ঢাকা , বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুর পৌর বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বিনামূল্যে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠিত  ব্রাহ্মণপাড়ায় ৫ ফার্মেসিকে ২৮ হাজার টাকা জরিমানা ব্রাহ্মণপাড়ায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে পারিবারিক পুষ্টিবাগানের উপকরণ বিতরণ ৮ বছরে ও সড়কে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি বুড়িচংয়ে কোরপাই – মনঘাটা-আবিদপুর সড়কটি খানাখন্দে বেহাল দশা বোয়ালখালীতে সেনাবাহিনীর হাতে অস্ত্রসহ আটক এক  সাবেক ছাত্রলীগ সদস্য কাজী শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহারের দাবি, স্থানীয়দের নগরীতে আসামী আটক করতে গিয়ে অভিভাবক, সাংবাদিককে গালিগালাজ ও  লাঞ্ছিতের অভিযোগ  গৌরনদীতে পাল্লক পুত্রকে তাড়াতে নানান ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে থানায় অভিযোগ সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে পানিতে ডুবে কন্যা শিশুর মৃত্যু স্বাধীনতার ৫৫ বছর পরেও মৃত: বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর দিন কাটে ভিক্ষা করে মৃত: ওই মুক্তিযোদ্ধার নম্বরেই অন্যজনের ভাতা ভোগের অভিযোগ 

নগরীতে আসামী আটক করতে গিয়ে অভিভাবক, সাংবাদিককে গালিগালাজ ও  লাঞ্ছিতের অভিযোগ 

নগরীতে আসামী আটক করতে গিয়ে অভিভাবক, সাংবাদিককে গালিগালাজ ও  লাঞ্ছিতের অভিযোগ 

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: মঙ্গলবার রাত দেড়টা। প্রচন্ড গরম। রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার হাদির মোড় শহররক্ষা বাঁধে একটু বাতাস বসার জন্য যান শাজাহান দম্পত্তী। হটাৎ সাদা পোশাকে ৩জন-সহ ৮/১০জনের পুলিশের একটি দল রাঁধের উপর।

পুলিশ শাজাহানকে বলেন, জনৈক ভুদুর বাড়ি দেখিয়ে দাও। তাদের কথা মতো শাজাহান রাজি না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হন পুলিশের সাদা পোশাকে থাকা একজন পুলিশ সদস্য ও এএসআই শরিফুল।

তারা বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সার্জেন শহীদের উপস্থিতিতে শাজাহানকে বলেন, বাড়ি দেখাবি নইলে ব্যাটা তোর চোখ তুলে নিব। ছাত্র/জনতাকে সাথে নিয়ে গুম করে দিব এবং অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা-সহ ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। ওই সময় সাংবাদিক মোঃ পারভেজ ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ সদস্যের পরিচয় জানতে চাইলে এএসআই শরিফুল সাংবাদিক পারভেজকে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বুকের কাপড় ধরে ধাক্কা মারেন।

বলেন, এক্ষুনি এখান থেকে যা নইলে থানায় নিয়ে মামলা দিব। এরপর তারা শাজাহানের বাড়িতে যায়। বাড়িতে তার যুবতী মেয়ে একাই ঘুমিয়ে ছিল। তাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে সিজানকে খোঁজ করে। তাকে না পেয়ে যুবতীকেও হুমকি ধামকি দিয়ে প্রস্থান করে পুলিশ।

ভুক্তভোগী শাজাহান জানায়, গত (১০ মে) সকালে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার হাদির মোড় বৌ বাজারে জনৈক ভুদুর সাথে আব্দুল খালেকের মারামারি ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আমার ছেলে জিসান ও প্রতিবেশী সাকিব হোসেনকে আসামী করা হয়েছে।

কিন্তু বাস্তবতা হলো মামলার ১নং আসামী ভুদু মিয়া বলেন, মারামারীর সময় আমার সাথে কেউ ছিল না। সাংবাদিক মোঃ পাভেজ ইসলাম জানায়, পুলিশের পরিচয় জানা যদি অপরাধ হয়। তাহলে আমাদের বাকস্বাধীনতা কোথায়? সাধারণ প্রতিবেশীর সাথে খারাপ আচারণ এবং অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে পুলিশ। আমি দেখে সাদা পোশাকে থাকা পুলিশের পরিচয় জানতে চেয়েছি। কিন্তু আমাকে কেন গালিগালাজ করা হবে? এ ব্যপারে তিনি আরএমপি পুলিশের পুলিশ কমিশনার মহাদায়ের নিকট অভিযোগ করবেন বলেও জানান তিনি।

