ঢাকা , বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইন্দুরকানীতে টিসিবির পন্য আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় বিশ্বাস পরিবারকে সামাজিকভাবে ধ্বংসের চক্রান্ত নেপথ্যে কৃষকলীগ নেতা অরবিন্দু চৌধুরী ও অপূর্ব মন্ডল তালের চারা ও বেড়া বিতরণ গৌরীপুরে কচুক্ষেত থেকে প্রতিবন্ধী যুবতীর মরদেহ উদ্ধার অপহরণ মামলার আসামী শুভ খলিফা র‌্যাব কর্তৃক রাজধানীর লালবাগ হতে গ্রেফতার ও ভিকটিম উদ্ধার। ইন্দুরকানীতে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে হামলায় ৬ জন আহত সমন্বয়ক লাঞ্চিত কমিটি গঠন স্থগিত বুড়িচংয়ে দোকানে মিললো টিসিবির ১৪৪২ লিটার তেল  অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আ. লীগের প্রভাবশালী সমর্থক ই-লার্নিং এর মাসুদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান ও স্ত্রী সহ দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ফুলবাড়ীতে বিস্ফোরন মামলায় সাবেক জেলা পরিষদ সদস‌্য কামরু গ্রেফতার।  হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামি নান্টুকে আটক করেছে র‍্যাব। 

২৪ ঘন্টার মধ্যেই আওয়ামী ফ্যাসীবাদীদের নিষিদ্ধ করতে হবে -মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

২৪ ঘন্টার মধ্যেই আওয়ামী ফ্যাসীবাদীদের নিষিদ্ধ করতে হবে -মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘সাবাইকে দেখা শেষ, জামায়াতের নেতৃত্বে আল কুরআনের বাংলাদেশ’ স্লোগানকে উচ্চকিত করে দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে যুব সমাজকে ময়দানে আপোষহীন ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

 

 

তিনি আজ ৯ মে সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর রূপনগরের কড়ইতলা মোড়ের ইস্টার্ন হাউজিং-এ সহযোগি সদস্য সংগ্রহ উপলক্ষ্যে রূপনগর থানা জামায়াত আয়োজিত এক যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর আবু হানিফের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও ঢাকা-১৬ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী কর্ণেল (অব:) এম আব্দুল বাতেন ,মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দীন, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল প্রার্থী হাসানুল বান্না চপল।

 

রূপনগরে জামায়াতের যুব সমাবেশ
রূপনগরে জামায়াতের যুব সমাবেশ

 

সেলিম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের অপশাসন ও দুঃশাসনে আওয়ামী ফ্যাসীবাদীরা দেশকে জাহান্নামে পরিণত করেছে। যুব সমাজকে আদর্শ নাগরিকে পরিণত করার পরিবর্তে তাদের হাতে মাদক ও অস্ত্র তুলে দিয়ে নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে দেশের যুব সমাজকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আদর্শ নাগরিক এবং কর্মক্ষম করে তোলা হবে। জনগণ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠালে আমরা দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশ থেকে বেকারত্ব দূর করার জন্য শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার আগেই শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন চাকুরীর ব্যবস্থা করা হবে। একই সাথে শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার পর তাদেরকে মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ি স্থায়ি চাকুরীর ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশে কর্মরত মেধাবীদের দেশে ফিরিয়ে এনে উচ্চ বেতনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। যারা স্বল্প শিক্ষিত তাদেরকে কৃষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায় নিয়োজিত করা হবে। তাদের বেতনও হবে খুবই সম্মানজনক। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে এদেশে কেউ কর্মহীন থাকবে না।

তিনি বলেন, আমরা দেশকে এমন একটি গণমুখী ও কল্যাণকামী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই, যে রাষ্ট্রে সকল শ্রেণির মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। দেশে এমন শ্রমনীতি চালু করা হবে যে, শ্রমিকরা তাদের নায্য অধিকারের নিশ্চয়তা পাবেন। মালিক পক্ষই শ্রমিকদের চিকিৎসা সহ আপদকালীন সময়ে সকল সমস্যার সমাধান দেবেন। সন্তানদের শিক্ষার সার্বিক ব্যয় নির্বাহ করবেন। অন্যথায় রাষ্ট্রই এসব সেবা প্রদান করবে। জামায়াত ক্ষমতায় আসলে সকল নাগরিকের জন্য হেলথকার্ড দেওয়া হবে। যাতে তারা স্বপ্লমূল্যে বা বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তাদের বেতন হবে সর্বনিম্ন পঞ্চাশ হাজার টাকা। তাদের কোন কোচিং সেন্টার খোলার প্রয়োজন হবে না। দেশের সকল নাগরিক যাতে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করে নিজেদের মর্জিমত নেতা নির্বাচন করতে পারেন সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমপি সহ জনপ্রতিনিধিরা জনগণের সেবক বা খাদেমের দায়িত্ব পালন করবেন। এ জন্য রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার। তিনি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, অপনারা ছাত্রদের আর কষ্ট দেবেন না। কারণ, আপনারা কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা শ্রেণি দ্বারা নির্বাচিত নন বরং ছাত্ররাই আপনাদের মনোনীত করেছেন। তাই আর অপেক্ষা না করে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন।

