রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অবস্থিত বিভিন্ন স্কুলের ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে দুধ বিতরণের মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। এরপর পশুপালন অনুষদ ভবনের সামনে থেকে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। যেখানে অনুষ্ঠিত হয় দিবসের মূল আলোচনা সভা।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, যখন একটি শিশুর জন্ম হয়, এর পরপরই তার প্রথম খাদ্য হল দুধ। এটি একটি সর্বোৎকৃষ্ট খাদ্য, যার মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক ও মেধার বিকাশ হয়। তাই আমি অভিভাবকদের আহবান জানাবো জাঙ্ক ফুড, ফাস্ট ফুডের বদলে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের প্রতি শিশুদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। সুস্থ, মেধাবী ও জ্ঞানসম্পন্ন জাতি গঠনে দুধ পানের বিকল্প নেই।
বাকৃবির ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, নেসলে বাংলাদেশের রেগুলেটরি এন্ড সায়েন্টিফিট এফেয়ার্স প্রধান রেবেকা শারমিন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম এ সামাদ খান, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) ড. মো. নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো আবুল হাশেম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন, দুগ্ধ দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও বাকৃবির ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড মো. হারুন-অর-রশিদ এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দুগ্ধ দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বাকৃবির ডেয়রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত দুধ পান করেন, তাদের সার্বিক স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা দীর্ঘস্থায়ী হয়।