ঢাকা , বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এর পূর্বে লোকসানের সম্মুখীন ছিল-এবার ১৩ টি চা বাগান লাভজনক অবস্থানে ফিরে আসবে ন্যাশনাল টি কোম্পানি। বোয়ালখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রাজমিস্ত্রীর মৃত্যু চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির আধিপত্য নিয়ে দুপক্ষের গোলাগুলি শিক্ষকদের অবহেলার কারনে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি  ব্রাহ্মণপাড়ায় এক মাদকসেবীর কারাদণ্ড  কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকার খাদে পড়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু মানিকগঞ্জে মহাসড়কে চলাচলে আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার দাবিতে বাস মালিকদের মানববন্ধন  আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকে ওয়েলস ডিভিশনের লিডারশীপ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানা পুলিশের অভিযানে ভারতীয় মদসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ০১ অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে পাচ্ছে না অসহায় বৃদ্ধ সিরু মিয়ার।

দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে রাতে দম্পতি মারপিটের শিকার, হাসপাতালে ভর্তি থানায় অভিযোগ 

দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে রাতে দম্পতি মারপিটের শিকার, হাসপাতালে ভর্তি থানায় অভিযোগ 


বিশেষ প্রতিনিধি : 
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়ায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীর হাতে ব্রাক শিক্ষা শাখার সাবেক অফিসার এবং তার স্ত্রী মারপিটের শিকার হয়েছেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

জানা যায়, পার্বতীপুর উপজেলার ১০ নং হরিরামপুর ইউনিয়নের খনিজ শিল্পাঞ্চল মধ্যপাড়া বাজারের বিশিষ্ট পাথর ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা মমিনুল ইসলাম ওরফে মমিনের বাসায় দীর্ঘদিন ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন লালমনিরহাট জেলার মিজানুর রহমান। তিনি বিগত ২০২৩ সালে ব্রাক ব্যাংকে চাকরীরত অবস্থায়, মধ্যপাড়া বাজারের বিসমিল্লাহ ফার্মেসি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের সাথে তার সখ্যতা তার গড়ে ওঠে।

এই সুযোগে জাহাঙ্গীর আলম তার ঔষধ ব্যবসা বর্ধিত করণের উদ্দেশ্যে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করেন। জাহাঙ্গীর আলম ব্যাংকের চেক ও স্ট্যাম্পের মাধ্যমে মিজানুর রহমানের নিকট হতে প্রায় ১৫ লক্ষ অর্থ লেনদেন সম্পূর্ণ করার পর টাকা ফেরত দিতে অনাগ্রহ প্রদর্শন করেন।

 এদিকে, গত ৩০ মে ২০২৫ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ৯:০০ ঘটিকার সময় মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার জাহাঙ্গীরের বিসমিল্লাহ ফার্মেসীর সামনে তাদের পাওনা টাকা চাইতে গেলে জাহাঙ্গীর আলম টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয় এবং এক পর্যায়ে তেড়ে এসে হাসিনা আক্তারের উপর আক্রমণ চালায়, স্ত্রীকে বাঁচাতে স্বামী মিজানুর রহমান এগিয়ে এলে তার নাকে ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে স্হানীয় ফল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম, মেহেরিমা এন্টারপ্রাইজ এর সত্তাধীকারি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন লাবু জানান, ঘটনার সময় আমরা দুজন দোকান থেকে ছুটে যাই কিছু বুঝে ওঠার আগেই দম্পতিকে অমানবিক ভাবে জাহাঙ্গীর কর্তৃক মারধর করা হয়েছে যা অনাকাঙ্ক্ষিত।

এ সময়ে, বাজারের স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে স্হানীয় মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে দ্রুত পার্বতীপুর হলদিবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।


