ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুলাদীতে পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাক্রম গতিশীল করার লক্ষে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ অফিস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছেন জগন্নাথপুরবাসী। তারেক রহমানকে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও স্লোগানের প্রতিবাদে মহানগরীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আওয়ামিলীগ নেতা লোকমান বিএনপি নাম ভাঙ্গিয়ে পায়দা লোটার চেষ্টা  রাজশাহী নগরীতে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে মজিবর রহমান মজু’কে চাইছে ভালুকাবাসী  রাজশাহীতে বই পড়ে পুরস্কার পেল ছাত্র -ছাত্রীরা জুলাই শহীদদের স্মরণে মুন্সিগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  বাকেরগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু বরিশালে চাঁদাবাজি সহ একাধিক মামলা ! তদন্তে পুলিশ গৃহ ছারছেন সাংবাদিক 

রাণীশংকৈলে নির্মান কাজশেষ হতে না হতেই ৪ মাসে ভেঙ্গেছে ব্রীজের প্রতিরক্ষা দেওয়াল-প্রকৌশলী বলছেন সমস্যা নাই জামানত আছে

রাণীশংকৈলে নির্মান কাজশেষ হতে না হতেই ৪ মাসে ভেঙ্গেছে ব্রীজের প্রতিরক্ষা দেওয়াল-প্রকৌশলী বলছেন সমস্যা নাই জামানত আছে

মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : নির্মান কাজশেষ হতে না হতেই ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নে বাজেবকসা গ্রামে নির্মিত একটি ব্রীজের একাংশ ভেঙে পড়েছে। এমনকি ব্রীজের বিভিন্ন অংশেও দেখা দিয়েছে ফাটল।
২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী কালভার্টটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হলেও শেষ করা হয় ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে যেতেই ব্রীজের এক পাশের প্রতিরক্ষা দেয়াল ভেঙে (প্লাসাইটিং) পড়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ নিম্নমানের কাজের কারণে কাজ শেষ হতে না হতেই কালভার্টটি ভেঙে গিয়েছে।
এলজিইডি অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০২২- ২০২৩ অর্থবছরে সেতু-২০ মিটার দৈর্ঘ্য আর,সি,সি,গার্ডার ব্রীজ মীরডাঙ্গী হাট জিসি রোড চেইনেজ বাজেবকসা গ্রামে, নীলফামারী এস,এ,এন্ড আর,এ,টি নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২,৩৬,৬৪,৯২৭,৬৬ হাজার টাকা ব্যয়ে (৫৪৪০) মিটার একটি কালভার্ট নির্মাণ করেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) কালভার্টটির নকশা ও প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণ করে কাজটি নির্মাণে তদারকি করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল, ধনজয়, ভুপেন, কারক, জীতুন, ও পথচারী রফিক, তাহের আবুল কাশেম ও ডিগেন চন্দ্র রায় বলেন, এ রাস্তা দিয়ে এলাকার হাজার হাজার লোক এবং গাড়ী, আসা-যাওয়া করে। সপ্তাহে একদিন বড় হাট কাতিহার সে দিন আরো ভীড় জমে, এছাড়া রবি শস্য ও বোরো ধানের মৌসুমে বিল (ফসলের মাঠ) থেকে বিভিন্ন এলাকার লোকজন এ রাস্তা দিয়ে ফসল নিয়ে যায়। তাদের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ হওয়ার কারণে ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ব্রীজটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। কাজ চলমান অবস্থায় উপজেলা প্রকৌশলী ও সহকারি প্রকৌশলী ঠিক মতো তদারকি না করায় আজ এ অবস্থার সৃষ্ঠি হয়েছে। ব্রীজটি নুতন করে নির্মাণ করে দেওয়ার দাবিও জানান তারা।
এ নিয়ে ব্রীজ নির্মাণ মিস্ত্রির সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, নির্মাণের পর এত দ্রুত কালভার্ট ব্রীজটি এরকম হওয়ার কথা না, এখানে ঠিকমত কাজ এবং রোলিং না করার ফলে এ অবস্থার সৃষ্ঠি হয়েছে। সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য স্থানীয় উদ্যোগে ব্রীজের পাশ থেকে খননযন্ত্র দিয়ে কিছু মাটি কেটে দুই পাশে ফেলে রোলার মেরে ঢালাই দিলে আজ এই রকম হতো না। তাছাড়া নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার ফলে ব্রীজের দুপাশে ফাটল ধরেছে ।
এত অল্প সময়ে ব্রীজের ফাটল ও প্রতিরক্ষা দেয়াল ভেঙে পড়ার কারণ মুঠোফোনে ঠিকাদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান জানান, ফাটলের বিষয়টি ইতোমধ্যে আমরা অবগত হয়েছি। সংশ্লিষ্ঠ্য ঠিকাদার তুহিন কে অফিস আদেশ দেওয়া হয়েছে, সময়ের মধ্যে মেরামত না করলে তার ১০-১২ লক্ষ টাকা জামানত আছে তা কর্তন করে কাজ মেরামত করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

