ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ব্রাহ্মণপাড়ায় নিরাপদ সড়ক ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে লক্ষ্যে মানববন্ধন ও র‌্যালি ভারতের পানিতে ডুবতে বসেছে কুমিল্লার ৪ লাখ মানুষ, ৫৮৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত বাংলাদেশ ড্রাইভিং স্কুল মালিক সমিতির আহবায়ক কমিটি গঠিত বাকৃবিতে পিআরএস অর্জনের কৌশল ও সমাজ উন্নয়ন অ্যাওয়ার্ড বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিদেশ ইটালি পাঠানোর নামে ১৯ লক্ষ টাকা প্রতারণা করে নেয়ার অভিযোগ  জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতাকে দেওয়া হলো ওএমএস ডিলার। বন্যার কারণে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী কামালের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুলতানের অভিযোগ দায়ের বাউফলে টানা বর্ষণে ফসলের ব্যপক খয়ক্ষতি, দুঃশ্চিন্তায় কৃষক।  বন্দরে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী আলমগীর ও হাফিজ প্রকাশ্যে থাকলেও গ্রেফতার করছেনা পুলিশ

কটিয়াদীতে হারিয়ে যাচ্ছে ধান সংরক্ষণের বাঁশের তৈরি ‘ডুলি’

কটিয়াদীতে হারিয়ে যাচ্ছে ধান সংরক্ষণের বাঁশের তৈরি ‘ডুলি’

এম এ কুদ্দুছ, প্রতিনিধি, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: ধান সংরক্ষণের বড় পাত্র বাঁশের তৈরি গোলা। এটি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীরের বিভিন্ন স্থানে ডুলি বা ডোল কিংবা মাচা নামে পরিচিত। বাঁশ দিয়ে এ গোলা তৈরি করা হয়।

গ্রামের গৃহস্থ কৃষক পরিবার গোলায় ধান সংরক্ষণ করেন, সারা বছর ধান সংরক্ষণ করতে গোলা খুবই উপযোগী। কিন্তু দিন দিন ধান সংরক্ষণের এ ডুলি হারিয়ে যাচ্ছে। ধানের মৌসুমে ধান কেটে শুকিয়ে ঐ ডুলিতে গোলাজাত করা হয়। প্রয়োজনের সময় ঐ ডুলি থেকে ধান বের করে পুনরায় রোদে শুকিয়ে ভাঙানো হয়। তবে বিক্রি করার জন্য নুতন করে আবার ধান শুকানোর প্রয়োজন পড়ে না।


এক সময় ডুলি ভর্তি ধান না থাকলে গ্রামের গৃহস্থ পরিবার সেই বাড়িতে ছেলে- মেয়েদের বিয়ে পর্যন্ত দিতে আগ্রহী হতেন না।
 এই কথা এখনো গ্রামাঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে। আগে সমাজ ব্যবস্থা এখনকার মতো এত উন্নত ছিল না। তখন চোর-ডাকাতের ভয়ে গোলার ধানের ভেতর স্বর্ণ ও টাকাও লুকিয়ে রাখা হতো।

ধান রাখার এ পাত্রকে গোলা বা ডোল বা ডুলি আখ্যায়িত করার কারণও রয়েছে। গোলা অপেক্ষাকৃত মজবুত। দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। বাঁশের তৈরি গোলার ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে। কারণ বাঁশ ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং বাঁশের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গোলা তৈরিতেও খরচ বেড়ে গেছে। বর্তমানে বাঁশের তৈরি ডুলির স্থান দখল করে নিয়েছে স্থায়ী পাকা অথবা টিনের গোলা। এই গোলা বাইরে রাখা যায় বলে ঘরের জায়গা খোলামেলা থাকে।

 

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

ব্রাহ্মণপাড়ায় নিরাপদ সড়ক ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে লক্ষ্যে মানববন্ধন ও র‌্যালি

কটিয়াদীতে হারিয়ে যাচ্ছে ধান সংরক্ষণের বাঁশের তৈরি ‘ডুলি’

আপডেট সময় ০৩:১৩:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

এম এ কুদ্দুছ, প্রতিনিধি, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: ধান সংরক্ষণের বড় পাত্র বাঁশের তৈরি গোলা। এটি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীরের বিভিন্ন স্থানে ডুলি বা ডোল কিংবা মাচা নামে পরিচিত। বাঁশ দিয়ে এ গোলা তৈরি করা হয়।

গ্রামের গৃহস্থ কৃষক পরিবার গোলায় ধান সংরক্ষণ করেন, সারা বছর ধান সংরক্ষণ করতে গোলা খুবই উপযোগী। কিন্তু দিন দিন ধান সংরক্ষণের এ ডুলি হারিয়ে যাচ্ছে। ধানের মৌসুমে ধান কেটে শুকিয়ে ঐ ডুলিতে গোলাজাত করা হয়। প্রয়োজনের সময় ঐ ডুলি থেকে ধান বের করে পুনরায় রোদে শুকিয়ে ভাঙানো হয়। তবে বিক্রি করার জন্য নুতন করে আবার ধান শুকানোর প্রয়োজন পড়ে না।


এক সময় ডুলি ভর্তি ধান না থাকলে গ্রামের গৃহস্থ পরিবার সেই বাড়িতে ছেলে- মেয়েদের বিয়ে পর্যন্ত দিতে আগ্রহী হতেন না।
 এই কথা এখনো গ্রামাঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে। আগে সমাজ ব্যবস্থা এখনকার মতো এত উন্নত ছিল না। তখন চোর-ডাকাতের ভয়ে গোলার ধানের ভেতর স্বর্ণ ও টাকাও লুকিয়ে রাখা হতো।

ধান রাখার এ পাত্রকে গোলা বা ডোল বা ডুলি আখ্যায়িত করার কারণও রয়েছে। গোলা অপেক্ষাকৃত মজবুত। দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। বাঁশের তৈরি গোলার ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে। কারণ বাঁশ ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং বাঁশের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গোলা তৈরিতেও খরচ বেড়ে গেছে। বর্তমানে বাঁশের তৈরি ডুলির স্থান দখল করে নিয়েছে স্থায়ী পাকা অথবা টিনের গোলা। এই গোলা বাইরে রাখা যায় বলে ঘরের জায়গা খোলামেলা থাকে।