ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কুখ্যাত ১মাদক ব্যবসায়ী ৩৬ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি সহ গ্রেফতার।  প্রায় এক মাসের বৃষ্টিতে রায়গঞ্জের জনজীবন বিপর্যস্ত আগামীর বাংলাদেশ হবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের বাংলাদেশ  ব্রাহ্মণপাড়ায় কৃষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছের চারা বিরণ কার্যক্রম উদ্ভোধন বুড়িচংয়ে উন্নয়ন ভাবনা: ইউএনওর সাথে প্রেসক্লাবের বৈঠক বুড়িচং উত্তরগ্ৰাম আঞ্জুমানে হাছানীয়া দরবার শরীফের উদ্যোগে শোহাদায়ে কারবালার স্মরণে পাঁচ দিনব্যাপী মাহফিলের সমাপনী  জেন্ডার ইকুয়ালিটি ট্রান্সফর্ম ক্লাইমেট একশন প্রকল্পের সভা অনুষ্ঠিত  গৌরনদীর নলচিড়ার মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ, উদ্বিগ্ন পরিবার চট্টগ্রামের টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, পাহাড় ধসের শঙ্কা ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে চাপাতিসহ শুভ ওরফে হৃদয় কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। 

কালিহাতীতে সেফটি ট্যাংক থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার — মায়ের হৃদয়বিদারক আহাজারি

কালিহাতীতে সেফটি ট্যাংক থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার — মায়ের হৃদয়বিদারক আহাজারি

 

শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সেফটি ট্যাংকের অন্ধকার গহ্বরে নিথর দেহে পাওয়া গেলো কলেজ পড়ুয়া এক তরুণের লাশ। ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করা আব্দুল আলীম আজ নিথর, নিশ্চুপ। তার মা আকলিমা বেগমের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে সাতুটিয়া দক্ষিণ পাড়ার আকাশ-বাতাস।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সাতুটিয়া দক্ষিণ পাড়ার জামাল বাদশার বাড়ির পেছনের টয়লেটের সেফটি ট্যাংক থেকে আব্দুল আলীমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গলায় পেঁচানো ছিলো প্লাস্টিকের রশি, পেটে ছিল ছুরির গভীর ক্ষত। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা—শ্বাসরোধ করে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আব্দুল আলীম (১৯) ঘাটাইল উপজেলার চানতারা গ্রামের সন্তান। সৌদি প্রবাসী জহুরুল ইসলাম নজরুলের ছেলে সে। পড়াশোনার স্বপ্নে বিভোর এই তরুণ কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
১২ এপ্রিল, শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল সে। এরপর আর কোনো খোঁজ মেলেনি তার। রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে ঘাটাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরিবারের হৃদয়বিদারক অপেক্ষার অবসান ঘটে একটি মৃত্যুসংবাদে।
আব্দুলের ফুফাতো বোন মোচ্ছামত খালেদা আক্তার চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, আলীম  সকালে বের হয়েছিল প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার জন্য। কে জানতো, ওর ফিরে আসা আর হবে না!
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আদিবুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ  টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে।
তবে প্রশ্ন থেকে যায়—কে এমন নিষ্ঠুর? কার আক্রোশে প্রাণ গেলো এক সম্ভাবনাময় তরুণের? উত্তর জানে না কেউ, কিন্তু কালো মেঘে ঢেকে গেছে একটি মা-বাবার জীবন।
আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

কুখ্যাত ১মাদক ব্যবসায়ী ৩৬ কেজি গাঁজা ও ১টি সিএনজি সহ গ্রেফতার। 

কালিহাতীতে সেফটি ট্যাংক থেকে কলেজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার — মায়ের হৃদয়বিদারক আহাজারি

আপডেট সময় ১০:৫৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

 

শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সেফটি ট্যাংকের অন্ধকার গহ্বরে নিথর দেহে পাওয়া গেলো কলেজ পড়ুয়া এক তরুণের লাশ। ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করা আব্দুল আলীম আজ নিথর, নিশ্চুপ। তার মা আকলিমা বেগমের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে সাতুটিয়া দক্ষিণ পাড়ার আকাশ-বাতাস।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সাতুটিয়া দক্ষিণ পাড়ার জামাল বাদশার বাড়ির পেছনের টয়লেটের সেফটি ট্যাংক থেকে আব্দুল আলীমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গলায় পেঁচানো ছিলো প্লাস্টিকের রশি, পেটে ছিল ছুরির গভীর ক্ষত। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা—শ্বাসরোধ করে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আব্দুল আলীম (১৯) ঘাটাইল উপজেলার চানতারা গ্রামের সন্তান। সৌদি প্রবাসী জহুরুল ইসলাম নজরুলের ছেলে সে। পড়াশোনার স্বপ্নে বিভোর এই তরুণ কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
১২ এপ্রিল, শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল সে। এরপর আর কোনো খোঁজ মেলেনি তার। রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে ঘাটাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরিবারের হৃদয়বিদারক অপেক্ষার অবসান ঘটে একটি মৃত্যুসংবাদে।
আব্দুলের ফুফাতো বোন মোচ্ছামত খালেদা আক্তার চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, আলীম  সকালে বের হয়েছিল প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার জন্য। কে জানতো, ওর ফিরে আসা আর হবে না!
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আদিবুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ  টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে।
তবে প্রশ্ন থেকে যায়—কে এমন নিষ্ঠুর? কার আক্রোশে প্রাণ গেলো এক সম্ভাবনাময় তরুণের? উত্তর জানে না কেউ, কিন্তু কালো মেঘে ঢেকে গেছে একটি মা-বাবার জীবন।