ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুলাদীতে পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাক্রম গতিশীল করার লক্ষে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ অফিস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছেন জগন্নাথপুরবাসী। তারেক রহমানকে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও স্লোগানের প্রতিবাদে মহানগরীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আওয়ামিলীগ নেতা লোকমান বিএনপি নাম ভাঙ্গিয়ে পায়দা লোটার চেষ্টা  রাজশাহী নগরীতে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে মজিবর রহমান মজু’কে চাইছে ভালুকাবাসী  রাজশাহীতে বই পড়ে পুরস্কার পেল ছাত্র -ছাত্রীরা জুলাই শহীদদের স্মরণে মুন্সিগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  বাকেরগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু বরিশালে চাঁদাবাজি সহ একাধিক মামলা ! তদন্তে পুলিশ গৃহ ছারছেন সাংবাদিক 

প্রকৌশলী কিবরিয়া আ’লীগ সরকারের সুবিধা ভোগ করে এখন জাতীয়তাবাদী চেতনার নেতা

প্রকৌশলী কিবরিয়া আ’লীগ সরকারের সুবিধা ভোগ করে এখন জাতীয়তাবাদী চেতনার নেতা

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময়ের সুবিধা ভোগী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া এখন বোল পাল্টে জাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক-বাহক সেজেছেন। তার দাপটে ও তদবিরে পুরো নগর ভবনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এখন অতিষ্ঠ। জাতীয়তাবাদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদকের পরিচয়ে তিনি এখন নগর ভবন নিয়ন্ত্রণ করছেন।

 

ইতোমধ্যে সহকারী প্রকৌশলীদের থেকে কোন বাছাই কমিটির অনমোদন বা ছাড়পত্রের অপেক্ষা না করে নিজে নিজেই বাজার সার্কেল মাকেট নির্মাণ সেলের নির্বাহী প্রকৌশলী পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। বলা যায় তিনি নিজেই যেন পুরো নগর ভবনেরই অধিকর্তা। তার কথায় পদোন্নতি, বদলি সব কিছু হচ্ছে। সর্বশেষ অভিযোগ উঠেছে যে গত মাসের শেষের দিকে সাবেক ছাত্রলীগের এক নেতাকে অনৈতিক লেনদেনের বিনিময়ে রাজস্ব কর্মকর্তা থেকে উপ-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে তারই সুপারিশে। যে রাজস্ব কর্মকর্তা সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে দুদককে সকল তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছে এবং নিজে দুদকের সে মামলায় সাক্ষী হয়েছে।

 

অথচ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের অন্যতম নায়ক শেখ পরিবারের সদস্য মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের স্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে এতোদিন ব্যাপক সুবিধা ভোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া। আওয়ামী লীগের আমলে যেখানে বিএনপির সাথে সামান্যতম সংশ্লিষ্ট পেলেই তাকে নানাভাবে হয়রানি এবং চাকরিচ্যুত পর্যন্ত করা হয়েছে। সেখানে তিনি ওই সময় দিব্যি দাপটের সাথে চাকরি করেছেন, প্রমোশন পেয়েছেন। আর গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর তিনি রাতারাতি বোল পাল্টে আবার জাতীয়তাবাদী লেবাস ধারণ করেছেন। তার এই কর্মকান্ডে প্রকৃত জাতীয়তাবাদী যারা এতোদিন সুবিধা বঞ্চিত ছিলেন তাদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম নিচ্ছে।

 

গোলাম কিবরিয়া মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সময়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। সেই সময়ের নিয়োগের বিষয়টিকে এখন তিনি তার স্বার্থ হাসিলের কাজে লাগাচ্ছেন। সবাইকে বলে রেড়াচ্ছেন তিনি বিএনপির লোক। সাদেক হোসেন খোকা তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি কখনো বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাসের নাম ভাঙাচ্ছেন। কখনো তিনি মজনুর লোক বলে পরিচয় দিচ্ছেন।

 

তিনি সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নাম ভাঙিয়েও সিটি কর্পোরেশনে দাপট দেখাচ্ছেন। বিএনপির নেতাদের কথা বলে এবং সে সময়ের নিয়োগ প্রাপ্ত এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের নেতার পরিচয় দিয়ে তিনি বর্তমান প্রশাসনকে পর্যন্ত তোড়াই কেয়ার করছেন। বর্তমানে তিনি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছে না। ধানমন্ডি এলাকায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের একাধিক রেস্টুরেন্ট যেমন ডিঙ্গি, পানসি, সাম্পান এগুলো তিনি বেনামে নিয়ে পরিচালনা করছেন এমন অভিযোগ রয়েছে।

 

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, তার বিরুদ্ধে যে সব কথা বলা হচ্ছে এগুলো ষড়যন্ত্রমূলক। তিনি জাতীয়তাবদী আদর্শের একজন সৈনিক বলে দাবি করেন। তিনি সূত্রাপুর থানা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগের সময় তাকে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এরপর তিনি আইনী লড়াই করে আবার স্বপদে ফিরেছেন।

 

তিনি বর্তমানে জাতীয়তাবাদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বলেও জানান, বিএনপির গন্ধ থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকার যেখানে অন্যদের বরখাস্ত এবং নানাভাবে হয়রানি করেছে, সেখানে তিনি বিএনপির আদর্শের এতো বড় নেতা হয়েও কীভাবে এতোদিন চাকরি করলেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার মতো আরো অনেকেই চাকরি করেছেন। নগর ভবনে যারা চাকরি করেন তাদের আশি শতাংশই বিএনপি পন্থী। তাই সবাইকে কি বাদ দেয়া সম্ভব?

