স্বপ্নপূরণে সহযোগিতা চাই ভ্যানচালক বাবা  

 
তানিম আহমেদ নালিতাবাড়ী (প্রতিনিধি)। অদম্য ইচ্ছা আর কঠোর পরিশ্রমে সব বাধা জয় করে অবশেষে নিজের স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছে নালিতাবাড়ীর এক ভ্যানচালকের ছেলে নাজমুস সাকিব। এবার জিএসটি গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ৭৫তম মেধাস্থান অর্জন করে সে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে মনোনীত হয়েছে। তার এই সাফল্যে তারাগঞ্জ ফাযিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিবারে আনন্দের বন্যা বইছে।
তবে, ছেলের উচ্চশিক্ষার খরচ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন দরিদ্র বাবা। প্রতিকূলতা পেরিয়ে মেধাবী নাজমুসের জয়যাত্রা কোভিড-১৯ মহামারির সময় নাজমুসের পরিবারে চরম আর্থিক সংকট নেমে আসে। পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া যখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল, ঠিক তখনই হাল ধরেন অদম্য নাজমুস। নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকেই নালিতাবাড়ীর একটি স্বর্ণের দোকানে চাকরি শুরু করে সে। গত পাঁচ বছর ধরে দিনে কাজ আর রাতে অনলাইনে বিভিন্ন পেইড কোর্স থেকে পড়াশোনা চালিয়ে সে নিজেকে তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য। দিনের বেলায় কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে নিজের পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছে, আর রাতের নীরবতায় ডুবে থেকেছে বইয়ের পাতায়। তার এই নিরলস প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগই তাকে এনে দিয়েছে এই অসাধারণ সাফল্য।
বাবার আকুল আবেদন ছেলের স্বপ্ন যেন থেমে না যায়” নাজমুসের বাবা একজন ভ্যানচালক। ছেলের এই অভূতপূর্ব সাফল্যে তিনি গর্বিত হলেও, তার চোখে এখন অজানা ভবিষ্যৎ চিন্তার ছাপ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির খরচ, বইপত্র কেনা এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় বহন করা তার পক্ষে অসম্ভব। তিনি সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয় ব্যক্তিদের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন, যেন তার মেধাবী ছেলের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন আর্থিক সংকটের কারণে মাঝপথে থেমে না যায়। সকলের সম্মিলিত সহযোগিতাই পারে নাজমুসের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এবং তাকে দেশের একজন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে।
আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

বনানী থানা পুলিশের চৌকস সোর্স সহিদকে লাঞ্চিত করার ঘোষণায় তীব্র নিন্দা!

অদম্য মেধাবী নাজমুস সাকিবের স্বপ্নপূরণে সহযোগিতা চাই ভ্যানচালক বাবা  

আপডেট সময় ১২:৫৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
 
তানিম আহমেদ নালিতাবাড়ী (প্রতিনিধি)। অদম্য ইচ্ছা আর কঠোর পরিশ্রমে সব বাধা জয় করে অবশেষে নিজের স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছে নালিতাবাড়ীর এক ভ্যানচালকের ছেলে নাজমুস সাকিব। এবার জিএসটি গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ৭৫তম মেধাস্থান অর্জন করে সে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে মনোনীত হয়েছে। তার এই সাফল্যে তারাগঞ্জ ফাযিল মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিবারে আনন্দের বন্যা বইছে।
তবে, ছেলের উচ্চশিক্ষার খরচ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন দরিদ্র বাবা। প্রতিকূলতা পেরিয়ে মেধাবী নাজমুসের জয়যাত্রা কোভিড-১৯ মহামারির সময় নাজমুসের পরিবারে চরম আর্থিক সংকট নেমে আসে। পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া যখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল, ঠিক তখনই হাল ধরেন অদম্য নাজমুস। নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকেই নালিতাবাড়ীর একটি স্বর্ণের দোকানে চাকরি শুরু করে সে। গত পাঁচ বছর ধরে দিনে কাজ আর রাতে অনলাইনে বিভিন্ন পেইড কোর্স থেকে পড়াশোনা চালিয়ে সে নিজেকে তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য। দিনের বেলায় কঠোর পরিশ্রম করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে নিজের পড়াশোনার খরচ জুগিয়েছে, আর রাতের নীরবতায় ডুবে থেকেছে বইয়ের পাতায়। তার এই নিরলস প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগই তাকে এনে দিয়েছে এই অসাধারণ সাফল্য।
বাবার আকুল আবেদন ছেলের স্বপ্ন যেন থেমে না যায়” নাজমুসের বাবা একজন ভ্যানচালক। ছেলের এই অভূতপূর্ব সাফল্যে তিনি গর্বিত হলেও, তার চোখে এখন অজানা ভবিষ্যৎ চিন্তার ছাপ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির খরচ, বইপত্র কেনা এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় বহন করা তার পক্ষে অসম্ভব। তিনি সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয় ব্যক্তিদের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন, যেন তার মেধাবী ছেলের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন আর্থিক সংকটের কারণে মাঝপথে থেমে না যায়। সকলের সম্মিলিত সহযোগিতাই পারে নাজমুসের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এবং তাকে দেশের একজন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে।