মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু, বদলগাছী উপজেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর বদলগাছীতে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। উৎসবমুখর পরিবেশে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয় বাঙালির প্রাণের এই ঐতিহ্যবাহী উৎসব। উৎসবের মূল আয়োজনে ছিল বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা, পান্তা-ভোজন, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কৃষি মেলা এবং গ্রামীণ খেলাধুলা।
শুভ নববর্ষের সকালেই শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। স্থানীয় সাধারণ গ্রন্থাগার চত্বর থেকে বের হওয়া এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ। বর্ণিল পোশাকে রঙিন মুখোশ, ব্যানার, ফেস্টুন ও দেশীয় বাদ্যযন্ত্রের সুরে মুখর ছিল পুরো এলাকা।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বদলগাছী সাধারণ গ্রন্থাগারের সভাপতি এস. এম. জাকিতুল্লাহ। সঞ্চালনা করেন, মাইলস্টোন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু জর গিফারি।
আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত জাহান ছনি।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এ ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোসাঃ আতিয়া খাতুন, বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ জাহান আলী, উপজেলা কৃষি অফিসার শাবাব ফারহান এবং সোনালী ব্যাংকের বদলগাছী শাখা ব্যবস্থাপক।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বৈশাখী সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক বিশ্ব প্রসাথ দেশমুখ, বদলগাছী মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ ফেরদৌস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ সারোয়ার হোসেন অপু সহ আরও অনেকে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীরা পরিবেশন করেন, বৈশাখী গান, নৃত্য ও আবৃত্তি। কৃষি মেলায় প্রদর্শিত হয় স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত ফসল, কৃষিযন্ত্রপাতি ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি। এতে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকরা।
দিনব্যাপী আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য ছিল ঐতিহ্যবাহী পান্তা-ভাত ভোজনের আয়োজন। এছাড়াও শিশু-কিশোরদের জন্য ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কুইজ ও গ্রামীণ খেলা।
আয়োজকরা জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে বৈশাখী আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজন বদলগাছীর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রাকে আরও এগিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন।