গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: ইয়ামিন ইসলাম ইমন।
গোপালগঞ্জ কাশিয়ানীর সাজাইল গ্রামের মোহাম্মদ কামাল হোসেন পিতা আব্দুর রাজ্জাক শেখ মাতা জুলেখা বেগম এর সাথে সাতক্ষীরা নিবাসী নাদিয়া সুলতানা পিতা কাজী বদরুজ্জামান মাতা শামসুন্নাহার সাতক্ষীরা সদর পারিবারিক ও সামাজিক ভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
উক্ত, বিয়ের পরে ছেলে কামাল হোসেনের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল না থাকায় শশুর কাজী বুদুজ্জামান তার নিজ খরচে ৮ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কুয়েত যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। বিদেশে থাকা অবস্থা কালীন সময় ৬ মাস ভরন পোষণ বাবদ প্রতিমাসে আঠারো হাজার টাকা করে তার স্ত্রী নাদিয়া সুলতানা কে পাঠায়।
ছয় মাস পরে তার স্ত্রীকে জমি ক্রয় করার কথা বলে সেজন্য কোন সাংসারিক খরচ পাঠায় নাই। তার স্ত্রীর কাছে বলে পাঠায় তাকে ১০ লক্ষ টাকার জমি করায় বাবত দিতে হবে না হলে তাকে ডিভোর্স প্রদান করিবে এবং সে তার সন্তানের কোন খরচ বহন করিবে না।
এমত অবস্থায় তার স্ত্রী দিশেহারা হয়ে তার সমস্ত সোনা গয়না এবং ব্যাংকের মাধ্যম থেকে তিন লক্ষ টাকা লোন নিয়ে মোট ১০ লক্ষ টাকা তাকে পাঠানো হয় সন্তান ও সংসারে আবদ্ধ থাকার জন্য। টাকা পাঠানোর পরে তার সাথে আমি আর কোন ভাবেই যোগাযোগ করতে পারি নাই।
নাদিয়া সুলতানা” আরো জানান, পরবর্তীতে কোথাও খোঁজ খবর না পেয়ে আমি দিশেহারা হয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি স্বামী কামাল হোসেনের খোঁজে যায়। আমি আমার সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি সব খুলে বলার পরে তার বাবা আমাকে উত্তর দেয় সে আমার সন্তান না তার কোন অর্থ সম্পদ আমার কাছে নাই আমি সন্তান বলে তাকে ত্যাজ্য করেছি।
এই নিয়ে আমার কাছে আর কোনদিন তুমি এবং তোমার সন্তান আসবে না। এমত অবস্থায় প্রশাসনের দ্বারগ্রস্ত হই। অর্থ সম্পত্তি এবং থাকার বাসস্থান সবকিছু হারিয়ে আমি ও আমার সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতেছে। আমি দেশ জাতীয় জনগণের কাছে এই প্রতারক কামাল হোসেনের ন্যায্য বিচার চাই।