জানতে চাইলে বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোঃ শহিদ জানায়, আসামী ধরতে গিয়েছিলাম। বাঁধের উপর শাজাহান ছিল তার ছেলে মামলার আসামী। তিনি আসামী সরিয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে এএসআই এর সাথে কথাকাটাকাটি হয়েছে। তবে তাকে কোন হুমকি দেয়া হয়নি। সাংবাদিক পারভেজকে বুকের কাপড় ধরে ধাক্কা মারার বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন।


সবমিলি তিনি পুরো ঘটনাকে একটা ভুল বোঝাবুঝি বলে জানান। 
বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), মোস্তাক আহমেদ এর মুঠো ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি ফলে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

আপলোডকারীর তথ্য

news room

জনপ্রিয় সংবাদ

জগন্নাথপুর পৌর বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বিনামূল্যে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠিত 

নগরীতে আসামী আটক করতে গিয়ে অভিভাবক, সাংবাদিককে গালিগালাজ ও  লাঞ্ছিতের অভিযোগ 

আপডেট সময় ০১:৩৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: মঙ্গলবার রাত দেড়টা। প্রচন্ড গরম। রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার হাদির মোড় শহররক্ষা বাঁধে একটু বাতাস বসার জন্য যান শাজাহান দম্পত্তী। হটাৎ সাদা পোশাকে ৩জন-সহ ৮/১০জনের পুলিশের একটি দল রাঁধের উপর।

পুলিশ শাজাহানকে বলেন, জনৈক ভুদুর বাড়ি দেখিয়ে দাও। তাদের কথা মতো শাজাহান রাজি না হওয়ায় ক্ষুদ্ধ হন পুলিশের সাদা পোশাকে থাকা একজন পুলিশ সদস্য ও এএসআই শরিফুল।

তারা বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি সার্জেন শহীদের উপস্থিতিতে শাজাহানকে বলেন, বাড়ি দেখাবি নইলে ব্যাটা তোর চোখ তুলে নিব। ছাত্র/জনতাকে সাথে নিয়ে গুম করে দিব এবং অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা-সহ ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করেন। ওই সময় সাংবাদিক মোঃ পারভেজ ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ সদস্যের পরিচয় জানতে চাইলে এএসআই শরিফুল সাংবাদিক পারভেজকে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বুকের কাপড় ধরে ধাক্কা মারেন।

বলেন, এক্ষুনি এখান থেকে যা নইলে থানায় নিয়ে মামলা দিব। এরপর তারা শাজাহানের বাড়িতে যায়। বাড়িতে তার যুবতী মেয়ে একাই ঘুমিয়ে ছিল। তাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে সিজানকে খোঁজ করে। তাকে না পেয়ে যুবতীকেও হুমকি ধামকি দিয়ে প্রস্থান করে পুলিশ।

ভুক্তভোগী শাজাহান জানায়, গত (১০ মে) সকালে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার হাদির মোড় বৌ বাজারে জনৈক ভুদুর সাথে আব্দুল খালেকের মারামারি ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আমার ছেলে জিসান ও প্রতিবেশী সাকিব হোসেনকে আসামী করা হয়েছে।

কিন্তু বাস্তবতা হলো মামলার ১নং আসামী ভুদু মিয়া বলেন, মারামারীর সময় আমার সাথে কেউ ছিল না। সাংবাদিক মোঃ পাভেজ ইসলাম জানায়, পুলিশের পরিচয় জানা যদি অপরাধ হয়। তাহলে আমাদের বাকস্বাধীনতা কোথায়? সাধারণ প্রতিবেশীর সাথে খারাপ আচারণ এবং অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে পুলিশ। আমি দেখে সাদা পোশাকে থাকা পুলিশের পরিচয় জানতে চেয়েছি। কিন্তু আমাকে কেন গালিগালাজ করা হবে? এ ব্যপারে তিনি আরএমপি পুলিশের পুলিশ কমিশনার মহাদায়ের নিকট অভিযোগ করবেন বলেও জানান তিনি।

জানতে চাইলে বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোঃ শহিদ জানায়, আসামী ধরতে গিয়েছিলাম। বাঁধের উপর শাজাহান ছিল তার ছেলে মামলার আসামী। তিনি আসামী সরিয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে এএসআই এর সাথে কথাকাটাকাটি হয়েছে। তবে তাকে কোন হুমকি দেয়া হয়নি। সাংবাদিক পারভেজকে বুকের কাপড় ধরে ধাক্কা মারার বিষয়টিও তিনি অস্বীকার করেন।


সবমিলি তিনি পুরো ঘটনাকে একটা ভুল বোঝাবুঝি বলে জানান। 
বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), মোস্তাক আহমেদ এর মুঠো ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি ফলে তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।