তারাগঞ্জ উপজেলার ভীমপুর শালবাড়ি মাদ্রাসার মহাপরিচালক মুফতি আবুল হোসেন এর সভাপতিত্বে ও হাফেজ মাওলানা মো. শফিকুর রহমান সাইফির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মুফতি হাবিবুর রহমান, আইনজীবী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক  অ্যাডভোকেট গোলাম রসুল বকুল,পৌর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক আজিজুল হক। দামোদরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু জোবায়েদ রাজা,  মুফতি মামুনুর রশিদ, হাফেজ মিনহাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জেলা ও উপজেলার নেতারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্ব মানবতার শত্রু ইসরাইল বিনা দোষে বিনা অপরাধে ফিলিস্তিনের  গাজাসহ সমস্ত দেশের মানচিত্র  মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। তারা ছোট শিশু বয়োবৃদ্ধ নারী পুরুষ এবং উদীয়মান যুবকদের ধরে ধরে প্রকাশ্যে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ইসরাইলের এই অমানবিক হত্যাকাণ্ডে প্রতিবেশী মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম রাষ্ট্রগুলো কখনো টু শব্দ করেনি। ওআইসি জাতিসংঘের পক্ষ থেকেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ কারণেই ইসরাইল ভয়ঙ্কর রূপে আবির্ভূত হয়ে মুসলমানদের আদিস্থল আমাদের প্রথম কেবলা থেকে শুরু করে মুসলমানদের সকল ঐতিহ্য মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে তারা মদপান করে উল্লাস করছে। প্রতিদিন ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় স্কুল কলেজ মাদ্রাসা এমনকি হাসপাতাল ও মসজিদগুলো রেহাই পাচ্ছে না। মুসলিম বিশ্বকে একত্রিত হয়ে আজই ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের নিরাপদ আশ্রয় ফিরিয়ে দিতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, ইজরায়েলের দেখা পথে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার ঠুনকো অজুহাতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন চালাচ্ছে। যে ভারত মুসলমানের হাত দিয়ে প্রতিষ্ঠিত সেই ভারতেই আজকে মুসলমানরা আজ নির্যাতিত হচ্ছে। ভারতের এই সংখ্যালঘু মুসলমানদের উপর অমানুষিক নির্যাতন বাড়িঘর ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেয়া এবং ইসরাইলি বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আজ গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষও ক্ষেপে উঠেছে। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে বাংলাদেশের মানুষ আর বসে থাকবে না। তারাও বর্বর ইসরায়েল এবং ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে দ্বিধাবোধ করবে না বলে বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

এর আগে, একটি বিক্ষোভ মিছিল শেখেরহাট হাইস্কুল মাঠ থেকে শুরু করে চেংমারি ও গবর গাড়ি হয়ে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল প্রদক্ষিণ শেষে হাই স্থল মাঠে এসে শেষ হয়। মিছিলে বদরগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি গ্রামের দলমত নির্বিশেষে কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করেন।