ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুলাদীতে পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাক্রম গতিশীল করার লক্ষে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ অফিস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছেন জগন্নাথপুরবাসী। তারেক রহমানকে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও স্লোগানের প্রতিবাদে মহানগরীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আওয়ামিলীগ নেতা লোকমান বিএনপি নাম ভাঙ্গিয়ে পায়দা লোটার চেষ্টা  রাজশাহী নগরীতে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে মজিবর রহমান মজু’কে চাইছে ভালুকাবাসী  রাজশাহীতে বই পড়ে পুরস্কার পেল ছাত্র -ছাত্রীরা জুলাই শহীদদের স্মরণে মুন্সিগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  বাকেরগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু বরিশালে চাঁদাবাজি সহ একাধিক মামলা ! তদন্তে পুলিশ গৃহ ছারছেন সাংবাদিক 

বিদ্যুৎ অফিস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছেন জগন্নাথপুরবাসী।

মাসুম আহমদ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর থেকে বিদ্যুৎ প্রকৌশলী কার্যালয়ের ভবন অন্যত্র স্থান্তান্তের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন জগন্নাথপুরবাসী।
আজ শনিবার ( ১৯ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয় পৌরপয়েন্টে বিদ্যুৎ গ্রাহক, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসির উদ্যোগে বিশাল মানবন্ধব কর্মসুচি পালিত হয়েছে। ব্যবসায়ী আবুল লেইছ এর সভাপতিত্বে ও সংবাদকর্মী আব্দুল ওয়াহিদের পরিচালনায় বক্তব্য দেন ব্যবাসায়ী ফারুক আহমদ, আলী আকবর, হাবিবুর রহমান হাবিল, এনসিপি নেতা আলী হোসেন খান, জগন্নাথপুর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক লিটন মিয়া, মামুনুর রশীদ মামুন, সংবাদকর্মী আমিনুর রহমান জিলু সহ আরো অনেকে।
মানববন্ধন চলাচালে বক্তারাা বলেন, সদর এলাকা থেকে বিদ্যুৎ অফিস দুরবর্তী এলাকায় চলে গেলে শতকরা ৯০ ভাগ গ্রাহক চরম দুর্ভোগের শিকার হবেন। কারণ পিডিবির সিংহভাগ গ্রাহক উপজেলা সদরের। এছাড়াও হাওরাঞ্চলের মানুষ যাতায়াতে আরো বেশি ভোগান্তির শিকার হবে। পাশাপাশি বাড়বে বাড়তি খরছ। উপজেলা সদরের সরকারি ভূমি থাকার পরও সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দুরে কোন যুক্তিতে অফিস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই গ্রাহকদের সুযোগ সুবিদা চিন্তা করতে হবে। আমাদের নায্যা দাবী বিদ্যুৎ অফিস সদরে থাকবে। অন্যথায় জগন্নাথপুরবাসী বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে র দিকে সিলেটের বড়কান্দি এলাকা থেকে ৩৩ হাজার কেভি সংযোগ লাইনের মাধ্যমে জগন্নাথপুর উপজেলায় প্রথম পিডিবি’র (বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নন বোর্ড) বিদ্যুৎ চালু হয়। ওই সময় উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে পাশে ভাড়া ভবনে বিদ্যুৎ অফিস স্থাপিত হয়।
বিগত সরকারের শাসনামলে ২০২৩ সালের দিকে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার যোগসাজসে উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দুরে ইনাতনগর এলাকায় বিদ্যুৎ অফিসের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়।
বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে, উপজেলাবাসি উপজেলা সদরের বিআরডি ভবনের পাশে সরকারি ভূমিতে বিদ্যুৎ অফিস নির্মাণের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন জায়গা নির্ধারিত প্রয়োজনীয় প্রস্তুুতির কাজও শুরু করেছেন। কিন্তুু সম্প্রতিকালে আবারও শুনা যাচ্ছে বিদ্যুৎ অফিস সদর থেকে সরানো হচ্ছে। এতে করে ফের ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছেন জগন্নাথপুরের মানুষ।
জগন্নাথপুরের স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহক রুহেল আহমদ বলেন, ৪০ বছর ধরে সদরের বিদ্যুৎ অফিসে সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। হঠাৎ করে সদর থেকে দুরবর্তী এলাকায় অফিস সরিয়ে নেতার খবরে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আমরা কোনভাবে বিদ্যুৎ অফিস অন্যত্র যেতে নেব না। প্রয়োজনে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম আজাদ বলেন, জগন্নাথপুরে বিদ্যুৎ চালুর প্রথম থেকে ভাড়া ভবনে আমরা অফিস পরিচালনা করে আসছি। স্থানীভাবে অফিস করার জন্য বিগত সরকার জায়গা নির্ধারণ করেছে। তবে এলাকাবাসি দাবী জানিয়ে আসছেন সদরে অফিস করার জন্য। বিষয়টি আমরা উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

