এম এ কুদ্দুছ, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বিদ্যালয়ের প্রিন্টার যথাস্থানে রাখতে বলায় প্রধান শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরীর মনির খানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায়, উপজেলার চান্দপুর বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কটিয়াদী উপজেলা শাখা সহ সভাপতি বিরাজ কিশোর দেবনাথ বাদী হয়ে দপ্তরি মনির খাঁনের বিরুদ্ধে কটিয়াদী মডেল থানায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে চান্দপুর বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুধবার বিকাল ৪ টার দিকে। ঘটনাস্থল থেকে আহত প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। দপ্তরি মনির খান আওয়ামীলীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধার সন্তান হিসাবে বাড়ির পাশে স্কুলে চাকুরিটি ভাগিয়ে নেন। স্কুলে চাকুরি নেওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগের দাপট দেখিয়ে মনিরের ইচ্ছা মত স্কুলে আসা যাওয়া করতেন। স্কুলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রাধন শিক্ষকের সাথেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চান্দপুর বড়বাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক স্কুলের দপ্তরিকে বিদ্যালয়ের প্রিন্টার যথাস্থানে রাখতে বললে দপ্তরি প্রধান শিক্ষকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এক পর্যায়ের এলোপাতারি কিল ঘুষি মেরে গলা চেপে ধরে, এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ ছাড়ানোর চেষ্টা করলে প্রধান শিক্ষকের বাম হাতে কামড় দিয়া মারাত্বক ভাবে জখম করে। এতেও দপ্তরী ক্ষান্ত হয়নি, দৌড়ে গিয়ে পাশেই তার বাড়ি থেকে লোহার সাবল নিয়ে এসে প্রধান শিক্ষককে মারতে উদ্যত হয়লে উপস্থিত শিক্ষকগণ তার হাত থেকে শিক্ষক রক্ষা করেন। ভবিষ্যতে সময় সুযোগ মত পাইলে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে।
চান্দপুর বড়বাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক ইয়াসমিন আক্তার জানান, দপ্তরি মনির খান উশৃংখল প্রকৃতির লোক। তাকে দিয়ে আমরা স্কুলের কোন কাজ করাতে পারি না। স্যারের কাজ শেষে পিন্টারটা রাখতে বলায় স্যারের সাথে গালাগালির এক পর্যায়ে মারামারি শুরু করে। চান্দপুর বড়বাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী অভিযুক্ত মনির খান জানান, স্যারের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্যার আমাকে গলায় চেপে ধরে। স্যারের হাতে কামড় দিয়ে প্রাণে বেঁচে গেছি।
কটিয়াদী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার ঘটনার সততা নিশ্চিত করে জানান, দপ্তির মনিরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ওসি মহোদয়কে অবহিত করেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাঈদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি আমি জেনেছি। দপ্তরির বিরুদ্ধে থানা জিডি করা হয়েছে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।