ঢাকা , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
রাজস্থলীতে সিএনজি-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১,আহত ২ মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে কুড়িগ্রামের উলিপুরে সংবাদ সম্মেলন যেনতেন একটা নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের জনগণের উপরে আবার জুলুমতন্ত্র চালু হবে সেটা হতে দেয়া হবে না : অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল  বানারীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম আব্দুল মন্নানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন বিপুল পরিমান গাঁজাসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।  মঠবাড়িয়ায় বিএনপির সদস্য ফরম বাছাই নিয়ে ছাত্রদল বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ – ৫ জন আহত পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা, বিক্ষোভের পর কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ‎ রশুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নেয়া কে কেন্দ্র করে অভিভাবকদের ক্ষোভ ভোলা সদর উপজেলা জাতীয় পার্টি’র উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন রবির হলে পঞ্চাশ শতাংশ সিট পাবে নবীন শিক্ষার্থীরা

ভোলার মেঘনায় তীব্র ভাঙন, ঘরবাড়ী ও ফসলি জমি বিলীন, আতংকিত নদীর পাড়ের মানুষ

ভোলার মেঘনায় তীব্র ভাঙন, ঘরবাড়ী ও ফসলি জমি বিলীন, আতংকিত নদীর পাড়ের মানুষ

 

আশিকুর রহমান শান্ত ভোলা প্রতিনিধি, উজানের পানির চাপে ভোলার মেঘনায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কিছু ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। হুমকির মুখে পড়েছে মাছ ঘাট, শত শত ঘরবাড়ি, বাজার ও মসজিদসহ বহু মাছের ঘের। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে নদী ভাঙ্গুলী পাড়ের মানুষ।

সম্প্রতি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনামুল হক। গত শনিবার শিবপুর ইউনিয়নের মাছঘাট ও সুইচগেট এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মিজানুর রহমান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান।

স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। আমরা চরম আতংকের মধ্যে আছি। বেঁরী বাঁধ ভেঙ্গে গেলে অতি জোঁয়ার ও স্রোতে আমরা ভেসে যাবো। বর্তমানে বেঁরী বাঁধ থেকে নদী মাত্র ১শ’ ফুট দুরে রয়েছে। এটি অচিরেই ভেঙ্গে যাবে।

ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ভোলা সদর উপজেলার  শিবপুর ইউনিয়নের সুইচগেট পয়েন্টে যে  মাছ ঘাট রয়েছে সেখান থেকে  প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এখন ভাঙন চলমান ররেছে। নদী ভাঙ্গন রক্ষায় যে প্রকল্প পাঠিয়েছি তা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া ভোলা খাল সচল রাখতে খাল খনন ও প্রশস্থকরন এবং সুইস গেটটি আরও আধুনিক করতে ৬৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে তা পাশ হলে কাজ শুরু করা হবে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, শিবপুর ইউনিয়নটি মেঘনা নদীর তীরবর্তী। বেঁরী বাঁধ থেকে নদীর দুরত্ব ৬০ থেকে ৭০ মিটার। বর্তমানে এ এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে ৪ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ এবং ৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মানের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৬০ মিটার দৈর্ঘ্য নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এটার মাধ্যমে আমরা সাময়িক ভাবে ভাঙ্গন রোধ করতে পারবো।

পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের সচিব নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে নদী ভাঙ্গন সম্পূর্ণ রোধ করা সম্ভব হবে।

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজস্থলীতে সিএনজি-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১,আহত ২

ভোলার মেঘনায় তীব্র ভাঙন, ঘরবাড়ী ও ফসলি জমি বিলীন, আতংকিত নদীর পাড়ের মানুষ

আপডেট সময় ১২:২১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

 

আশিকুর রহমান শান্ত ভোলা প্রতিনিধি, উজানের পানির চাপে ভোলার মেঘনায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে বেশ কিছু ঘরবাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। হুমকির মুখে পড়েছে মাছ ঘাট, শত শত ঘরবাড়ি, বাজার ও মসজিদসহ বহু মাছের ঘের। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে নদী ভাঙ্গুলী পাড়ের মানুষ।

সম্প্রতি ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এনামুল হক। গত শনিবার শিবপুর ইউনিয়নের মাছঘাট ও সুইচগেট এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মিজানুর রহমান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান।

স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। আমরা চরম আতংকের মধ্যে আছি। বেঁরী বাঁধ ভেঙ্গে গেলে অতি জোঁয়ার ও স্রোতে আমরা ভেসে যাবো। বর্তমানে বেঁরী বাঁধ থেকে নদী মাত্র ১শ’ ফুট দুরে রয়েছে। এটি অচিরেই ভেঙ্গে যাবে।

ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, ভোলা সদর উপজেলার  শিবপুর ইউনিয়নের সুইচগেট পয়েন্টে যে  মাছ ঘাট রয়েছে সেখান থেকে  প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এখন ভাঙন চলমান ররেছে। নদী ভাঙ্গন রক্ষায় যে প্রকল্প পাঠিয়েছি তা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া ভোলা খাল সচল রাখতে খাল খনন ও প্রশস্থকরন এবং সুইস গেটটি আরও আধুনিক করতে ৬৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে তা পাশ হলে কাজ শুরু করা হবে।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, শিবপুর ইউনিয়নটি মেঘনা নদীর তীরবর্তী। বেঁরী বাঁধ থেকে নদীর দুরত্ব ৬০ থেকে ৭০ মিটার। বর্তমানে এ এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙ্গন রোধে ৪ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ এবং ৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মানের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৬০ মিটার দৈর্ঘ্য নদী ভাঙ্গন রোধে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এটার মাধ্যমে আমরা সাময়িক ভাবে ভাঙ্গন রোধ করতে পারবো।

পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের সচিব নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। প্রকল্পটি অনুমোদন হলে নদী ভাঙ্গন সম্পূর্ণ রোধ করা সম্ভব হবে।