মুলাদীতে পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাক্রম গতিশীল করার লক্ষে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

বিদ্যুৎ অফিস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছেন জগন্নাথপুরবাসী।

আপডেট সময় ১১:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
মাসুম আহমদ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর থেকে বিদ্যুৎ প্রকৌশলী কার্যালয়ের ভবন অন্যত্র স্থান্তান্তের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন জগন্নাথপুরবাসী।
আজ শনিবার ( ১৯ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয় পৌরপয়েন্টে বিদ্যুৎ গ্রাহক, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসির উদ্যোগে বিশাল মানবন্ধব কর্মসুচি পালিত হয়েছে। ব্যবসায়ী আবুল লেইছ এর সভাপতিত্বে ও সংবাদকর্মী আব্দুল ওয়াহিদের পরিচালনায় বক্তব্য দেন ব্যবাসায়ী ফারুক আহমদ, আলী আকবর, হাবিবুর রহমান হাবিল, এনসিপি নেতা আলী হোসেন খান, জগন্নাথপুর বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক লিটন মিয়া, মামুনুর রশীদ মামুন, সংবাদকর্মী আমিনুর রহমান জিলু সহ আরো অনেকে।
মানববন্ধন চলাচালে বক্তারাা বলেন, সদর এলাকা থেকে বিদ্যুৎ অফিস দুরবর্তী এলাকায় চলে গেলে শতকরা ৯০ ভাগ গ্রাহক চরম দুর্ভোগের শিকার হবেন। কারণ পিডিবির সিংহভাগ গ্রাহক উপজেলা সদরের। এছাড়াও হাওরাঞ্চলের মানুষ যাতায়াতে আরো বেশি ভোগান্তির শিকার হবে। পাশাপাশি বাড়বে বাড়তি খরছ। উপজেলা সদরের সরকারি ভূমি থাকার পরও সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দুরে কোন যুক্তিতে অফিস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই গ্রাহকদের সুযোগ সুবিদা চিন্তা করতে হবে। আমাদের নায্যা দাবী বিদ্যুৎ অফিস সদরে থাকবে। অন্যথায় জগন্নাথপুরবাসী বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবে।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে র দিকে সিলেটের বড়কান্দি এলাকা থেকে ৩৩ হাজার কেভি সংযোগ লাইনের মাধ্যমে জগন্নাথপুর উপজেলায় প্রথম পিডিবি’র (বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নন বোর্ড) বিদ্যুৎ চালু হয়। ওই সময় উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে পাশে ভাড়া ভবনে বিদ্যুৎ অফিস স্থাপিত হয়।
বিগত সরকারের শাসনামলে ২০২৩ সালের দিকে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতার যোগসাজসে উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দুরে ইনাতনগর এলাকায় বিদ্যুৎ অফিসের জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হয়।
বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে, উপজেলাবাসি উপজেলা সদরের বিআরডি ভবনের পাশে সরকারি ভূমিতে বিদ্যুৎ অফিস নির্মাণের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন জায়গা নির্ধারিত প্রয়োজনীয় প্রস্তুুতির কাজও শুরু করেছেন। কিন্তুু সম্প্রতিকালে আবারও শুনা যাচ্ছে বিদ্যুৎ অফিস সদর থেকে সরানো হচ্ছে। এতে করে ফের ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছেন জগন্নাথপুরের মানুষ।
জগন্নাথপুরের স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহক রুহেল আহমদ বলেন, ৪০ বছর ধরে সদরের বিদ্যুৎ অফিসে সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। হঠাৎ করে সদর থেকে দুরবর্তী এলাকায় অফিস সরিয়ে নেতার খবরে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আমরা কোনভাবে বিদ্যুৎ অফিস অন্যত্র যেতে নেব না। প্রয়োজনে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম আজাদ বলেন, জগন্নাথপুরে বিদ্যুৎ চালুর প্রথম থেকে ভাড়া ভবনে আমরা অফিস পরিচালনা করে আসছি। স্থানীভাবে অফিস করার জন্য বিগত সরকার জায়গা নির্ধারণ করেছে। তবে এলাকাবাসি দাবী জানিয়ে আসছেন সদরে অফিস করার জন্য। বিষয়টি আমরা উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।