নিজস্ব প্রতিবেদক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ওয়েলস শাখার পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ১৭ ই এপ্রিল লন্ডন সময় দূপুর ১ ঘটিকায় বৃটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফ শহরের সিটি রোডস্থ রেষ্টুরেন্টে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ওয়েলস আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর সভাপতিত্বে এবং ওয়েলস আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মর্তুজার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত,
সভায় ওয়েলস আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক বদর উদ্দিন চৌধুরী বাবর, ওয়েলস যুবলীগের সভাপতি ভিপি সেলিম আহমদ, ওয়েলস যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম মুমিন, সাবেক ছাত্রনেতা তৌকির আহমেদ, সুহেল রানা, এম এ রউফ, আসাদ মিয়া, কামাল আহমদ, শাওন রহমান, সাজেল আহমেদ, রিপন মিয়া, সজিব আহমেদ, ও রিয়াজুর রহমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভায় জাতির পিতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ জাতীয় চার নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের আত্নত্যাগকারী সকল মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে যুক্তরাজ্য ওয়েলস আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর সহ বক্তারা “১৭ই এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন।
১৯৭১ সালের এইদিনে কুষ্টিয়া জেলার তদানীন্তন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এ অনুষ্ঠানে ঘোষিত হয় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিলে গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, বলে উল্লেখ করে সকল বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সংবিধান, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ও স্বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানকে সমুন্নত এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সুরক্ষিত রাখার প্রয়াসে দেশে বিদেশে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।
ওয়েলস আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মর্তুজা সহ অন্যান্য বক্তারা।
আরও বলেন, আজ অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস বাহিনীও দেশবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিপুষ্ট গোষ্ঠীকে প্রত্যক্ষভাবে মদদ জোগাচ্ছে। এই অপশক্তির প্রতিভূই অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক জোরপূর্বক দখলদার ইউনূস গং। অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের পর এই অশুভ শক্তি রাষ্ট্রের সকল পর্যায় থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলতে বদ্ধপরিকর।
কোনো কোনো জায়গায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বাতিল করে তার পরিবর্তে কুখ্যাত রাজাকারের নাম বসিয়েছে। এমনকি ১৭ এপ্রিল, ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ, ১৫ ই আগষ্ট সহ ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ অন্যান্য জাতীয় দিবসসমূহ রাষ্ট্রাচার থেকে বাদ দিয়েছে।
‘জয় বাংলা’- কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে প্রদত্ত হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দিয়েছে। এই অবৈধ দখলদার ফ্যাসিস্ট ইউনূস গং পরিকল্পিতভাবে বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল অর্জনসমূহকে ধূলিসাৎ করার অপতৎপরতায় লিপ্ত। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাঙালির হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে এবং আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে এই দেশবিরোধী ও গনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে গণশক্তির জাগরণ আশু প্রয়োজন। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত সেই গণশক্তিকে রুখার সাধ্য কারো নাই। উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সমূলে এদের বিনাশই একমাত্র সমাধান।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকার গঠনের ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ পেক্ষাপেট, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান এবং জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৭ মার্চের ভাষণ যুগে-যুগে বাঙালিদের বিশ্বের বুকে আত্মমর্যাদার সাথে মাথা উঁচু করে চলতে এবং মা-মাতৃভভূমির তরে লড়াই-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে সকল বক্তারা অভিমত ব্যাক্ত করেছেন।