ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিজয়নগরে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার কালীগঞ্জে শহীদ রমিজ উদ্দিন সমাজ কল্যাণ সংঘের ঈদ পুনর্মিলনী ত্রিশালে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা  হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ব্রাহ্মণপাড়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়িঘর নির্মাণের অভিযোগ  জগন্নাথপুরে সাংবাদিক ও সংগঠক আহমেদ হোসাইন ছানু-কে সংবর্ধনা প্রদান জামায়াতের ওপর উপর জনগনের আস্থার প্রমাণ হবে জাতীয় নির্বাচনে : অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন বাবর পঞ্চগড় সীমান্তে চার ভারতীয় সহ ১৬ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ  বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌর ক্লাবের উদ্যোগে ফুটবল ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ।  কালীগঞ্জে গৃহবধূর বাড়িতে সশস্ত্র হামলা ও লুটপাট   

বানারীপাড়া জামায়াতের উদ্যোগে জুলাই শহীদ জসিম উদ্দিনের পরিবারের জন্য পাকা বসতঘর নির্মাণ শুরু

বানারীপাড়া জামায়াতের উদ্যোগে জুলাই শহীদ জসিম উদ্দিনের পরিবারের জন্য পাকা বসতঘর নির্মাণ শুরু

রাহাদ সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকায় শহীদ হাফেজ মাওলানা মোঃ জসিম উদ্দিনের পরিবারের জন্য তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামে পাকা বসতঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের এ শহীদ পরিবারের জন্য  বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে ও অর্থায়নে চার কক্ষ বিশিষ্ট ছাদসহ পাকা এ বসত বিল্ডিং নির্মাণ শুরু করা হয়।
বুধবার (১২ জুন) সকালে পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের বাড়িতে শহীদ হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিনের মা মেহেরুন্নেসা বেগম পাকা এ বসতঘর (বিল্ডিং) নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক খলিলুর রহমান শাহদাত, সেক্রেটারি হাফেজ মোকাম্মেল হোসাইন মোজাম্মেল, পৌর জামায়াতের আমীর কাওসার হোসাইন, সলিয়াবাকপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ক্বারী আনোয়ার হোসেন, চাখার ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি শহিদুল ইসলাম চাখারী, জামায়াত নেতা ইসহাক খান, রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও শহীদ হাফেজ জসিমউদ্দিনের স্ত্রী সুমী আক্তার, শিশু পুত্র সাইফ ও মেয়ে জান্নাতসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহীদ জসিমউদ্দিন ছিলেন জুলাই আন্দোলনের একজন সাহসী সন্তান। তার আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও পরিবারকে সহায়তা করতে এ মানবিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ভবিষ্যতে অন্যান্য শহীদ ও নির্যাতিত পরিবারকেও সহায়তার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এদিকে স্থানীয়রা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং শহীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোকে মানবিক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন। প্রসঙ্গত,গত বছরের ১৮ জুলাই দুপুরে ঢাকার উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে কোটা আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন। ওই দিন রাতেই বরিশালের বানারীপাড়ার পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়। পরের দিন ১৯ জুলাই সকালে বাড়ির পাশে তার এক সময়ের বিদ্যাপীঠ পূর্ব সলিয়াবাকপুর দারুল উলুম হোসাইনিয়া কওমি কেরাতিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান হাওলাদের ছেলে।

জানা গেছে, গত প্রায় ১৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকতেন হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন। উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে এমএসএ ওয়ার্কশপে চাকরি করতেন। ঘটনার দিন ৭ নম্বর সেক্টরে ফরহাদ অটো পার্টসের দোকানে যান মাইক্রোবাসের পার্টস কিনতে। সেখান থেকে নিজ ওয়ার্কশপে ফিরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।


বৃদ্ধা অসুস্থ মাকে দেখভাল করতে স্ত্রী ও শিশু সন্তানদের গ্রামের বাড়িতে রেখে ছিলেন, 
জসিম উদ্দিন। সেই মাসহ স্বজনদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশের যাত্রী হন তিনি।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

বিজয়নগরে অজ্ঞাত বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

বানারীপাড়া জামায়াতের উদ্যোগে জুলাই শহীদ জসিম উদ্দিনের পরিবারের জন্য পাকা বসতঘর নির্মাণ শুরু

আপডেট সময় ১২:২১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
রাহাদ সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকায় শহীদ হাফেজ মাওলানা মোঃ জসিম উদ্দিনের পরিবারের জন্য তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামে পাকা বসতঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের এ শহীদ পরিবারের জন্য  বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে ও অর্থায়নে চার কক্ষ বিশিষ্ট ছাদসহ পাকা এ বসত বিল্ডিং নির্মাণ শুরু করা হয়।
বুধবার (১২ জুন) সকালে পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের বাড়িতে শহীদ হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিনের মা মেহেরুন্নেসা বেগম পাকা এ বসতঘর (বিল্ডিং) নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক খলিলুর রহমান শাহদাত, সেক্রেটারি হাফেজ মোকাম্মেল হোসাইন মোজাম্মেল, পৌর জামায়াতের আমীর কাওসার হোসাইন, সলিয়াবাকপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ক্বারী আনোয়ার হোসেন, চাখার ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি শহিদুল ইসলাম চাখারী, জামায়াত নেতা ইসহাক খান, রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও শহীদ হাফেজ জসিমউদ্দিনের স্ত্রী সুমী আক্তার, শিশু পুত্র সাইফ ও মেয়ে জান্নাতসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহীদ জসিমউদ্দিন ছিলেন জুলাই আন্দোলনের একজন সাহসী সন্তান। তার আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও পরিবারকে সহায়তা করতে এ মানবিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ভবিষ্যতে অন্যান্য শহীদ ও নির্যাতিত পরিবারকেও সহায়তার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এদিকে স্থানীয়রা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং শহীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোকে মানবিক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন। প্রসঙ্গত,গত বছরের ১৮ জুলাই দুপুরে ঢাকার উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে কোটা আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন। ওই দিন রাতেই বরিশালের বানারীপাড়ার পূর্ব সলিয়াবাকপুর গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়। পরের দিন ১৯ জুলাই সকালে বাড়ির পাশে তার এক সময়ের বিদ্যাপীঠ পূর্ব সলিয়াবাকপুর দারুল উলুম হোসাইনিয়া কওমি কেরাতিয়া মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান হাওলাদের ছেলে।

জানা গেছে, গত প্রায় ১৫ বছর ধরে ঢাকায় থাকতেন হাফেজ মাওলানা জসিম উদ্দিন। উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরে এমএসএ ওয়ার্কশপে চাকরি করতেন। ঘটনার দিন ৭ নম্বর সেক্টরে ফরহাদ অটো পার্টসের দোকানে যান মাইক্রোবাসের পার্টস কিনতে। সেখান থেকে নিজ ওয়ার্কশপে ফিরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।


বৃদ্ধা অসুস্থ মাকে দেখভাল করতে স্ত্রী ও শিশু সন্তানদের গ্রামের বাড়িতে রেখে ছিলেন, 
জসিম উদ্দিন। সেই মাসহ স্বজনদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশের যাত্রী হন তিনি।