ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মুলাদীতে পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাক্রম গতিশীল করার লক্ষে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ অফিস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছেন জগন্নাথপুরবাসী। তারেক রহমানকে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও স্লোগানের প্রতিবাদে মহানগরীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আওয়ামিলীগ নেতা লোকমান বিএনপি নাম ভাঙ্গিয়ে পায়দা লোটার চেষ্টা  রাজশাহী নগরীতে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে মজিবর রহমান মজু’কে চাইছে ভালুকাবাসী  রাজশাহীতে বই পড়ে পুরস্কার পেল ছাত্র -ছাত্রীরা জুলাই শহীদদের স্মরণে মুন্সিগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  বাকেরগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু বরিশালে চাঁদাবাজি সহ একাধিক মামলা ! তদন্তে পুলিশ গৃহ ছারছেন সাংবাদিক 

ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে কাউখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত 

ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে কাউখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত 

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় পিরোজপুরের কাউখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি শহরে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ করার কারণে সহজে পানি নামছে না।

এতে জনগণের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দেয়। উপজেলা শহরের আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কাজী হারুন অর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনের অংশ জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। পানি নামাবার ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। একদিকে জলাবদ্ধতা অন্যদিকে মশা মাছি ও সাপের আতঙ্ক থাকে এলাকাবাসী।

টানা বৃষ্টিপাতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ, ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ‎ভারী বৃষ্টিতে কাউখালীর সন্ধ্যা, কচা, কালিগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের জোলাগাতি গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক বলেন, কচা ও সন্ধ্যা নদীর তীরবর্তী এলাকায় হাজারো পরিবারের বসবাস। সাগরে নিম্নচাপ হলেই এ এলাকার মানুষের চিন্তা বাড়ে। রাত থেকে শুরু হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে আশপাশ তলিয়ে গেছে। জোয়ারের পানি উঠলে বিপদ বেড়ে যায়। রাতের জোয়ারে অনেক পানি ঘটেছে, আমরা আতঙ্কের ভিতর ছিলাম।

‎সদর ইউনিয়নের বিড়ালজুরি গ্রামের সাইফুল্লাহ মনির বলেন, সাগরের নিম্নচাপের প্রভাবে সন্ধ্যা নদীর জোয়ারের পানিতে ও বৃষ্টির কারনে নদীর পাড়ের আশপাশের তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির কারনে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না।

‎রিক্সা চালক লিটন বলেন, বৃষ্টির কারনে রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমাদের চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে। বিশেষকরে রাস্তায় পানি থাকায় রিকশা গাড়ি খানাখন্দে পড়ে দুর্ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা বলেন, আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং জরুরি খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা আছে।


কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ সোলায়মান জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময় আমাদের সতর্কতা আরো বেড়ে যায়। জনগণের নিরাপত্তার দেওয়ার জন্য টহল জোরদার করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার সোমা রানি দাস জানান, এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তাতে ফসলের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করছেন।
আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

মুলাদীতে পৌরসভা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যাক্রম গতিশীল করার লক্ষে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে কাউখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত 

আপডেট সময় ০৩:৫৮:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হওয়ায় পিরোজপুরের কাউখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি শহরে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ করার কারণে সহজে পানি নামছে না।

এতে জনগণের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দেয়। উপজেলা শহরের আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কাজী হারুন অর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনের অংশ জলাবদ্ধতা লেগেই থাকে। পানি নামাবার ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। একদিকে জলাবদ্ধতা অন্যদিকে মশা মাছি ও সাপের আতঙ্ক থাকে এলাকাবাসী।

টানা বৃষ্টিপাতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ, ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ‎ভারী বৃষ্টিতে কাউখালীর সন্ধ্যা, কচা, কালিগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের জোলাগাতি গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হক বলেন, কচা ও সন্ধ্যা নদীর তীরবর্তী এলাকায় হাজারো পরিবারের বসবাস। সাগরে নিম্নচাপ হলেই এ এলাকার মানুষের চিন্তা বাড়ে। রাত থেকে শুরু হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে আশপাশ তলিয়ে গেছে। জোয়ারের পানি উঠলে বিপদ বেড়ে যায়। রাতের জোয়ারে অনেক পানি ঘটেছে, আমরা আতঙ্কের ভিতর ছিলাম।

‎সদর ইউনিয়নের বিড়ালজুরি গ্রামের সাইফুল্লাহ মনির বলেন, সাগরের নিম্নচাপের প্রভাবে সন্ধ্যা নদীর জোয়ারের পানিতে ও বৃষ্টির কারনে নদীর পাড়ের আশপাশের তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির কারনে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না।

‎রিক্সা চালক লিটন বলেন, বৃষ্টির কারনে রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমাদের চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে। বিশেষকরে রাস্তায় পানি থাকায় রিকশা গাড়ি খানাখন্দে পড়ে দুর্ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা বলেন, আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং জরুরি খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা আছে।


কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ সোলায়মান জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সময় আমাদের সতর্কতা আরো বেড়ে যায়। জনগণের নিরাপত্তার দেওয়ার জন্য টহল জোরদার করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার সোমা রানি দাস জানান, এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে তাতে ফসলের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করছেন।