ঢাকা , শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুম্মার নামাজের সময় মটরসাইকেল চুরি জনতার হাতে মেম্বার পুত্র আটক অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে পৈল কমিউনিটি ক্লিনিক  সভাপতি কামরান সাধারণ সম্পাদক সাহান মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি অনুমোদন পিআর পদ্ধতিতের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব: আলহাজ মাসুদ সাঈদী গৌরীপুরে শিক্ষার্থীদের গাছের চারা উপহার গৌরীপুরের রুদিতা জাককানইবি’র ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম! অবহেলিত বঞ্চিত জগন্নাথপুর বাসির দাবী সংসদে আবারও উপস্থাপন করতে চাই মাও. শাহীনুর পাশা  ফুলবাড়ী দৌলতপুরে জমি জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারপিট  মাদক মুক্ত বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া হবে আগামী দিনের উন্নয়নের রোল মডেল হিজলায় বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ কার্যক্রম শুরু।

সেনা হত্যার পুনঃ এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি

সেনা হত্যার পুনঃ এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০০৯ সালে পিলখানায় সেনাহত্যার ‘প্রকৃত রহস্য’ উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে পুনঃ এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২৩ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সমঝোতার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় পরিকল্পিতভাবে ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে মর্মান্তিকভাবে হত্যা করে। আমরা নিহতদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ও তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। সেই সাথে তাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে হত্যা করে মূলত দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলার ষড়যন্ত্র করে। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার এই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক ঘটনায় অনেক নিরীহ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করে। তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দিয়ে কারাগারে আটক রাখে। অনেকে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও ফ্যাসিস্ট সরকারের ষড়যন্ত্রের কারণে তাদের মুক্তি মেলেনি।

গত আগস্টে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারের পতন ঘটে। দেশ আজ স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তিলাভ করেছে। জনগণ ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সেনা হত্যার নির্মম ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে চায়। আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে পুনঃ এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে এই নির্মম ‘প্রকৃত রহস্য’ উদ্ঘাটন করে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। যে সব নিরীহ-নিরপরাধ ব্যক্তি কারাগারে আটক আছেন তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পুনর্বাসনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। এ উপলক্ষ্যে সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের আহ্বান জানাচ্ছি।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জুম্মার নামাজের সময় মটরসাইকেল চুরি জনতার হাতে মেম্বার পুত্র আটক

সেনা হত্যার পুনঃ এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি

আপডেট সময় ০৮:১৭:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০০৯ সালে পিলখানায় সেনাহত্যার ‘প্রকৃত রহস্য’ উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে পুনঃ এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২৩ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সমঝোতার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় পরিকল্পিতভাবে ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে মর্মান্তিকভাবে হত্যা করে। আমরা নিহতদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ও তাদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। সেই সাথে তাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে হত্যা করে মূলত দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলার ষড়যন্ত্র করে। স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার এই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক ঘটনায় অনেক নিরীহ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিচারের নামে প্রহসনের আয়োজন করে। তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দিয়ে কারাগারে আটক রাখে। অনেকে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও ফ্যাসিস্ট সরকারের ষড়যন্ত্রের কারণে তাদের মুক্তি মেলেনি।

গত আগস্টে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারের পতন ঘটে। দেশ আজ স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তিলাভ করেছে। জনগণ ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সেনা হত্যার নির্মম ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে চায়। আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে পুনঃ এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে এই নির্মম ‘প্রকৃত রহস্য’ উদ্ঘাটন করে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। যে সব নিরীহ-নিরপরাধ ব্যক্তি কারাগারে আটক আছেন তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের পুনর্বাসনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। এ উপলক্ষ্যে সারাদেশে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের আহ্বান জানাচ্ছি।