ঢাকা , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মঠবাড়িয়ায় বিএনপির সদস্য ফরম বাছাই নিয়ে ছাত্রদল বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ – ৫ জন আহত পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা, বিক্ষোভের পর কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ‎ রশুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নেয়া কে কেন্দ্র করে অভিভাবকদের ক্ষোভ ভোলা সদর উপজেলা জাতীয় পার্টি’র উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন রবির হলে পঞ্চাশ শতাংশ সিট পাবে নবীন শিক্ষার্থীরা পাবনার সাঁথিয়া ধূলাউড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ নজরুল ইসলাম নজু। সাহেবর উন্নয়ন মুলক কাজ। ভ্যানে শাক সব্জি বিক্রি করেই চলে তার জীবন  ফরিদগঞ্জে বিএনপি অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি  আটক। গাজীপুর শ্রীপুরে স্ত্রীর আত্মহত্যায় স্বামী গ্রেপ্তার, জনমনে জেগেছে প্রশ্ন! সাজা পরোয়ানাভুক্ত আসামী কামারুজ্জামান জুয়েল কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

কাউখালীতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ গাইড বই বিক্রি হচ্ছে 

কাউখালীতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ গাইড বই বিক্রি হচ্ছে 

 

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি। 
পিরোজপুরের কাউখালীতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গাইড বই ছাড়া সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের বই শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় কম। এদিকে অধিক মূল্যর গাইড বই কিনতে অধিকাংশ অভিভাবকরা হিমশিম খাচ্ছেন।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার সমূহে শিক্ষার্থীদের গাইড বই পড়ানো হয়। সরকারের দেওয়া বই পড়ানো হয় কম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। একশ্রেণীর শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের গাইড কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন। মাধ্যমিক স্তরে শ্রেণীভেদে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে এক সেট গাইড বই কিনতে হয়। মাদ্রাসার স্তরে নবম থেকে দশম শ্রেণীতে ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায় গাইড বই কিনতে হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৫০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকায় গাইড বই বিক্রি হচ্ছে। প্রাথমিক শাখায় শিক্ষকদের পছন্দের বই হল লেকচার, পাঞ্জেরী, পপি ও টিচার্স, মাধ্যমিক শাখায় লেকচার ও পাঞ্জেরী।
উপজেলার দাসেরকাঠি গ্রামের অভিভাবক এনায়েত হোসেন, শিয়াল কাঠি গ্রামের অভিভাবক সারোয়ার হোসেন, আমরাজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা কুলসুম বেগম বলেন, শিক্ষকরা সরকারি বইয়ের গুরুত্ব কম দিয়ে গাইড বই পড়াতে বেশি অভ্যস্ত।
অধিকাংশ অভিভাবকরা জানান, শিক্ষকরা কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের বলেন গাইড বইয়ে পড়া সহজ যা তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে তাই তোমরা গাইড বই পড়ো। অভিভাবকরা আরও জানান শিক্ষকরা তাদের পছন্দের কোম্পানির গাইড বইয়ের তালিকা হাতে ধরিয়ে দেন। এখানে ছাত্র অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অসহায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন, গাইড বই কেনাবেচা আইনত নিষিদ্ধ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাইড বই পড়ানো যাবেনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হইবে। এবং অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় বিএনপির সদস্য ফরম বাছাই নিয়ে ছাত্রদল বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ – ৫ জন আহত

কাউখালীতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ গাইড বই বিক্রি হচ্ছে 

আপডেট সময় ০৩:৩৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

 

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি। 
পিরোজপুরের কাউখালীতে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গাইড বই ছাড়া সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের বই শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় কম। এদিকে অধিক মূল্যর গাইড বই কিনতে অধিকাংশ অভিভাবকরা হিমশিম খাচ্ছেন।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার সমূহে শিক্ষার্থীদের গাইড বই পড়ানো হয়। সরকারের দেওয়া বই পড়ানো হয় কম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। একশ্রেণীর শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের গাইড কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন। মাধ্যমিক স্তরে শ্রেণীভেদে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে এক সেট গাইড বই কিনতে হয়। মাদ্রাসার স্তরে নবম থেকে দশম শ্রেণীতে ৪ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকায় গাইড বই কিনতে হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৫০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকায় গাইড বই বিক্রি হচ্ছে। প্রাথমিক শাখায় শিক্ষকদের পছন্দের বই হল লেকচার, পাঞ্জেরী, পপি ও টিচার্স, মাধ্যমিক শাখায় লেকচার ও পাঞ্জেরী।
উপজেলার দাসেরকাঠি গ্রামের অভিভাবক এনায়েত হোসেন, শিয়াল কাঠি গ্রামের অভিভাবক সারোয়ার হোসেন, আমরাজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা কুলসুম বেগম বলেন, শিক্ষকরা সরকারি বইয়ের গুরুত্ব কম দিয়ে গাইড বই পড়াতে বেশি অভ্যস্ত।
অধিকাংশ অভিভাবকরা জানান, শিক্ষকরা কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের বলেন গাইড বইয়ে পড়া সহজ যা তোমাদের পড়তে সুবিধা হবে তাই তোমরা গাইড বই পড়ো। অভিভাবকরা আরও জানান শিক্ষকরা তাদের পছন্দের কোম্পানির গাইড বইয়ের তালিকা হাতে ধরিয়ে দেন। এখানে ছাত্র অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অসহায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন, গাইড বই কেনাবেচা আইনত নিষিদ্ধ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাইড বই পড়ানো যাবেনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হইবে। এবং অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।