ঢাকা , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বারো আউলিয়া মাজার: পঞ্চগড়ের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের প্রতীক  পুরুষ মানুষ পরিবার ও আপনজনের খুশির জন্য জীবন দিতেও ভাবে না” পলাশ সাহা.! কয়রায় শিক্ষক লাঞ্ছিত করার অভিযোগ হিজলায় ৬টি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের আগমন: পরিদর্শনে যাচ্ছেন মৌলবির হাট লঞ্চ ঘাট বরিশালের হত্যা মামলার আসামী ঢাকা থেকে আটক। ময়নামতি ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল ১১% ডেলিগেট থাকায় ঘোষনা হয়নি কমিটি! রাজশাহীর ২ সাবেক চেয়ারম্যানের দেশ ত্যাগে নিষেধ  গোপালগঞ্জে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস ২০২৫ পালতি। র‌্যাব কর্মকর্তা পলাশের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন-স্ত্রী সুস্মিতার বিচারের দাবী গোপালগঞ্জ বাসীর।  অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী শাহীন কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

চট্টগ্রামে শিশুকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা দাবি

চট্টগ্রামে শিশুকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা দাবি

 

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে পটিয়ায় বড়লিয়া ইউনিয়নের বাড়ৈকারা গ্রামে প্রতিবেশী এক শিশুকে অপহরণ ও ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করায় মো. হৃদয় (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবক ওই এলাকার মো. আফছারের ছেলে। আর অপহৃত শিশুর নাম মো. আয়াত (৪ বছর), সে একই এলাকার প্রবাসী মাহাবুল আলমের ছেলে। এই ঘটনায় ধৃত হৃদয়ের বন্ধু রাসেলকেও (১৯) গ্রেফতার করা হয়েছ। রাসেল কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ছিরার টেক এলাকার নাসির আহমদের ছেলে।

শিশু আয়াতের চাচা মো. হাবিবুল্লাহ জানান, গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাড়ির সামনে থেকে আয়াতকে অপহরণ করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে আয়াত বাড়ির সামনে রাস্তার উপর খেলছিল। সন্ধ্যার পরও সে বাড়িতে না ফেরায় সবাই তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পুকুরে পড়ে গেছে ভেবে বাড়ির আশপাশের সব পুকুরে জাল ফেলে তাকে খোঁজা হয়।

এদিকে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তার পরিবারের নাম্বারে ফোন করে জানানো হয় আয়াতকে অপহরণ করা হয়েছে। তাকে জীবিত ফেরত পেতে হলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। পরে আমি ওই নাম্বারে ফোন করে কথা বললে অপহরণকারী মো. হৃদয়ের কন্ঠস্বর চিনতে সক্ষম হই। হৃদয় আমাদের প্রতিবেশী। তবুও বিষয়টি তাকে বুঝতে না দিয়ে আমরা থানায় যোগাযোগ করি।

অন্যদিকে আমাদের প্রতিবেশীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে কৌশলে হৃদয়কে ফোন করে আয়াতকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাকেসহ খোঁজার জন্য গ্রামে আসতে বলে। তাদের কথামত হৃদয় এলাকায় আসলে লোকজন তাকে ধরে ফেলে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে আয়াতকে সে অপহরণ করে কর্ণফুলী চরলক্ষ্যা এলাকায় তার বন্ধু রাসেলের বাসায় আটকে রেখেছে।

পরবর্তীতে স্থানীয় জনতা কৌশলে হৃদয়কে দিয়ে রাসেলকে ফোন করে অপহৃত শিশু আয়াতকে শান্তিরহাট এলাকায় এনে দিতে বলে। হৃদয়ের কথামতো রাসেল শিশু আয়াতকে নিয়ে শান্তির হাট আসলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা জনতা আরেক অপহরণকারী রাসেলকে ধরে ফেলে এবং তার কাছ থেকে আয়াতকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা অপহরণকারী হৃদয়কে গণপিটুনি দেয়।

