নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ১৫ টি গরুসহ একটি ট্রাক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ০১ জন ডাকাত‘কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বাংলাদেশ আমার অহংকার- এই স্লোগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর হত্যা এবং বিভিন্ন আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে র্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১ গত ০৫ আগষ্ট ২০২৪ তারিখ হতে অদ্যবধি দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন অভিযানে চাঞ্চল্যকর অপরাধী ১০১ জন, আরসা সদস্য-১৫ জন, হত্যা মামলায় ১১৯ জন গ্রেফতার, ধর্ষণ মামলায় ৫২ জন গ্রেফতার, অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় ১৭ জন গ্রেফতারসহ ৮৬ টি অস্ত্র, ১২৮৬ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার এবং ২৯৫ জন এর অধিক মাদক কারবারি গ্রেফতারসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে র্যাব-১১। পাশাপাশি ৪৪ জন অপহরণকারী গ্রেফতারসহ ৪৭ জন ভিকটিম উদ্ধার এবং ছিনতাইকারী ও ডাকাত ৫৬ জন, জেল পলাতক ৩৬ জন, প্রতারণার আসামী-১২ জন সহ অন্যান্য অপরাধী প্রায় ২৯১ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব-১১ জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮/১২/২৪ইং তারিখ পাবনা ঈশ্বরদী হইতে বাদী রানা হোসেন তার মালিকানাধীন মিনি ট্রাক নিয়ে ১৫টি গরুসহ চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। ১৯/১২/২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০৩:৪০ ঘটিকার সময় বন্দর থানাধীন কামতাল সাকিনস্থ ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রাম গামী লেইনের উপর পৌঁছামাত্র একটি সিলভার রংয়ের মাইক্রোবাস বাদীর ট্রাকের সামনে ব্যারিকেড দিলে ট্রাকের ড্রাইভার মোঃ ইরফান রাস্তার পাশে গাড়ি থামায়। তখন অজ্ঞাতনামা সিলভার রংয়ের মাইক্রোবাস হইতে ভুয়া ডিবির কটি পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি নেমে গাড়ির নিকট এসে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চায় এবং গাড়িতে থাকা গরুর পেটে হেরোইন মাদক আছে বলে দাবি করে বাদি সহ ট্রাকের ড্রাইভারকে গাড়ি হতে নামিয়ে সিলভার রংয়ের মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।
আগে, থেকে মাইক্রোবাসের ড্রাইভারের সিটে একজন বসা ছিল। তাদের মধ্যে হতে একজন ব্যক্তি গরুসহ ট্রাকটি নিয়ে চলে যায় এবং মাইক্রোবাসের ড্রাইভার তাদের গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার সাথে সাথে গামছা দিয়ে বাদী ও তার ড্রাইভারের চোখ, মুখ, হাত বেঁধে গাড়ির ভিতরে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে তাদের নিকটে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দ্রুত চলে যায়।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-১১, সদর কোম্পানী, নারায়ণগঞ্জ ও র্যাব-০৩, সিপিসি-১, শাহজাহানপুর এর একটি যৌথ চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে ২৪ মে, ২০২৫ ইং তারিখে আনুমানিক ১৬:৩০ ঘটিকায় ডিএমপি ঢাকার বাড্ডা থানাধীন গুলশান লেক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার তদন্তে প্রাপ্ত সন্ধিগ্ধ আসামী বাবলু ওরফে বাবুল (৩৮), পিতা-আনোয়ার আলী, মাতা-ছকিনা বেগম, সাং-বেরাইদ, চিনাদী (কসাই বাবলুর বাড়ি) থানা-বাড্ডা, ডিএমপি, ঢাকা‘কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী এসব ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।