কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।
পিরোজপুরের কাউখালীতে উপজেলার সন্ধ্যা নদীর নতুন করে ত্রিমুখী ভাঙনের মুখে পড়েছে আমরাজুড়ী ইউনিয়নের স্বরূপকাঠী-কাউখালী সড়ক সংযোগকারী ফেরীঘাট বাজার। ইতিমধ্যে বাজারের কমপক্ষে ১৫/২০টি বিভিন্ন প্রকারের দোকান গ্রাস করছে রাক্ষুসে নদী সন্ধ্যা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ার ফলে আরো অনেক দোকান, বাড়িঘর, রাস্তা, মসজিদসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনের কারণে বহু বার ফেরিঘাট স্থানান্তর করা হয়েছে। এই ফেরিঘাট থেকে পিরোজপুর থেকে গড়িয়ার পাড় হয়ে বরিশাল-ঢাকা-বানারিপাড়া-নেছারা বাদ-কাউখালী-পিরোজপুর-বাগেরহাট সহ খুলনা যাতায়াত করে।
ফেরীঘাট বাজারের ব্যবসায়ী ইকবাল তালুকদার ও ফেরীঘাট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা গাজী আনোয়ার হোসেন সহ ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, তিন নদীর মোহনায় আমরাজুড়ী ফেরীঘাট হওয়ায় এ ভাঙনের মুখে পড়ছে এলাকাবাসী। স্থায়ী বাধ নির্মানে কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় রোধ করা যাচ্ছেনা ভাঙন। করুন দৃষ্টিতে নিজেদের সর্বনাশ দেখছে অসহায় ভুক্তভোগীরা।
অবিলম্বে যদি স্থায়ী ও টেকসই বেরিবাঁধ না করা হয় তাহলে আমরাজুড়ী ইউনিয়নের বিরাট একটি অংশসহ কাউখালী-শেখেরহাট সংযোগ সড়কটি বিলীন হয়ে যাবে। কয়েক দফা জিও ব্যাগ ফালাবার পরেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। বর্তমানে ফেরিঘাট বাজারটি খুবই ভয়াবহ ঝুকির মধ্যে রয়েছে। এলাকাবাসী নিজেরা বহুবার নিজেদের চাঁদার মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন রোধের পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি।
এলাকাবাসী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বহুবার জানানো সত্বেও তারা জোরালো কোনো ভূমিকা নিচ্ছে না। ইতিমধ্যে ফেরিঘাট জামে মসজিদটি নদীতে ভেঙে যাওয়ার কারণে এলাকার মুসল্লীরা নামাজ পড়তে অনেক দূরে যেতে হচ্ছে।ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়া হলে বাজার ও ফেরীঘাট রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
কাউখালী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আহসান কবির ও উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এইচএম দ্বীন মোহাম্মদ ভাঙ্গন এলাকার ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীদের সমবেদনা জানিয়ে বলেন, এখানে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা খুবই গভীর। এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে যেকোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, সরেজমিনে আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছে।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, বিষয়টা আমাদের নজরে আছে। বরাদ্দ পেলেই আমরা কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।