পরবর্তীতে শিশু আয়াতের পরিবার ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুই অপহরণকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় শিশু আয়াতের চাচা মো. হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে গত ৫ নভেম্বর পটিয়া থানায় মো. হৃদয় (৩০) ও রাসেল (১৯) সহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

পটিয়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. জুয়েল উদ্দিন বলেন, চিপস ও আচারের লোভ দেখিয়ে শিশু আয়াতকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার ঘটনায় স্থানীয় জনতা দুইজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বারো আউলিয়া মাজার: পঞ্চগড়ের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের প্রতীক 

চট্টগ্রামে শিশুকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা দাবি

আপডেট সময় ১২:২১:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে পটিয়ায় বড়লিয়া ইউনিয়নের বাড়ৈকারা গ্রামে প্রতিবেশী এক শিশুকে অপহরণ ও ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করায় মো. হৃদয় (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবক ওই এলাকার মো. আফছারের ছেলে। আর অপহৃত শিশুর নাম মো. আয়াত (৪ বছর), সে একই এলাকার প্রবাসী মাহাবুল আলমের ছেলে। এই ঘটনায় ধৃত হৃদয়ের বন্ধু রাসেলকেও (১৯) গ্রেফতার করা হয়েছ। রাসেল কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ছিরার টেক এলাকার নাসির আহমদের ছেলে।

শিশু আয়াতের চাচা মো. হাবিবুল্লাহ জানান, গত মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাড়ির সামনে থেকে আয়াতকে অপহরণ করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে আয়াত বাড়ির সামনে রাস্তার উপর খেলছিল। সন্ধ্যার পরও সে বাড়িতে না ফেরায় সবাই তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পুকুরে পড়ে গেছে ভেবে বাড়ির আশপাশের সব পুকুরে জাল ফেলে তাকে খোঁজা হয়।

এদিকে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তার পরিবারের নাম্বারে ফোন করে জানানো হয় আয়াতকে অপহরণ করা হয়েছে। তাকে জীবিত ফেরত পেতে হলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। পরে আমি ওই নাম্বারে ফোন করে কথা বললে অপহরণকারী মো. হৃদয়ের কন্ঠস্বর চিনতে সক্ষম হই। হৃদয় আমাদের প্রতিবেশী। তবুও বিষয়টি তাকে বুঝতে না দিয়ে আমরা থানায় যোগাযোগ করি।

অন্যদিকে আমাদের প্রতিবেশীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে কৌশলে হৃদয়কে ফোন করে আয়াতকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাকেসহ খোঁজার জন্য গ্রামে আসতে বলে। তাদের কথামত হৃদয় এলাকায় আসলে লোকজন তাকে ধরে ফেলে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে স্বীকার করে আয়াতকে সে অপহরণ করে কর্ণফুলী চরলক্ষ্যা এলাকায় তার বন্ধু রাসেলের বাসায় আটকে রেখেছে।

পরবর্তীতে স্থানীয় জনতা কৌশলে হৃদয়কে দিয়ে রাসেলকে ফোন করে অপহৃত শিশু আয়াতকে শান্তিরহাট এলাকায় এনে দিতে বলে। হৃদয়ের কথামতো রাসেল শিশু আয়াতকে নিয়ে শান্তির হাট আসলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা জনতা আরেক অপহরণকারী রাসেলকে ধরে ফেলে এবং তার কাছ থেকে আয়াতকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা অপহরণকারী হৃদয়কে গণপিটুনি দেয়।

পরবর্তীতে শিশু আয়াতের পরিবার ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুই অপহরণকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় শিশু আয়াতের চাচা মো. হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে গত ৫ নভেম্বর পটিয়া থানায় মো. হৃদয় (৩০) ও রাসেল (১৯) সহ অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

পটিয়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. জুয়েল উদ্দিন বলেন, চিপস ও আচারের লোভ দেখিয়ে শিশু আয়াতকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার ঘটনায় স্থানীয় জনতা দুইজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।