ঢাকা , রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পঞ্চগড়ে সন্তানের গলায় ছুরি ধরে মাকে ধর্ষণের অভিযোগ, পঞ্চগড়ে গ্রেপ্তার ৪ কালীগঞ্জে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসে কাঁঠাল পাড়তে গিয়ে যুবকের মৃত্যু প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের দৃশ‍্যমান কর্মতৎপরতা চাই -জাতীয় প্রেসক্লাবে ব্যারিস্টার নাজির গণধর্ষণ মামলার আসামী কাজী ফয়সাল আহমেদ মিথুন রাজধানীর ডেমরায় র‌্যাব কর্তৃক গ্রেফতার। বিএনপির কাউন্সিলে নির্বাচিত সভাপতিকে আওয়ামী লীগ দোষর আখ্যা দিয়ে নির্বাচন বাতিলের দাবী সুনামগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত পিরোজপুরে অস্ত্রসহ আওয়ামীলীগ কর্মী গ্রেফতার জগন্নাথপুরে গ্রাহকের ১২ লাখ টাকা নিয়ে উধাও এনজিও উদ্দীপনের ম্যানেজার ভান্ডারিয়ায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে প্রবাসীর ঘরে ডাকাতি জগন্নাথপুরে বেপরোয়া পিকআপ-মোটরসাইকেল সংর্ঘষ, পল্লীবিদ্যুৎ কর্মচারীর নিহত।

ঠাকুরগাঁওয়ে আসামী আটকের পর সদরের দুই থানার ওসির পাল্টা পাল্টি অভিযোগ

ঠাকুরগাঁওয়ে আসামী আটকের পর সদরের দুই থানার ওসির পাল্টা পাল্টি অভিযোগ

 

রুবেল ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। ভূল্লী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরকার দাবি করছেন, তিনি আটক এক আসামিকে সদর থানায় হস্তান্তর করেছেন। অথচ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান বলছেন, তারা এমন কোনো আসামি গ্রহণ করেননি। এ ঘটনায় পুলিশের স্বচ্ছতা ও দায়িত্ব পালন নিয়ে জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে আটক করে ভূল্লী থানার পুলিশ। ভূল্লী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সরকার শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানান, ওই দিন দুপুর ২টায় আটক ব্যক্তিকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কিন্তু (২১ ফেব্রুয়ারি) আজ রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “ভূল্লী থানা আমাদের কাছে কোনো আসামি হস্তান্তর করেনি। আমরা এমন কাউকে আটকও করিনি।” ভুল্লী থানার ওসির কথা বলতেই তিনি জৈনিক আরিফ নামে এক ব্যক্তি দেখিয়ে দেন কথা বলার জন্য। আরিফ কে এমন প্রশ্ন করাতেই তিনি উগ্র আচরণ করে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।

এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে—তাহলে আসামি গেল কোথায়?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম এর সঙ্গে রাতেই যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি অবগত রয়েছি। ওসির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখছি। কেন এমনটা হয়েছে।

স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, “অনেক দিন ধরেই শুনছি, টাকা দিলেই আসামি ছাড়া যায়। এর আগেও এমন এক ঘটনায় এক এএসআইকে বদলি করা হয়েছিল।

বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরাসরি জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা বিচার পাচ্ছে না, অথচ অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

পুলিশের এমন ভূমিকা আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করছে। অনেকেরই প্রশ্ন, আইনের শাসন কি কেবল দুর্বলদের জন্য? প্রভাবশালী হলে কি পুলিশও অসহায় হয়ে পড়ে?

এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যথায়, পুলিশের প্রতি জনসাধারণের আস্থা আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পঞ্চগড়ে সন্তানের গলায় ছুরি ধরে মাকে ধর্ষণের অভিযোগ, পঞ্চগড়ে গ্রেপ্তার ৪

ঠাকুরগাঁওয়ে আসামী আটকের পর সদরের দুই থানার ওসির পাল্টা পাল্টি অভিযোগ

আপডেট সময় ০৪:৩৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

রুবেল ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। ভূল্লী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরকার দাবি করছেন, তিনি আটক এক আসামিকে সদর থানায় হস্তান্তর করেছেন। অথচ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান বলছেন, তারা এমন কোনো আসামি গ্রহণ করেননি। এ ঘটনায় পুলিশের স্বচ্ছতা ও দায়িত্ব পালন নিয়ে জনমনে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে আটক করে ভূল্লী থানার পুলিশ। ভূল্লী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সরকার শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জানান, ওই দিন দুপুর ২টায় আটক ব্যক্তিকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কিন্তু (২১ ফেব্রুয়ারি) আজ রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সদর থানার ওসি শহিদুর রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “ভূল্লী থানা আমাদের কাছে কোনো আসামি হস্তান্তর করেনি। আমরা এমন কাউকে আটকও করিনি।” ভুল্লী থানার ওসির কথা বলতেই তিনি জৈনিক আরিফ নামে এক ব্যক্তি দেখিয়ে দেন কথা বলার জন্য। আরিফ কে এমন প্রশ্ন করাতেই তিনি উগ্র আচরণ করে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।

এই পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে—তাহলে আসামি গেল কোথায়?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম এর সঙ্গে রাতেই যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি অবগত রয়েছি। ওসির সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখছি। কেন এমনটা হয়েছে।

স্থানীয়দের অনেকেই বলছেন, “অনেক দিন ধরেই শুনছি, টাকা দিলেই আসামি ছাড়া যায়। এর আগেও এমন এক ঘটনায় এক এএসআইকে বদলি করা হয়েছিল।

বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরাসরি জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীরা বিচার পাচ্ছে না, অথচ অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

পুলিশের এমন ভূমিকা আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করছে। অনেকেরই প্রশ্ন, আইনের শাসন কি কেবল দুর্বলদের জন্য? প্রভাবশালী হলে কি পুলিশও অসহায় হয়ে পড়ে?

এ বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যথায়, পুলিশের প্রতি জনসাধারণের আস্থা আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।