ঢাকা , সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ঘিরে অপপ্রচার ও কটুক্তির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মোঃ জাহাঙ্গীর  আলম মেম্বার নাইক্ষ্যংছড়ি নিকুছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে এক যুবকের পা বিচ্ছিন্ন আগামী নির্বাচন ঘিরে দলের মধ্যে বিভাজন দুর করে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে- হাজী জসিম উদ্দিন জসিম কুমিল্লায় সাহা মেডিকেলে ৯ টাকার ওষুধ ৮০ টাকায় বিক্রি, অতঃপর ভোক্তা অধিকারের হাতে ধরা খেয়ে জরিমানা করেন। বোয়ালখালীতে শহীদ ওমরের কবর জেয়ারত করেছেন নবাগত ওসি পটিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান জসিমকে ছাত্ররা ধরে পুলিশে দিল গাজীপুর শ্রীপুরে ৭৩ শিক্ষার্থীর ব্যবহারিক নম্বর বোর্ডে জমা দেওয়ার অভিযোগ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। তারেক রহমানকে কুটুক্তির প্রতিবাদে গৌরীপুরে বিক্ষোভ মিছিল বাকৃবির দশমিক ৫৬ ব্যাচের প্রথম ইন্টার্নশীপ শুরু মঠবাড়িয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা 

পটুয়াখালীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের জনজীবন

পটুয়াখালীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের জনজীবন

 

মোঃ সোহাগ বিশেষ প্রতিনিধি:- পটুয়াখালী জেলায় টানা কয়েকদিন ধরে চলা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। নদী তীরবর্তী ও শহরতলীর নিচু এলাকার ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি জমে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। দিনমজুর,জেলে ও ছোট দোকানদার সহ খেটে খাওয়া মানুষজন পড়েছেন চরম বিপাকে।

 

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শহরের চৌরাস্তা সহ পুলিশ লাইন,ঝাউতলা, তিতাস মোড়, নতুন বাজার ও বিভিন্ন এলাকার রাস্তা-ঘাট পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়াও উপজেলার অনেক এলাকায় পানি জমে রাস্তাঘাট হাঁটার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

 

শহরের ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান গুলোতেও নেই বেচাকেনা। বরং দিনের পর দিন দোকান বন্ধ রেখে ঘরে বসে আছেন অনেকে। গলাচিপা উপজেলা এলাকায় কথা হয় কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে। তখন স্থানীয় গলাচিপার শ্রমিক মোঃ ছালাম মিয়া জানান, গত ২-৩ দিন ধইরা কাজ কর্ম নাই। রাস্তা-ঘাট কাঁদা, বিভিন্ন জায়গায় পানি ঢুকছে । কাজ করতে পারতেছি না, আয় নাই, খাওয়া কষ্ট হইতাছে। দুই সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি।

 

গলাচিপা শহরের প্রেসক্লাবের পাশের রিক্সা চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এই রকম গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি সবসময়ে খারাপ। বড় বৃষ্টিতেও লোক রিক্সায় উঠে, কিন্তু গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে কেউ বের হয় না। তিনি বলেন, আগেও এমন পরিস্থিতি হয়েছে, কিন্তু এবার যেন বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে গেছে।

 

গলাচিপা উপজেলার মতো নদীবৃষ্টিত এলাকায় এখনো পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা হয়নি। শহরের সঙ্গে গ্রামাঞ্চলের সড়কগুলো বছরের পর বছর সংস্কারের অপেক্ষায় থাকে। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছে যায়।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ঘিরে অপপ্রচার ও কটুক্তির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মোঃ জাহাঙ্গীর  আলম মেম্বার

পটুয়াখালীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের জনজীবন

আপডেট সময় ০৭:২৫:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

 

মোঃ সোহাগ বিশেষ প্রতিনিধি:- পটুয়াখালী জেলায় টানা কয়েকদিন ধরে চলা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। নদী তীরবর্তী ও শহরতলীর নিচু এলাকার ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটে পানি জমে তৈরি হয়েছে জলাবদ্ধতা। দিনমজুর,জেলে ও ছোট দোকানদার সহ খেটে খাওয়া মানুষজন পড়েছেন চরম বিপাকে।

 

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শহরের চৌরাস্তা সহ পুলিশ লাইন,ঝাউতলা, তিতাস মোড়, নতুন বাজার ও বিভিন্ন এলাকার রাস্তা-ঘাট পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়াও উপজেলার অনেক এলাকায় পানি জমে রাস্তাঘাট হাঁটার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

 

শহরের ফুটপাতের অস্থায়ী দোকান গুলোতেও নেই বেচাকেনা। বরং দিনের পর দিন দোকান বন্ধ রেখে ঘরে বসে আছেন অনেকে। গলাচিপা উপজেলা এলাকায় কথা হয় কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে। তখন স্থানীয় গলাচিপার শ্রমিক মোঃ ছালাম মিয়া জানান, গত ২-৩ দিন ধইরা কাজ কর্ম নাই। রাস্তা-ঘাট কাঁদা, বিভিন্ন জায়গায় পানি ঢুকছে । কাজ করতে পারতেছি না, আয় নাই, খাওয়া কষ্ট হইতাছে। দুই সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি।

 

গলাচিপা শহরের প্রেসক্লাবের পাশের রিক্সা চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এই রকম গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি সবসময়ে খারাপ। বড় বৃষ্টিতেও লোক রিক্সায় উঠে, কিন্তু গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে কেউ বের হয় না। তিনি বলেন, আগেও এমন পরিস্থিতি হয়েছে, কিন্তু এবার যেন বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে গেছে।

 

গলাচিপা উপজেলার মতো নদীবৃষ্টিত এলাকায় এখনো পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা হয়নি। শহরের সঙ্গে গ্রামাঞ্চলের সড়কগুলো বছরের পর বছর সংস্কারের অপেক্ষায় থাকে। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছে যায়।