ঢাকা , শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা বার্ষিক ভ্রমণে টাঙ্গুয়ার হাওরের পথে আমাদের কর্মকান্ডে ধানের শীষের একটি ভোট যেন অন্য দিকে না যায় সহ-সভাপতি নাজমা সরকার ময়মনসিংহের নান্দাইল মডেল থানার অভিযানে ট্রাক চোর চক্রের সদস্য গ্রেফতার ০১ কালীগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসলে নেমে শিশুর মৃত্যু তানোর-বায়া সড়কের ২ টি ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ খুলছে না নতুন ব্রিজের রাস্তা  নকলায় সংবর্ধিত হলেন বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সোনালী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা ব্রাহ্মণপাড়ায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতি গ্রস্তদের পাশে ব্যারিস্টার মামুন, ফায়ার সার্ভিস করে দেওয়ার আশ্বাস চুরির অপবাদ দিয়ে ব্রাহ্মণপাড়ায় এক ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত কুমিল্লা মিরপুর সড়ক চার লেনে উন্নীত করার দাবীতে মানববন্ধন বৈষম্যহীন ন্যায় ও ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে হলে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের বিকল্প নেই -মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল

রাজশাহী নগরীর বাঁদুড়তলা এলাকায় নারীর ঘরে বিবস্ত্র অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবল আটক

রাজশাহী নগরীর বাঁদুড়তলা এলাকায় নারীর ঘরে বিবস্ত্র অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবল আটক

 

 

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে এক তালাকপ্রাপ্তা নারীর ঘরে বিবস্ত্র অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করেছে স্থানীয়রা। বুধবার (৩০ এপ্রিল), দিনগত রাত ১২টার দিকে নগরীর মতিহার থানার তালাইমারি বাদুড়তলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করলে পুলিশ তাদেরকে থানায় নিয়ে আসে।

 

 

বৃহস্পতিবার (১ মে) বেলা ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা দুজনে পুলিশ হেফাজতে মতিহার থানায় রয়েছেন। ওই পুলিশ সদস্যের নাম টিএম নাছির উদ্দিন। তিনি সিরাজগঞ্জ সদরের সয়াগোবিন্দ নয়ন মোড় ভাঙ্গাবাড়ি এলাকার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী পুলিশ লাইনে ওয়ারলেস অপারেটর হিসেবে কর্মরত। পুলিশ সদস্য নাছির ও ওই নারীর এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে ভিডিওর কমেন্ট বক্সে বিভিন্ন মন্তব্য করেছে নেটিজেনরা। তবে ওই নারী ও পুলিশ সদস্যের দাবি- তারা কলমা পড়ে বিয়ে করেছেন। তবে তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি নেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তবে ওই নারী তালাকপ্রাপ্তা। এ দিন তারা রাতে নগরীর বাঁদুরতলা এলাকার মায়ের বাসায় গিয়েছিলেন। ওই বাড়িতে তাদের ধরে ফেলে স্থানীয়রা।

এ সময় নাছির ও ওই নারী জানান, তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তবে তাদের বিয়ের কাগজপত্র নেই। তারা কলেমা পড়ে মৌলভীর কাছে বিয়ে করেছেন। এ বিয়ের দু’জন মানুষ সাক্ষী রয়েছে। এছাড়া তারা যে এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন সেখানকার মসজিদের ইমাম ও মুসল্লিরা বিয়ের বিষয়টি জানে।

এ বিষয়ে মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, তাদের থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তারা বিয়ে করেছে বলে আমাদের জানিয়েছে। কিন্তু বিয়ের কোন কাগজপত্র নেই। তারা কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ সদস্যের পরিবারকেও জানানো হয়েছে। তারা এলে সবার সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা বার্ষিক ভ্রমণে টাঙ্গুয়ার হাওরের পথে

রাজশাহী নগরীর বাঁদুড়তলা এলাকায় নারীর ঘরে বিবস্ত্র অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবল আটক

আপডেট সময় ১২:১৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫

 

 

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে এক তালাকপ্রাপ্তা নারীর ঘরে বিবস্ত্র অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করেছে স্থানীয়রা। বুধবার (৩০ এপ্রিল), দিনগত রাত ১২টার দিকে নগরীর মতিহার থানার তালাইমারি বাদুড়তলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করলে পুলিশ তাদেরকে থানায় নিয়ে আসে।

 

 

বৃহস্পতিবার (১ মে) বেলা ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা দুজনে পুলিশ হেফাজতে মতিহার থানায় রয়েছেন। ওই পুলিশ সদস্যের নাম টিএম নাছির উদ্দিন। তিনি সিরাজগঞ্জ সদরের সয়াগোবিন্দ নয়ন মোড় ভাঙ্গাবাড়ি এলাকার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে। বর্তমানে তিনি রাজশাহী পুলিশ লাইনে ওয়ারলেস অপারেটর হিসেবে কর্মরত। পুলিশ সদস্য নাছির ও ওই নারীর এই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে ভিডিওর কমেন্ট বক্সে বিভিন্ন মন্তব্য করেছে নেটিজেনরা। তবে ওই নারী ও পুলিশ সদস্যের দাবি- তারা কলমা পড়ে বিয়ে করেছেন। তবে তাদের বিয়ের রেজিস্ট্রি নেই।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তারা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তবে ওই নারী তালাকপ্রাপ্তা। এ দিন তারা রাতে নগরীর বাঁদুরতলা এলাকার মায়ের বাসায় গিয়েছিলেন। ওই বাড়িতে তাদের ধরে ফেলে স্থানীয়রা।

এ সময় নাছির ও ওই নারী জানান, তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তবে তাদের বিয়ের কাগজপত্র নেই। তারা কলেমা পড়ে মৌলভীর কাছে বিয়ে করেছেন। এ বিয়ের দু’জন মানুষ সাক্ষী রয়েছে। এছাড়া তারা যে এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন সেখানকার মসজিদের ইমাম ও মুসল্লিরা বিয়ের বিষয়টি জানে।

এ বিষয়ে মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, তাদের থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তারা বিয়ে করেছে বলে আমাদের জানিয়েছে। কিন্তু বিয়ের কোন কাগজপত্র নেই। তারা কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ সদস্যের পরিবারকেও জানানো হয়েছে। তারা এলে সবার সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।