মো নাহিদুর রহমান শামীম মানিকগঞ্জ
আজ দুপুর মানিকগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতে, এ মামলা দায়ের করেন জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহরাব হোসাইন। ঘটনার প্রায় নয় মাস পর এই মামলা করা হলো।
মামলায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, এস এম জাহিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক জহিরুল আলম এবং ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনসহ, বহু নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ১৮ জুলাই সকাল ১০টার দিকে, ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা জেলা আইনজীবী সমিতির এক নম্বর ভবনের, সামনে থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করে খালপাড় সেতুর দিকে অগ্রসর হন।
এ সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, চাপাতি, রড়, হাতুড়ি, গ্যাস পাইপ ও লাঠি নিয়ে মহড়া দেন। মিছিল খালপাড় সেতুতে পৌঁছালে তারা ককটেল ও হাতবোমা বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। এতে অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।
পরে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানরা এলাকায় দ্বিতীয় দফায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময়ও ককটেল বিস্ফোরণ, গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের আহত করা হয়। আহতদের মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্স চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও উপপরিচালক আহতদের চিকিৎসা না করে জোরপূর্বক বের করে দেন বলে অভিযোগ করা হয়। পরে তারা বেসরকারি ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিচারক মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে।
তবে সদর থানার ওসি এস এম আমান উল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, এ বিষয়ে তিনি এখনো আদালতের কোনো কাগজপত্র পাননি, তবে মামলা হয়েছে বলে শুনেছেন।