মহানগরী আমীর বলেন, আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন হলে পুরোপুরি বিজয় এখনো আসেনি বরং আমাদেরকে আরো দীর্ঘ পথ পারি দিতে হবে। এজন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন হবে। কিন্তু হতাশ হওয়া যাবে না। কারণ, ফ্যাসীবাদের প্রতিভূরা এখনো রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সক্রিয় থেকে দেশ ও জাতিস্বত্তাবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই এদেরকে শুধু নিষিদ্ধ করলেই চলবে না বরং অবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে অপরাধীদের ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আগামী ৫ আগস্টের আগেই পতিত স্বৈরাচারের দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় স্বৈরাচার নতুন করে মাথাচাঁড়া দিতে পারে।

 

 

 

 

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইন্দুরকানীতে টিসিবির পন্য আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন

২৪ ঘন্টার মধ্যেই আওয়ামী ফ্যাসীবাদীদের নিষিদ্ধ করতে হবে -মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

আপডেট সময় ১২:১৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘সাবাইকে দেখা শেষ, জামায়াতের নেতৃত্বে আল কুরআনের বাংলাদেশ’ স্লোগানকে উচ্চকিত করে দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে যুব সমাজকে ময়দানে আপোষহীন ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

 

 

তিনি আজ ৯ মে সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর রূপনগরের কড়ইতলা মোড়ের ইস্টার্ন হাউজিং-এ সহযোগি সদস্য সংগ্রহ উপলক্ষ্যে রূপনগর থানা জামায়াত আয়োজিত এক যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর আবু হানিফের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও ঢাকা-১৬ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী কর্ণেল (অব:) এম আব্দুল বাতেন ,মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দীন, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল প্রার্থী হাসানুল বান্না চপল।

 

রূপনগরে জামায়াতের যুব সমাবেশ
রূপনগরে জামায়াতের যুব সমাবেশ

 

সেলিম উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের অপশাসন ও দুঃশাসনে আওয়ামী ফ্যাসীবাদীরা দেশকে জাহান্নামে পরিণত করেছে। যুব সমাজকে আদর্শ নাগরিকে পরিণত করার পরিবর্তে তাদের হাতে মাদক ও অস্ত্র তুলে দিয়ে নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে দেশের যুব সমাজকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আদর্শ নাগরিক এবং কর্মক্ষম করে তোলা হবে। জনগণ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় পাঠালে আমরা দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশ থেকে বেকারত্ব দূর করার জন্য শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার আগেই শিক্ষার্থীদের খণ্ডকালীন চাকুরীর ব্যবস্থা করা হবে। একই সাথে শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার পর তাদেরকে মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ি স্থায়ি চাকুরীর ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশে কর্মরত মেধাবীদের দেশে ফিরিয়ে এনে উচ্চ বেতনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। যারা স্বল্প শিক্ষিত তাদেরকে কৃষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায় নিয়োজিত করা হবে। তাদের বেতনও হবে খুবই সম্মানজনক। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে এদেশে কেউ কর্মহীন থাকবে না।

তিনি বলেন, আমরা দেশকে এমন একটি গণমুখী ও কল্যাণকামী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই, যে রাষ্ট্রে সকল শ্রেণির মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। দেশে এমন শ্রমনীতি চালু করা হবে যে, শ্রমিকরা তাদের নায্য অধিকারের নিশ্চয়তা পাবেন। মালিক পক্ষই শ্রমিকদের চিকিৎসা সহ আপদকালীন সময়ে সকল সমস্যার সমাধান দেবেন। সন্তানদের শিক্ষার সার্বিক ব্যয় নির্বাহ করবেন। অন্যথায় রাষ্ট্রই এসব সেবা প্রদান করবে। জামায়াত ক্ষমতায় আসলে সকল নাগরিকের জন্য হেলথকার্ড দেওয়া হবে। যাতে তারা স্বপ্লমূল্যে বা বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তাদের বেতন হবে সর্বনিম্ন পঞ্চাশ হাজার টাকা। তাদের কোন কোচিং সেন্টার খোলার প্রয়োজন হবে না। দেশের সকল নাগরিক যাতে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করে নিজেদের মর্জিমত নেতা নির্বাচন করতে পারেন সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমপি সহ জনপ্রতিনিধিরা জনগণের সেবক বা খাদেমের দায়িত্ব পালন করবেন। এ জন্য রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার। তিনি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, অপনারা ছাত্রদের আর কষ্ট দেবেন না। কারণ, আপনারা কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা শ্রেণি দ্বারা নির্বাচিত নন বরং ছাত্ররাই আপনাদের মনোনীত করেছেন। তাই আর অপেক্ষা না করে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন।

মহানগরী আমীর বলেন, আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন হলে পুরোপুরি বিজয় এখনো আসেনি বরং আমাদেরকে আরো দীর্ঘ পথ পারি দিতে হবে। এজন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন হবে। কিন্তু হতাশ হওয়া যাবে না। কারণ, ফ্যাসীবাদের প্রতিভূরা এখনো রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে সক্রিয় থেকে দেশ ও জাতিস্বত্তাবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই এদেরকে শুধু নিষিদ্ধ করলেই চলবে না বরং অবিলম্বে বিচারের আওতায় এনে অপরাধীদের ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আগামী ৫ আগস্টের আগেই পতিত স্বৈরাচারের দৃশ্যমান বিচার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় স্বৈরাচার নতুন করে মাথাচাঁড়া দিতে পারে।