ঢাকা , বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
অর্ধ লক্ষ টাকা সমমূল্যের জালনোটসহ ০২জন জালটাকা সরবরাহকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। অপারেশন ডেভিল হান্টে ঝালকাঠিতে আ’লীগ নেতা গ্রেফতার বাগেরহাটে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বসত ঘরে অগ্নিসংযোগ ঝালকাঠিতে বাসচাপায় বিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী নিহত নলছিটিতে পলিথিন কারখানায় অভিযান, দশ হাজার টাকা জরিমানা রাজশাহী মহানগরীতে যৌথ বাহীনির ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে আ’লীগ সহ গ্রেফতার-১৮ রাজশাহীতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সথে মতবিনিময় সভায় আইজিপি ঝালকাঠির খাগড়াখানা মডেল হাইস্কুলে এডহক পকেট কমিটির তদন্তের বিরুদ্ধে ডিসির কাছে অভিযোগ ডেভিল হান্ট: বাগেরহাটে ২৪ ঘন্টায় আটক ২৭ ঝালকাঠিতে মামলা তদন্তে ঘুষ দাবি, এসআই শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ 

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সাবেক এমপি রানাসহ ৪ ভাই খালাস

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সাবেক এমপি রানাসহ ৪ ভাই খালাস

 

মো. শহিদুল ইসয়াম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এছাড়া মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইসহ ১০ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল হাসান আজ রবিবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন কবির হোসেন ও মোহাম্মদ আলী। তাদের পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

খালাস প্রাপ্তরা হলেন- আমানুর রহমান খান রানা, সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও সানিয়াত খান বাপ্পা, মাসুদুর রহমান, ফরিদ হোসেন, নাসির উদ্দিন নুরু, আলমগীর হোসেন চাঁন, ছানোয়ার হোসেন ও  বাবু খালাস পেয়েছেন। এর বাইরে আনিসুল ইসলাম রাজা ও সমির মিয়া বিচার চলাকালে মারা গেছেন।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

২০১৪ সালের আগস্টে এই হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামক দুজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তারা আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে আওয়ামী দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার নাম উঠে আসে।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওয়াহেদ, আবদুল খালেক ও সনি আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর খান পরিবারের চার ভাই আত্মগোপনে চলে যান। পরে আমানুর রহমান খান রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তিন বছর হাজতে থাকার পর জামিন লাভ করেন। ৫ আগস্টের পর তিনি আবার আত্মগোপনে চলে যান। আরেক ভাই সহিদুর রহমান খান মুক্তি কারাগারে আছেন। এ মামলার গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মাহফীজুর রহমান ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। গত ২৬ জানুয়ারি ফারুক হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মোহাম্মদ সাইদুর রহমান স্বপন বলেন, যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে ২৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, জেরা, কয়েকজন আসামি ও সাক্ষীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনা করে আদালতকে শোনানো হয়। তবে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানান তিনি।

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অর্ধ লক্ষ টাকা সমমূল্যের জালনোটসহ ০২জন জালটাকা সরবরাহকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সাবেক এমপি রানাসহ ৪ ভাই খালাস

আপডেট সময় ০৭:০০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

মো. শহিদুল ইসয়াম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এছাড়া মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইসহ ১০ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল হাসান আজ রবিবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন কবির হোসেন ও মোহাম্মদ আলী। তাদের পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে এক বছরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।

খালাস প্রাপ্তরা হলেন- আমানুর রহমান খান রানা, সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও সানিয়াত খান বাপ্পা, মাসুদুর রহমান, ফরিদ হোসেন, নাসির উদ্দিন নুরু, আলমগীর হোসেন চাঁন, ছানোয়ার হোসেন ও  বাবু খালাস পেয়েছেন। এর বাইরে আনিসুল ইসলাম রাজা ও সমির মিয়া বিচার চলাকালে মারা গেছেন।

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

২০১৪ সালের আগস্টে এই হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামক দুজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তারা আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে আওয়ামী দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার নাম উঠে আসে।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওয়াহেদ, আবদুল খালেক ও সনি আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর খান পরিবারের চার ভাই আত্মগোপনে চলে যান। পরে আমানুর রহমান খান রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তিন বছর হাজতে থাকার পর জামিন লাভ করেন। ৫ আগস্টের পর তিনি আবার আত্মগোপনে চলে যান। আরেক ভাই সহিদুর রহমান খান মুক্তি কারাগারে আছেন। এ মামলার গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মাহফীজুর রহমান ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। গত ২৬ জানুয়ারি ফারুক হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মোহাম্মদ সাইদুর রহমান স্বপন বলেন, যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে ২৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, জেরা, কয়েকজন আসামি ও সাক্ষীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনা করে আদালতকে শোনানো হয়। তবে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানান তিনি।