ঢাকা , রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবি’র বড় মাদক চালান জব্দ: ইয়াবাসহ আটক ১ ২৮ জুন র‍্যালী ও আলোচনা সভা সফল করার আহ্বান তারেক রহমান’ই জনআকাঙ্ক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিশারী : মিফতাহ্ সিদ্দিকী বাকৃবিতে এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াড সিজন ৪-এর অপারেশনাল টিম গঠন ত্রিশালে বিএনপি নেতা খসরু কে সংবর্ধনা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী ৩২ বছরের ছমির এখনো শিশু, দুশ্চিন্তায় পরিবার বুড়িচং উপজেলার ভারতীয় সীমান্তে চা-আড্ডায় যৌথবাহিনীর অভিযান: মোটরসাইকেল জব্দ ও জরিমানা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন জরুরি ময়মনসিলহে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা  দেবীগঞ্জে হত্যা আসামি টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে কোস্টগার্ডের অভিযান: ৪০ মন জাটকা জব্দ

পাবনার সাঁথিয়া মিয়া পুর কলেজ অধ্যক্ষ ও আওয়ামীলীগ নেতা মজিবুর এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে

 

সুমন মন্ডল পাবনা, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন এর মিয়াপুর হাজী জসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ও আ. লীগ নেতা মজিবুর রহমান এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন বিক্রয়, নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারি অনুদানের টাকা আত্মসাৎ, কলেজের জায়গা বিক্রয়ে সাবেক সভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা মনসুর আলম পিন্চুর যোগসাজসে কলেজের দামী সম্পত্তি সাবেক সভাপতির কাছে বিক্রয় অভিযোগ সহ নানা ধরনের দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে। বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসর এই অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান।

সে আওয়ামীলীগ এর উপজেলা কমিটির শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক ধর্মীয় সম্পাদক ছাত্র সংসদ সরকারি এডওর্য়াড কলেজ পাবনা, সাবেক সহ  সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এস.এম হল শাখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সাবেক ছাত্রনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আপন ভাতিজা মোঃ শাহীন আলম কে অর্থের বিনিময়ে চাকুরী প্রদান।

বর্তমানে কলেজ এবং স্কুলকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে উপনীত করেছেন। অভিযোগ আছে এই অধ্যক্ষর কারণে কলেজটির লেখাপড়ার মান বর্তমানে খুব নিম্ন পর্যায়ে।

স্কুল ফান্ডের টাকা নিজের একাউন্টে রেখে নিজের ইচ্ছেমত ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর আগেও, দূর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন এই অধ্যক্ষ। পরে সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে পুনরায় চাকুরীতে বহাল হন। বিভিন্ন বিল ভাউচার অনিয়ম করে বেশি টাকা সংযুক্ত করে বিল পাশ করান এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ।
এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বহাল তবিয়াতে এই বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করে গেছে। কেউ কিছু বললেই তিনি সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকুর ভয় দেখিয়ে বলতেন আমি টুকু সাহেবের লোক, কার এতো সাহস আমার বিরুদ্ধে বলবে।

সে এক জন অধ্যক্ষ হয়েও বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে রাজনীতি করে গেছেন। সে স্কুল ফাঁকি দিয়ে বেশির ভাগ সময় টুকু এমপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতেন। বিদ্যালয়টিকে তিনি একটি তার স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। ভারত সহ বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎ করে বিলাসী ভাবে ভ্রমণ করতেন। সচেতন এলাকাবাসী জানায় এই ধরনের দুর্নীতিবাজ ও অনিয়মকারী অধ্যক্ষ বিদ্যালয় চালালে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নতি করতে পারবে না, তাছাড়া তিনি আওয়ামী লীগ করেও স্বপদে এখনো কিভাবে বহাল রয়েছেন।