এবিষয়ে গতকাল সোমবার ভুক্তভোগী হাসিনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, 
আমাদের দীর্ঘদিনের পাওনা টাকা জাহাঙ্গীরের নিকট চাইতে গেলে তিনি পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদেরকে মারপিট করেন। আমি ন্যয় বিচারের আশাা পার্বতীপুর মডল থানাা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

তিনি আরো বলেন, আমারকে মারধর করার পর জাহাঙ্গীর আলমের লেলিয়ে দেওয়া লোকজন মোবাইল ফোনে আমাদেরকে নানা রকম হুমকি দিয়ে আসছে যার কল ডকুমেন্টস সংরক্ষিত আছে, বিশেষ কারণে হুমকি দাতাদের পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে। তারা বলেছে আমরা যদি থানায় মামলা করি তাহলে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে, তাই তাদের অব্যহত হুমকির মুখে বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তায় ভুগছি।


প্রত্যক্ষদর্শী ফার্নিচার ব্যবসায়ী ইউনিয়ন কৃষক দলের নেতা সাইমুল ইসলাম বলেন, 
ওষুধ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের নিকট পাওনা টাকা চাইতে গেলে তিনি স্বামী স্ত্রীকে বেদম মারপিট করেছেেন, যা মোটেও উচিত হয়নি, ঈদের পূর্বে তাদের টাকার চাহিদার কারণে ওই দম্পতি পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে লাঞ্চিত হয়েছে।

মধ্যপাড়া ভাদুরীবাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও মা বাবার দোয়া হোটেল এর মালিক বলেন, বিষয় টি দুঃখ জনক আচরণ একজন ভদ্র দম্পতি কে মা-র ধর নিন্দনীয়। মমিন ম্যানশনের মালিক ইউনিয়ন বিএনপি র অন্যতম উপদেষ্টা মমিনুল হক এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, অপরাধী চক্র কে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা বান্চনীয়।

শারীরিক নির্যাতনের শিকার দম্পতির বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে মাস্তুরা আফরিন আবেগজনিত কন্ঠে আক্ষেপ করে বলেন, আমার মা-বাবা কে নির্যাতন কারী এবং ইন্ধন দাতাদের বিষয়ে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর নিকট সহায়তা চাওয়া হবে। এ ব্যপারে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উজ্জ্বল কুমার মৈত্র সাংবাদিকদের বলেন, মারধরের ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনো লিখিত অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

এর পূর্বে লোকসানের সম্মুখীন ছিল-এবার ১৩ টি চা বাগান লাভজনক অবস্থানে ফিরে আসবে ন্যাশনাল টি কোম্পানি।

দিনাজপুরের মধ্যপাড়ায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে রাতে দম্পতি মারপিটের শিকার, হাসপাতালে ভর্তি থানায় অভিযোগ 

আপডেট সময় ১২:২৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫


বিশেষ প্রতিনিধি : 
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়ায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীর হাতে ব্রাক শিক্ষা শাখার সাবেক অফিসার এবং তার স্ত্রী মারপিটের শিকার হয়েছেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

জানা যায়, পার্বতীপুর উপজেলার ১০ নং হরিরামপুর ইউনিয়নের খনিজ শিল্পাঞ্চল মধ্যপাড়া বাজারের বিশিষ্ট পাথর ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা মমিনুল ইসলাম ওরফে মমিনের বাসায় দীর্ঘদিন ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন লালমনিরহাট জেলার মিজানুর রহমান। তিনি বিগত ২০২৩ সালে ব্রাক ব্যাংকে চাকরীরত অবস্থায়, মধ্যপাড়া বাজারের বিসমিল্লাহ ফার্মেসি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের সাথে তার সখ্যতা তার গড়ে ওঠে।

এই সুযোগে জাহাঙ্গীর আলম তার ঔষধ ব্যবসা বর্ধিত করণের উদ্দেশ্যে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা লেনদেন করেন। জাহাঙ্গীর আলম ব্যাংকের চেক ও স্ট্যাম্পের মাধ্যমে মিজানুর রহমানের নিকট হতে প্রায় ১৫ লক্ষ অর্থ লেনদেন সম্পূর্ণ করার পর টাকা ফেরত দিতে অনাগ্রহ প্রদর্শন করেন।

 এদিকে, গত ৩০ মে ২০২৫ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ৯:০০ ঘটিকার সময় মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার জাহাঙ্গীরের বিসমিল্লাহ ফার্মেসীর সামনে তাদের পাওনা টাকা চাইতে গেলে জাহাঙ্গীর আলম টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয় এবং এক পর্যায়ে তেড়ে এসে হাসিনা আক্তারের উপর আক্রমণ চালায়, স্ত্রীকে বাঁচাতে স্বামী মিজানুর রহমান এগিয়ে এলে তার নাকে ঘুষি মেরে নাক ফাটিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে স্হানীয় ফল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম, মেহেরিমা এন্টারপ্রাইজ এর সত্তাধীকারি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন লাবু জানান, ঘটনার সময় আমরা দুজন দোকান থেকে ছুটে যাই কিছু বুঝে ওঠার আগেই দম্পতিকে অমানবিক ভাবে জাহাঙ্গীর কর্তৃক মারধর করা হয়েছে যা অনাকাঙ্ক্ষিত।

এ সময়ে, বাজারের স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে স্হানীয় মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে দ্রুত পার্বতীপুর হলদিবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।


এবিষয়ে গতকাল সোমবার ভুক্তভোগী হাসিনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, 
আমাদের দীর্ঘদিনের পাওনা টাকা জাহাঙ্গীরের নিকট চাইতে গেলে তিনি পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদেরকে মারপিট করেন। আমি ন্যয় বিচারের আশাা পার্বতীপুর মডল থানাা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

তিনি আরো বলেন, আমারকে মারধর করার পর জাহাঙ্গীর আলমের লেলিয়ে দেওয়া লোকজন মোবাইল ফোনে আমাদেরকে নানা রকম হুমকি দিয়ে আসছে যার কল ডকুমেন্টস সংরক্ষিত আছে, বিশেষ কারণে হুমকি দাতাদের পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে। তারা বলেছে আমরা যদি থানায় মামলা করি তাহলে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে, তাই তাদের অব্যহত হুমকির মুখে বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তায় ভুগছি।


প্রত্যক্ষদর্শী ফার্নিচার ব্যবসায়ী ইউনিয়ন কৃষক দলের নেতা সাইমুল ইসলাম বলেন, 
ওষুধ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের নিকট পাওনা টাকা চাইতে গেলে তিনি স্বামী স্ত্রীকে বেদম মারপিট করেছেেন, যা মোটেও উচিত হয়নি, ঈদের পূর্বে তাদের টাকার চাহিদার কারণে ওই দম্পতি পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে লাঞ্চিত হয়েছে।

মধ্যপাড়া ভাদুরীবাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও মা বাবার দোয়া হোটেল এর মালিক বলেন, বিষয় টি দুঃখ জনক আচরণ একজন ভদ্র দম্পতি কে মা-র ধর নিন্দনীয়। মমিন ম্যানশনের মালিক ইউনিয়ন বিএনপি র অন্যতম উপদেষ্টা মমিনুল হক এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, অপরাধী চক্র কে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা বান্চনীয়।

শারীরিক নির্যাতনের শিকার দম্পতির বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে মাস্তুরা আফরিন আবেগজনিত কন্ঠে আক্ষেপ করে বলেন, আমার মা-বাবা কে নির্যাতন কারী এবং ইন্ধন দাতাদের বিষয়ে প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর নিকট সহায়তা চাওয়া হবে। এ ব্যপারে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ফলে তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উজ্জ্বল কুমার মৈত্র সাংবাদিকদের বলেন, মারধরের ঘটনাটি শুনেছি, তবে এখনো লিখিত অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।