নিজস্ব প্রতিবেদক : র্যাব-১৩ ও র্যাব-৪ এর যৌথ অভিযানে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার চাঞ্চল্যকর কবরের পাশে হাত-পা বাঁধা মহিলার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ০৩ জন আসামী গ্রেফতার।
‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’- এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে এলিট ফোর্সেস র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানিসহ মারাত্মক সব সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
বাদী কর্তৃক দায়েরকৃত এজাহারসূত্রে জানা যায় যে, ভিকটিম খাইরুন নাহার (২৬) এর সাথে প্রধান আসামি মোঃ তাজমুল হক (৩৩) এর আনুমানিক ০৮ বছর পূর্বে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। ভিকটিমের কোন সন্তান না হওয়ার কারণে আসামীগণ (পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন) বিভিন্নভাবে প্রধান আসামিকে অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য পরামর্শ দিতে থাকেন। যার ফলে আসামী ও ভিকটিমের মধ্যে মানসিক এবং পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। উক্ত ঘটনার জের ধরে গত ২১/০৪/২০২৫ তারিখ সকাল ০৮.০০ ঘটিকায় বালিয়াডাঙ্গী থানাধীন দুওসুও সনগাঁও গ্রামস্থ প্রধান আসামির বসতবাড়ির ২০০ গজ দক্ষিনে বাঁশঝাড়ের মধ্যে আসামীর পিতার কবরের পাশে ভিকটিমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নম্বর ১৫, তারিখ ২১/০৪/২০২৫।
এরই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তথ্য ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৪/০৫/২০২৫খ্রিঃ হত্যা মামলার পলাতক আসামীদের অবস্থান নির্ণয় করতঃ র্যাব-১৩, সিপিসি-১, দিনাজপুর এর চৌকস আভিযানিক দল ভোর ০৪.৫০ ঘটিকার সময় দিনাজপুর জেলার সদর থানাধীন মোহনপুর রাবার ড্যাম এলাকা থেকে আসামী ১। মোঃ শফিকুল ইসলাম (৪৯), পিতা – সমু মোহাম্মদ, সাং- উত্তর পাড়িয়া (বঙ্গাভিটা) এবং র্যাব-৪, সদর কোম্পানি, মিরপুর-১, ঢাকা এর সহযোগিতায় ভোর ০৫.০০ ঘটিকার সময় ডিএমপি ঢাকার শাহআলী থানাধীন উত্তর বিশিল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী ২। মোছাঃ ফরিদা (৪৫), স্বামী- ওমের আলী, ৩। মোঃ ওমের আলী (৪৯), পিতা- মৃত ইউসুফ আলী, উভয় সাং- দুওসুও সনগাঁও চৌধুরীপাড়া, সর্ব থানা- বালিয়াডাঙ্গী, জেলা- ঠাকুরগাঁও’দেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।