ঢাকা , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিদ্যুৎ অফিস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছেন জগন্নাথপুরবাসী। তারেক রহমানকে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও স্লোগানের প্রতিবাদে মহানগরীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ আওয়ামিলীগ নেতা লোকমান বিএনপি নাম ভাঙ্গিয়ে পায়দা লোটার চেষ্টা  রাজশাহী নগরীতে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে মজিবর রহমান মজু’কে চাইছে ভালুকাবাসী  রাজশাহীতে বই পড়ে পুরস্কার পেল ছাত্র -ছাত্রীরা জুলাই শহীদদের স্মরণে মুন্সিগঞ্জে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  বাকেরগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু বরিশালে চাঁদাবাজি সহ একাধিক মামলা ! তদন্তে পুলিশ গৃহ ছারছেন সাংবাদিক  পুকুর নিয়ে বিরোধ: গৌরনদীতে কৃষক দল নেতার নেতৃত্বে ব্যবসায়ীর উপর হামলার অভিযোগ

চট্টগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভ, ৩২ নম্বরের পরিণত হবে গোপালগঞ্জ

 

এম মনির চৌধুরী রানা

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তবে সড়কে যানবাহন চলাচলে তারা কোনো বাধা দেননি। সমাবেশ থেকে গোপালগঞ্জের পরিণতি ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের মতো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন এনসিপি নেতারা।

 

গতকার বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর দুই নম্বর গেট মোড়ে অবস্থান নিতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে জমায়েত বড় হতে থাকে। এনসিপির কর্মসূচিতে যোগ দেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরাও। এ সময় ‘মুজিববাদ-মুর্দাবাদ, মুজিববাদের ঠিকানা-এই বাংলায় হবে না, সারা বাংলায় খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’এমন আরও নানা স্লোগানে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল।

 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর গোপালগঞ্জে হামলা করেছে, এর পরিণাম খুব ভয়াবহ হবে। আমরা দেখেছি, প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের মতোই গোপালগঞ্জের অবস্থা হবে।

 

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলী সাংবাদিকদের বলেন, গোপালগঞ্জে যে ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে সেটা এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর নয়, জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। ইন্টেরিম পুরোপুরি ব্যর্থ এটা প্রমাণ হয়েছে। তারা খুনিদের বিচার না করার কারণে আজ আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা, আওয়ামী স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া বাচ্চারা জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করছে। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।

 

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত আছেন, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, যুগ্ম সদস্য সচিব সাগুপ্তা বুশরা, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব রিজাউর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইবনে হোসাইন জিয়াদ, মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ।দুই নম্বর গেইট এলাকায় অবস্থান নেওয়ার আগে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।

 

বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার মুখে নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করে। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে এনসিপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন।

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিদ্যুৎ অফিস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছেন জগন্নাথপুরবাসী।

চট্টগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভ, ৩২ নম্বরের পরিণত হবে গোপালগঞ্জ

আপডেট সময় ০২:২৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

 

এম মনির চৌধুরী রানা

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। তবে সড়কে যানবাহন চলাচলে তারা কোনো বাধা দেননি। সমাবেশ থেকে গোপালগঞ্জের পরিণতি ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের মতো হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন এনসিপি নেতারা।

 

গতকার বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নগরীর দুই নম্বর গেট মোড়ে অবস্থান নিতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে জমায়েত বড় হতে থাকে। এনসিপির কর্মসূচিতে যোগ দেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরাও। এ সময় ‘মুজিববাদ-মুর্দাবাদ, মুজিববাদের ঠিকানা-এই বাংলায় হবে না, সারা বাংলায় খবর দে, মুজিববাদের কবর দে’এমন আরও নানা স্লোগানে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল।

 

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, আমাদের সহযোদ্ধাদের ওপর গোপালগঞ্জে হামলা করেছে, এর পরিণাম খুব ভয়াবহ হবে। আমরা দেখেছি, প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। প্রশাসন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের মতোই গোপালগঞ্জের অবস্থা হবে।

 

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলী সাংবাদিকদের বলেন, গোপালগঞ্জে যে ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে সেটা এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর নয়, জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। ইন্টেরিম পুরোপুরি ব্যর্থ এটা প্রমাণ হয়েছে। তারা খুনিদের বিচার না করার কারণে আজ আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা, আওয়ামী স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া বাচ্চারা জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করছে। আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।

 

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত আছেন, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দ, যুগ্ম সদস্য সচিব সাগুপ্তা বুশরা, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব রিজাউর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইবনে হোসাইন জিয়াদ, মুখ্য সংগঠক তাওসিফ ইমরোজ।দুই নম্বর গেইট এলাকায় অবস্থান নেওয়ার আগে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করেন।

 

বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার মুখে নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন গোপালগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করে। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে এনসিপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন।