নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন এলাকা হতে মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টা মামলার পলাতক প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।
র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
এছাড়াও, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন যাবত পালিয়ে থাকা বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভূক্ত আসামিদের গ্রেফতার এবং অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি ও বিবিধ প্রতারক চক্রের দ্বারা সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ধর্ষণের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় র্যাব-৬ কর্তৃক উক্ত আসামিদের আইনের আওতায় আনতে আভিযানিক দল কর্তৃক গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ এপ্রিল ২০২৫ র্যাব-৬, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল দিবাগত রাত ০২৫০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেএমপি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন ছোট বয়রা, শান্তিনগর এলাকা হতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি, (১) ঈশান কবির খান @ জ্যোতি (৪২), পিতা-হুমায়ুন কবির খান, মাত-মারুফা বেগম, ঠিকানা- ৩৮ সুলতান আহম্মেদ রোড, মৌলভীপাড়া,থানা-খুলনা সদর, জেলা-খুলনাকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ভিকটিম খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানাধীন বটিয়াঘাটা সরকারি ডিগ্রী কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশুনা করে ।
এ বিষয়ে দায়েরকৃত মামলার ০১ নং আসামির সাথে ভিকটিমের দুই মাস পূর্বে পরিচয় হয় এবং ভিকটিমকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে ১ নং আসামি ভিকটিমকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ২ ও ৩ নং আসামিদ্বয়ের সহযোগিতায় গত ২৬/০৪/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় খুলনা সদর থানাধীন রুপসা স্ট্যান্ড রোডে ২ নং আসামি হুমায়ুন কবির এর ভাড়াকৃত বাসার রুমের ভিতর ডেকে নিয়ে যায় এবং সেখানে ০১ নং আসামি ভিকটিমকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে ২৮/০৪/২০২৫ খ্রিঃ তারিখ রাত্র অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম ১নং আসামী ঈশান কবির খান জ্যোতিকে বিবাহের কথা বললে, ০১ নং আসামিসহ বর্ণিত অন্যন্য আসামিরা ভিকটিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ১ নং আসামির হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য খুলনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং ভিকটিমের মা বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
উক্ত ধর্ষণের বিষয় জানতে পেরে র্যাব-৬, সিপিএসপি এর একটি আভিযানিক দল আসামিকে গ্রেফতারের জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেএমপি খুলনার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।