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুলাদীতে পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাক্রম গতিশীল করার লক্ষে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

প্রকৌশলী কিবরিয়া আ’লীগ সরকারের সুবিধা ভোগ করে এখন জাতীয়তাবাদী চেতনার নেতা

আপডেট সময় ০৭:০১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময়ের সুবিধা ভোগী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া এখন বোল পাল্টে জাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক-বাহক সেজেছেন। তার দাপটে ও তদবিরে পুরো নগর ভবনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এখন অতিষ্ঠ। জাতীয়তাবাদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদকের পরিচয়ে তিনি এখন নগর ভবন নিয়ন্ত্রণ করছেন।

 

ইতোমধ্যে সহকারী প্রকৌশলীদের থেকে কোন বাছাই কমিটির অনমোদন বা ছাড়পত্রের অপেক্ষা না করে নিজে নিজেই বাজার সার্কেল মাকেট নির্মাণ সেলের নির্বাহী প্রকৌশলী পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। বলা যায় তিনি নিজেই যেন পুরো নগর ভবনেরই অধিকর্তা। তার কথায় পদোন্নতি, বদলি সব কিছু হচ্ছে। সর্বশেষ অভিযোগ উঠেছে যে গত মাসের শেষের দিকে সাবেক ছাত্রলীগের এক নেতাকে অনৈতিক লেনদেনের বিনিময়ে রাজস্ব কর্মকর্তা থেকে উপ-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়েছে তারই সুপারিশে। যে রাজস্ব কর্মকর্তা সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে দুদককে সকল তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছে এবং নিজে দুদকের সে মামলায় সাক্ষী হয়েছে।

 

অথচ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের অন্যতম নায়ক শেখ পরিবারের সদস্য মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের স্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে এতোদিন ব্যাপক সুবিধা ভোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া। আওয়ামী লীগের আমলে যেখানে বিএনপির সাথে সামান্যতম সংশ্লিষ্ট পেলেই তাকে নানাভাবে হয়রানি এবং চাকরিচ্যুত পর্যন্ত করা হয়েছে। সেখানে তিনি ওই সময় দিব্যি দাপটের সাথে চাকরি করেছেন, প্রমোশন পেয়েছেন। আর গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর তিনি রাতারাতি বোল পাল্টে আবার জাতীয়তাবাদী লেবাস ধারণ করেছেন। তার এই কর্মকান্ডে প্রকৃত জাতীয়তাবাদী যারা এতোদিন সুবিধা বঞ্চিত ছিলেন তাদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম নিচ্ছে।

 

গোলাম কিবরিয়া মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সময়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। সেই সময়ের নিয়োগের বিষয়টিকে এখন তিনি তার স্বার্থ হাসিলের কাজে লাগাচ্ছেন। সবাইকে বলে রেড়াচ্ছেন তিনি বিএনপির লোক। সাদেক হোসেন খোকা তাকে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি কখনো বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাসের নাম ভাঙাচ্ছেন। কখনো তিনি মজনুর লোক বলে পরিচয় দিচ্ছেন।

 

তিনি সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নাম ভাঙিয়েও সিটি কর্পোরেশনে দাপট দেখাচ্ছেন। বিএনপির নেতাদের কথা বলে এবং সে সময়ের নিয়োগ প্রাপ্ত এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের নেতার পরিচয় দিয়ে তিনি বর্তমান প্রশাসনকে পর্যন্ত তোড়াই কেয়ার করছেন। বর্তমানে তিনি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছে না। ধানমন্ডি এলাকায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের একাধিক রেস্টুরেন্ট যেমন ডিঙ্গি, পানসি, সাম্পান এগুলো তিনি বেনামে নিয়ে পরিচালনা করছেন এমন অভিযোগ রয়েছে।

 

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া বলেন, তার বিরুদ্ধে যে সব কথা বলা হচ্ছে এগুলো ষড়যন্ত্রমূলক। তিনি জাতীয়তাবদী আদর্শের একজন সৈনিক বলে দাবি করেন। তিনি সূত্রাপুর থানা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। আওয়ামী লীগের সময় তাকে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এরপর তিনি আইনী লড়াই করে আবার স্বপদে ফিরেছেন।

 

তিনি বর্তমানে জাতীয়তাবাদী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বলেও জানান, বিএনপির গন্ধ থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকার যেখানে অন্যদের বরখাস্ত এবং নানাভাবে হয়রানি করেছে, সেখানে তিনি বিএনপির আদর্শের এতো বড় নেতা হয়েও কীভাবে এতোদিন চাকরি করলেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার মতো আরো অনেকেই চাকরি করেছেন। নগর ভবনে যারা চাকরি করেন তাদের আশি শতাংশই বিএনপি পন্থী। তাই সবাইকে কি বাদ দেয়া সম্ভব?