মুলাদীতে পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাক্রম গতিশীল করার লক্ষে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

রাণীশংকৈলে নির্মান কাজশেষ হতে না হতেই ৪ মাসে ভেঙ্গেছে ব্রীজের প্রতিরক্ষা দেওয়াল-প্রকৌশলী বলছেন সমস্যা নাই জামানত আছে

আপডেট সময় ১১:৪০:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : নির্মান কাজশেষ হতে না হতেই ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নে বাজেবকসা গ্রামে নির্মিত একটি ব্রীজের একাংশ ভেঙে পড়েছে। এমনকি ব্রীজের বিভিন্ন অংশেও দেখা দিয়েছে ফাটল।
২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারী কালভার্টটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হলেও শেষ করা হয় ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে যেতেই ব্রীজের এক পাশের প্রতিরক্ষা দেয়াল ভেঙে (প্লাসাইটিং) পড়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ নিম্নমানের কাজের কারণে কাজ শেষ হতে না হতেই কালভার্টটি ভেঙে গিয়েছে।
এলজিইডি অফিস সুত্রে জানা গেছে, ২০২২- ২০২৩ অর্থবছরে সেতু-২০ মিটার দৈর্ঘ্য আর,সি,সি,গার্ডার ব্রীজ মীরডাঙ্গী হাট জিসি রোড চেইনেজ বাজেবকসা গ্রামে, নীলফামারী এস,এ,এন্ড আর,এ,টি নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২,৩৬,৬৪,৯২৭,৬৬ হাজার টাকা ব্যয়ে (৫৪৪০) মিটার একটি কালভার্ট নির্মাণ করেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) কালভার্টটির নকশা ও প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণ করে কাজটি নির্মাণে তদারকি করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল, ধনজয়, ভুপেন, কারক, জীতুন, ও পথচারী রফিক, তাহের আবুল কাশেম ও ডিগেন চন্দ্র রায় বলেন, এ রাস্তা দিয়ে এলাকার হাজার হাজার লোক এবং গাড়ী, আসা-যাওয়া করে। সপ্তাহে একদিন বড় হাট কাতিহার সে দিন আরো ভীড় জমে, এছাড়া রবি শস্য ও বোরো ধানের মৌসুমে বিল (ফসলের মাঠ) থেকে বিভিন্ন এলাকার লোকজন এ রাস্তা দিয়ে ফসল নিয়ে যায়। তাদের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ হওয়ার কারণে ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ব্রীজটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। কাজ চলমান অবস্থায় উপজেলা প্রকৌশলী ও সহকারি প্রকৌশলী ঠিক মতো তদারকি না করায় আজ এ অবস্থার সৃষ্ঠি হয়েছে। ব্রীজটি নুতন করে নির্মাণ করে দেওয়ার দাবিও জানান তারা।
এ নিয়ে ব্রীজ নির্মাণ মিস্ত্রির সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, নির্মাণের পর এত দ্রুত কালভার্ট ব্রীজটি এরকম হওয়ার কথা না, এখানে ঠিকমত কাজ এবং রোলিং না করার ফলে এ অবস্থার সৃষ্ঠি হয়েছে। সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য স্থানীয় উদ্যোগে ব্রীজের পাশ থেকে খননযন্ত্র দিয়ে কিছু মাটি কেটে দুই পাশে ফেলে রোলার মেরে ঢালাই দিলে আজ এই রকম হতো না। তাছাড়া নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার ফলে ব্রীজের দুপাশে ফাটল ধরেছে ।
এত অল্প সময়ে ব্রীজের ফাটল ও প্রতিরক্ষা দেয়াল ভেঙে পড়ার কারণ মুঠোফোনে ঠিকাদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান জানান, ফাটলের বিষয়টি ইতোমধ্যে আমরা অবগত হয়েছি। সংশ্লিষ্ঠ্য ঠিকাদার তুহিন কে অফিস আদেশ দেওয়া হয়েছে, সময়ের মধ্যে মেরামত না করলে তার ১০-১২ লক্ষ টাকা জামানত আছে তা কর্তন করে কাজ মেরামত করা হবে।