ঢাকা , মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মঠবাড়িয়ায় বিএনপির সদস্য ফরম বাছাই নিয়ে ছাত্রদল বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ – ৫ জন আহত পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা, বিক্ষোভের পর কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ‎ রশুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি নেয়া কে কেন্দ্র করে অভিভাবকদের ক্ষোভ ভোলা সদর উপজেলা জাতীয় পার্টি’র উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন রবির হলে পঞ্চাশ শতাংশ সিট পাবে নবীন শিক্ষার্থীরা পাবনার সাঁথিয়া ধূলাউড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ নজরুল ইসলাম নজু। সাহেবর উন্নয়ন মুলক কাজ। ভ্যানে শাক সব্জি বিক্রি করেই চলে তার জীবন  ফরিদগঞ্জে বিএনপি অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি  আটক। গাজীপুর শ্রীপুরে স্ত্রীর আত্মহত্যায় স্বামী গ্রেপ্তার, জনমনে জেগেছে প্রশ্ন! সাজা পরোয়ানাভুক্ত আসামী কামারুজ্জামান জুয়েল কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

মির্জাগঞ্জে ১৪ বছরের এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

মির্জাগঞ্জে ১৪ বছরের এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

 

মির্জাগঞ্জ,পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ৬ষ্ট শ্রেণির (১৪) এক স্কুল শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তবে ঐ শিক্ষার্থীর খালার দাবি ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় তাকে। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার ২ নং মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের ঘটকের আন্দুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর ধরে মির্জাগঞ্জের ঘটকের আন্দুয়া গ্রামে ঐ শিক্ষার্থী তার দাদী রোকেয়া বেগমের সাথে বসবাস করেছিলো। গতকাল সন্ধ্যায় তার দাদী ঐ শিক্ষার্থীকে বাসায় একা রেখে পান খাওয়ার জন্য অন্য বাসায় চলে যান। তখন ঐ শিক্ষার্থী পড়ার টেবিলে ছিলো এবং তার কয়েক ঘন্টা পর দাদী বাসায় আসলে ঝুলন্ত অবস্থায় ফ্যানের সাথে তার লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশকে ফোন দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

ঐ শিক্ষার্থীর খালা উপমা পারভিন খাদিজা বলেন, আমার বোনের মেয়ে আত্মহত্যা করেনি বরং তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। বেশ কয়েকমাস যাবত ফুফাতো ভাই সাকিল ও সাজিত বিভিন্ন ভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিলো ঐ শিক্ষার্থীকে। একদিন ঐ শিক্ষার্থী গোসল করতে গেলে ওর ফুফাতো ভাইরা গোপনে তা ভিডিও করে রাখে এবং যা দিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাকে যৌন হয়রানি করে তারা। এছাড়া বাড়ির সামনে থাকা শামীম নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে দাদী রোকেয়া বেগম বিভিন্ন ভাবে পড়াশোনার বিষয়ে ঐ শিক্ষার্থীকে বুঝাতে চাইলে সেও সেই সুযোগে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করেন বলে জানান তার খালা।

এছাড়া তিনি আরো বলেন, তার বোনের মেয়ে বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে তার ফুফাতো ভাইদের বিষয়ে বিভিন্ন কথা বলতো এবং তার দাদীর কথাও বলতো আর কান্না করতো।

মামাতো ভাই আশিকুল ইসলাম সিয়াম বলেন, শুক্রবার রাত ২টার সময় ঐ শিক্ষার্থীর দাদী রোকেয়া বেগম ফোন দিয়ে বলে (১৪) গলায় ফাঁস দেয় ঐ শিক্ষার্থী। কিন্তুু ঘটনা ঘটে রাত দশটার দিকে আর আমাদের জানায় রাত ২টায়। আর এটি কোন ভাবেই আত্নহত্যা হতে পারে না। আমরা এই হত্যার বিচার চাই বলে জানান তিনি।

তবে এবিষয়ে তার দাদী রোকেয়া বেগমকে একাধিক বার কল দিলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ শামীম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তবে এটি হত্যা না আত্নহত্যা সেবিষয়ে এখনি বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্নহত্যা।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় বিএনপির সদস্য ফরম বাছাই নিয়ে ছাত্রদল বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ – ৫ জন আহত

মির্জাগঞ্জে ১৪ বছরের এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৩:১৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

 

মির্জাগঞ্জ,পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ৬ষ্ট শ্রেণির (১৪) এক স্কুল শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তবে ঐ শিক্ষার্থীর খালার দাবি ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় তাকে। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার ২ নং মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের ঘটকের আন্দুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর ধরে মির্জাগঞ্জের ঘটকের আন্দুয়া গ্রামে ঐ শিক্ষার্থী তার দাদী রোকেয়া বেগমের সাথে বসবাস করেছিলো। গতকাল সন্ধ্যায় তার দাদী ঐ শিক্ষার্থীকে বাসায় একা রেখে পান খাওয়ার জন্য অন্য বাসায় চলে যান। তখন ঐ শিক্ষার্থী পড়ার টেবিলে ছিলো এবং তার কয়েক ঘন্টা পর দাদী বাসায় আসলে ঝুলন্ত অবস্থায় ফ্যানের সাথে তার লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশকে ফোন দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

ঐ শিক্ষার্থীর খালা উপমা পারভিন খাদিজা বলেন, আমার বোনের মেয়ে আত্মহত্যা করেনি বরং তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। বেশ কয়েকমাস যাবত ফুফাতো ভাই সাকিল ও সাজিত বিভিন্ন ভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিলো ঐ শিক্ষার্থীকে। একদিন ঐ শিক্ষার্থী গোসল করতে গেলে ওর ফুফাতো ভাইরা গোপনে তা ভিডিও করে রাখে এবং যা দিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাকে যৌন হয়রানি করে তারা। এছাড়া বাড়ির সামনে থাকা শামীম নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে দাদী রোকেয়া বেগম বিভিন্ন ভাবে পড়াশোনার বিষয়ে ঐ শিক্ষার্থীকে বুঝাতে চাইলে সেও সেই সুযোগে শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করেন বলে জানান তার খালা।

এছাড়া তিনি আরো বলেন, তার বোনের মেয়ে বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে তার ফুফাতো ভাইদের বিষয়ে বিভিন্ন কথা বলতো এবং তার দাদীর কথাও বলতো আর কান্না করতো।

মামাতো ভাই আশিকুল ইসলাম সিয়াম বলেন, শুক্রবার রাত ২টার সময় ঐ শিক্ষার্থীর দাদী রোকেয়া বেগম ফোন দিয়ে বলে (১৪) গলায় ফাঁস দেয় ঐ শিক্ষার্থী। কিন্তুু ঘটনা ঘটে রাত দশটার দিকে আর আমাদের জানায় রাত ২টায়। আর এটি কোন ভাবেই আত্নহত্যা হতে পারে না। আমরা এই হত্যার বিচার চাই বলে জানান তিনি।

তবে এবিষয়ে তার দাদী রোকেয়া বেগমকে একাধিক বার কল দিলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ শামীম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তবে এটি হত্যা না আত্নহত্যা সেবিষয়ে এখনি বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্নহত্যা।