ঢাকা , শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জাতির সাথে তামাশা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়নি -মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান কটিয়াদীতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪৩ জন, শীর্ষে কটিয়াদী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি জুলাই শহীদদের স্বরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত  হরিপুরে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশি নিহত একাধিক বার গণধোলাই ও গ্রেফতার হয়ে জেল খাটলেও প্রতারক কামাল প্রধানের অপকর্ম থামছে না ৩ মাসের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে প্রতিকি কাফন মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ বিয়ের দিনই আত্মহত্যা করলো বর জুলাই শহীদদের মাগফেরাতে বাকৃবি ছাত্রশিবিরের দোয়া মাহফিল  বানারীপাড়ায় ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে স্কুল ছাত্রী অপহরণ  ভূঞাপুরে গৃহবধূর আত্মহত্যা

টানা দুই বছর উল্লাপাড়ার এলংজানি মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষায় শূন্য পাশ!

টানা দুই বছর উল্লাপাড়ার এলংজানি মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষায় শূন্য পাশ!

মো:কোরবান আলী রিপন 
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার এলংজানি দাখিল মাদ্রাসায় টানা দুই বছর ধরে দাখিল (এসএসসি সমমান) পরীক্ষায় কেউ পাশ করতে পারেনি। পরপর দুই বছর এমন শূন্য পাশের ঘটনায় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৪ সালে মাদ্রাসাটি থেকে ১২ জন ও ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাদ্রাসাটি থেকে ১৪ জন পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান যেমন দুর্বল, তেমনি শিক্ষকদের অবহেলায় এমনটা ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রশাসনিক গাফিলতিও দায়ী করছেন স্থানীয়রা
মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। দুই বছর কেউ পাশ করতে না পারায় শুধু শিক্ষার্থীদের দোষ নয়, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের জবাবদিহিতা প্রয়োজন।
এলংজানি গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন হোসেন বলেন, দীর্ঘ সময় আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় থাকা কালীন এই মাদ্রাসার কমিটিতে আওয়ামীলীগের লোকজন নিজের ইচ্ছেমত সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করেছে। পড়াশোনার মানের কথা চিন্তা না করে তারা ছিলো নিয়োগ বানিজ্যের প্রধান। এছাড়াও বর্তমান সুপার একজন দূর্নীতিগ্রস্থলোক। নিয়োগ বানিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও শিক্ষকগন প্রতিনিয়ত ক্লাস ফাঁকি দিয়ে নিজের কাজেই ব্যস্ত থাকতেন এছাড়াও অভিভাবকদের সাথে সমঝোতা না থাকায় দিন দিন মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী কমেছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মো. শাহাদত হোসেন বলেন, প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ঠিক মতো মাদ্রাসায় আসে না।
ফলাফল খারাপ হওয়ার পেছনে শিক্ষার্থীদের অনিয়মিত উপস্থিতি ও পাঠদানে আগ্রহের অভাব ছিল। তবে কিছু সমস্যার কারণে ফলাফল ভালো হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বিশ্বাসকে একাধিকবার ফোন দিলে তার ফোনটি রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, বিষয়টা খুবই দুঃখ জনক। ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। খুব দ্রুতই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতির সাথে তামাশা করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমতায় বসানো হয়নি -মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

টানা দুই বছর উল্লাপাড়ার এলংজানি মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষায় শূন্য পাশ!

আপডেট সময় ১১:২৫:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
মো:কোরবান আলী রিপন 
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার এলংজানি দাখিল মাদ্রাসায় টানা দুই বছর ধরে দাখিল (এসএসসি সমমান) পরীক্ষায় কেউ পাশ করতে পারেনি। পরপর দুই বছর এমন শূন্য পাশের ঘটনায় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, ২০২৪ সালে মাদ্রাসাটি থেকে ১২ জন ও ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাদ্রাসাটি থেকে ১৪ জন পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান যেমন দুর্বল, তেমনি শিক্ষকদের অবহেলায় এমনটা ঘটেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রশাসনিক গাফিলতিও দায়ী করছেন স্থানীয়রা
মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। দুই বছর কেউ পাশ করতে না পারায় শুধু শিক্ষার্থীদের দোষ নয়, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের জবাবদিহিতা প্রয়োজন।
এলংজানি গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন হোসেন বলেন, দীর্ঘ সময় আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় থাকা কালীন এই মাদ্রাসার কমিটিতে আওয়ামীলীগের লোকজন নিজের ইচ্ছেমত সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করেছে। পড়াশোনার মানের কথা চিন্তা না করে তারা ছিলো নিয়োগ বানিজ্যের প্রধান। এছাড়াও বর্তমান সুপার একজন দূর্নীতিগ্রস্থলোক। নিয়োগ বানিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও শিক্ষকগন প্রতিনিয়ত ক্লাস ফাঁকি দিয়ে নিজের কাজেই ব্যস্ত থাকতেন এছাড়াও অভিভাবকদের সাথে সমঝোতা না থাকায় দিন দিন মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী কমেছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মো. শাহাদত হোসেন বলেন, প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ঠিক মতো মাদ্রাসায় আসে না।
ফলাফল খারাপ হওয়ার পেছনে শিক্ষার্থীদের অনিয়মিত উপস্থিতি ও পাঠদানে আগ্রহের অভাব ছিল। তবে কিছু সমস্যার কারণে ফলাফল ভালো হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বিশ্বাসকে একাধিকবার ফোন দিলে তার ফোনটি রিসিভ না হওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত বলেন, বিষয়টা খুবই দুঃখ জনক। ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। খুব দ্রুতই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।