ঢাকা , সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অপহরণ মামলার আসামী তানজিলা আক্তার কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ও ভিকটিম উদ্ধার। শেরপুরে ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা  বদরগঞ্জে পৃথক স্হানে নদীতে গোসল করতে নেমে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নীলফামারীতে বার বার হামলার শিকার হয়েও আইনি সহায়তা পাচ্ছেনা সাংবাদিক আ’লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে স্কুলের গাছ চুরির সময় ছাত্রদল নেতা আটক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তানোরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা পঞ্চগড় সবুজ আন্দোলনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও গাছের চারা বিতরণ ত্রিশালে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে ইত্তেফাকুল উলামা পিআর পদ্ধতি ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতি জনগণ মানবে না -এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। রাজধানীর মতিঝিলে পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত

মাধবপুরে ভাবী ও ভাতিজিসহ ৩জনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তাহের উদ্দিনের ফাঁসি

মাধবপুরে ভাবী ও ভাতিজিসহ ৩জনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তাহের উদ্দিনের ফাঁসি

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের মাধবপুরের ধর্মঘরের বীরসিংহপাড়ার পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাবী ও ভাতিজিসহ তিনজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো.কায়সার মোশাররফ ইউসুফ এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত শাহ আলম মাধবপুর উপজেলার বীরসিংহপাড়ার প্রয়াত সৈয়দ হোসেনের ছেলে।

আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণার পর তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতের স্টেনোগ্রাফার মুখলেছুর রহমান জানান, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় বিচারক তাকে আলাদা তিনটি মৃত্যুদণ্ড ও তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন।

আসামি ২০১৬ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন নিহতরা হলেন, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত শাহ আলমের ভাবী ও বীরসিংহপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা খাতুন (৪৫), মেয়ে শারমিন আক্তার (২৩) ও তাদের প্রতিবেশী আব্দুল আলীমের ছেলে শিমুল মিয়া (২৫)।

মামলার নথি থেকে জানা যায়,পাওনা টাকা ও পারিবারিক বিরোধের জেরে শাহ আলম ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় জাহানারা ও শারমিনকে তাদের ঘরে ঢুকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় আহতদের চিৎকারে শিমুল এগিয়ে আসলে ছুরিকাঘাত করেন তাকেও। এতে জাহানারা ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং বাকী দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সময় নিহতদের স্বামী ও পিতা তখন দুবাই প্রবাসে ছিলেন, বিধায় তার ভগ্নিপতি হাজী মো. মোহন মিয়া একমাত্র আসামি শাহ আলমের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ কয়েকদিন পর তাকে গ্রেপ্তার করে।bএরপর আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আলম জানান, তিনি গ্রীস প্রবাসে থাকার সময় জাহানারাকে কয়েক দফা টাকা পাঠান, এছাড়াও পৈতৃক সম্পত্তি বঞ্চিত হওযার ক্ষোভে দেশে ফিরে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর মাধবপুর থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগত্র দাখিল করে।
দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর ধরে বিচার চলাকালে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত রায় দিয়েছেন। নিহত জাহানারার স্বামী গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমি আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি। এখন দ্রুত রায়ের বাস্তবায়ন চাই। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আফজাল হোসেনও রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, এ রায় দ্রুত বাস্তবায়ন হলে লোকজন এমন অপরাধ করতে ভয় পাবে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

অপহরণ মামলার আসামী তানজিলা আক্তার কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ও ভিকটিম উদ্ধার।

মাধবপুরে ভাবী ও ভাতিজিসহ ৩জনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তাহের উদ্দিনের ফাঁসি

আপডেট সময় ০৪:৪৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের মাধবপুরের ধর্মঘরের বীরসিংহপাড়ার পারিবারিক বিরোধের জেরে ভাবী ও ভাতিজিসহ তিনজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে শাহ আলম ওরফে তাহের উদ্দিন (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো.কায়সার মোশাররফ ইউসুফ এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের আদেশপ্রাপ্ত শাহ আলম মাধবপুর উপজেলার বীরসিংহপাড়ার প্রয়াত সৈয়দ হোসেনের ছেলে।

আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণার পর তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতের স্টেনোগ্রাফার মুখলেছুর রহমান জানান, তিনজনকে হত্যার ঘটনায় বিচারক তাকে আলাদা তিনটি মৃত্যুদণ্ড ও তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন।

আসামি ২০১৬ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন নিহতরা হলেন, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত শাহ আলমের ভাবী ও বীরসিংহপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী জাহানারা খাতুন (৪৫), মেয়ে শারমিন আক্তার (২৩) ও তাদের প্রতিবেশী আব্দুল আলীমের ছেলে শিমুল মিয়া (২৫)।

মামলার নথি থেকে জানা যায়,পাওনা টাকা ও পারিবারিক বিরোধের জেরে শাহ আলম ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় জাহানারা ও শারমিনকে তাদের ঘরে ঢুকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় আহতদের চিৎকারে শিমুল এগিয়ে আসলে ছুরিকাঘাত করেন তাকেও। এতে জাহানারা ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং বাকী দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সময় নিহতদের স্বামী ও পিতা তখন দুবাই প্রবাসে ছিলেন, বিধায় তার ভগ্নিপতি হাজী মো. মোহন মিয়া একমাত্র আসামি শাহ আলমের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ কয়েকদিন পর তাকে গ্রেপ্তার করে।bএরপর আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আলম জানান, তিনি গ্রীস প্রবাসে থাকার সময় জাহানারাকে কয়েক দফা টাকা পাঠান, এছাড়াও পৈতৃক সম্পত্তি বঞ্চিত হওযার ক্ষোভে দেশে ফিরে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর মাধবপুর থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগত্র দাখিল করে।
দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর ধরে বিচার চলাকালে ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত রায় দিয়েছেন। নিহত জাহানারার স্বামী গিয়াসউদ্দিন বলেন, আমি আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছি। এখন দ্রুত রায়ের বাস্তবায়ন চাই। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আফজাল হোসেনও রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, এ রায় দ্রুত বাস্তবায়ন হলে লোকজন এমন অপরাধ করতে ভয় পাবে।