এদিকে, গত মে মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিজু তামান্না আকস্মিকভাবে মিয়াপুর হাজী জসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে পরিদর্শনে এসে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়ম ও শিক্ষার মান নিম্ন পর্যায়ে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে প্রিন্সিপাল মজিবুর রহমান জানতে চেষ্টা করলে তার মুঠোফোনে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিজু তামান্না জানতে চাইলি তিনি বলেন, আমি এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এলাকার সুধীজন ও সচেতন অভিভাবকবৃন্দ অনতিবিলম্বে এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ গুলো তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবি’র বড় মাদক চালান জব্দ: ইয়াবাসহ আটক ১

পাবনার সাঁথিয়া মিয়া পুর কলেজ অধ্যক্ষ ও আওয়ামীলীগ নেতা মজিবুর এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে

আপডেট সময় ০৭:৪৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

 

সুমন মন্ডল পাবনা, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন এর মিয়াপুর হাজী জসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ও আ. লীগ নেতা মজিবুর রহমান এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন বিক্রয়, নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারি অনুদানের টাকা আত্মসাৎ, কলেজের জায়গা বিক্রয়ে সাবেক সভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা মনসুর আলম পিন্চুর যোগসাজসে কলেজের দামী সম্পত্তি সাবেক সভাপতির কাছে বিক্রয় অভিযোগ সহ নানা ধরনের দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে। বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসর এই অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান।

সে আওয়ামীলীগ এর উপজেলা কমিটির শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক ধর্মীয় সম্পাদক ছাত্র সংসদ সরকারি এডওর্য়াড কলেজ পাবনা, সাবেক সহ  সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এস.এম হল শাখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সাবেক ছাত্রনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আপন ভাতিজা মোঃ শাহীন আলম কে অর্থের বিনিময়ে চাকুরী প্রদান।

বর্তমানে কলেজ এবং স্কুলকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে উপনীত করেছেন। অভিযোগ আছে এই অধ্যক্ষর কারণে কলেজটির লেখাপড়ার মান বর্তমানে খুব নিম্ন পর্যায়ে।

স্কুল ফান্ডের টাকা নিজের একাউন্টে রেখে নিজের ইচ্ছেমত ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর আগেও, দূর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন এই অধ্যক্ষ। পরে সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে পুনরায় চাকুরীতে বহাল হন। বিভিন্ন বিল ভাউচার অনিয়ম করে বেশি টাকা সংযুক্ত করে বিল পাশ করান এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ।
এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বহাল তবিয়াতে এই বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করে গেছে। কেউ কিছু বললেই তিনি সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকুর ভয় দেখিয়ে বলতেন আমি টুকু সাহেবের লোক, কার এতো সাহস আমার বিরুদ্ধে বলবে।

সে এক জন অধ্যক্ষ হয়েও বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে রাজনীতি করে গেছেন। সে স্কুল ফাঁকি দিয়ে বেশির ভাগ সময় টুকু এমপির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতেন। বিদ্যালয়টিকে তিনি একটি তার স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। ভারত সহ বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎ করে বিলাসী ভাবে ভ্রমণ করতেন। সচেতন এলাকাবাসী জানায় এই ধরনের দুর্নীতিবাজ ও অনিয়মকারী অধ্যক্ষ বিদ্যালয় চালালে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নতি করতে পারবে না, তাছাড়া তিনি আওয়ামী লীগ করেও স্বপদে এখনো কিভাবে বহাল রয়েছেন।

এদিকে, গত মে মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিজু তামান্না আকস্মিকভাবে মিয়াপুর হাজী জসিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে পরিদর্শনে এসে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়ম ও শিক্ষার মান নিম্ন পর্যায়ে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে প্রিন্সিপাল মজিবুর রহমান জানতে চেষ্টা করলে তার মুঠোফোনে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিজু তামান্না জানতে চাইলি তিনি বলেন, আমি এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এলাকার সুধীজন ও সচেতন অভিভাবকবৃন্দ অনতিবিলম্বে এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ গুলো তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে।