প্রতিনিধি ফেনী
ফেনীতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি, বিশ্বের ২শ কোটি মুসলিম ঐক্য হওয়ার আহবান
গাজায় দখলদার ইসরায়েলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে ফেনীতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচির আদলে এতে ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিচার দাবিসহ ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে মিজান ময়দানে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট ফেনী’ প্ল্যাটফর্মের আয়োজনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে একটি প্রতিবাদ মিছিল শহরের ট্রাংক রোড, শহীদ শহিদুল্লা কায়সার সড়কসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মহিপাল গিয়ে শেষ হয়। এতে জাতীয়তাবাদী বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, এনসিপি, নাগরিক পার্টি, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
জনসাধারণ থেকে জানা যায়, এটি এখন পর্যন্ত ফেনীর ইতিহাসে ফিলিস্তিনের পক্ষে সব থেকে বড় জমায়েত। যেখানে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে সকল রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। সমাবেশ থেকে ইসরায়েলি সকল পণ্য বয়কট করার প্রতিজ্ঞা করা হয়েছে।
কর্মসূচিতে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুফতি আব্দুল হান্নান বলেন, এতো গণহত্যার পরও জাতিসংঘ চুপ রয়েছে। ইসরায়েলের নেতানিয়াহুসহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে হবে। আগামীর সকল আন্দোলন সংগ্রামে মুসলিম জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, আওয়ামী লীগ আগে টুপি দাঁড়িওয়ালা দেখলেই অপমান করেছে। বহু আলেমকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। মক্তব, মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তারাই ইসরায়েলের বংশধর। এদেরকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। গাজা রক্ষার আগে মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের ঈমান ও আকিদার অভাব রয়েছে। ফিলিস্তিন রক্ষায় সকল মুসলমানদের একসঙ্গে থাকতে হবে।
ফেনী জহিরিয়া মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি ইলিয়াস বিন নাজেম বলেন, মেরুদণ্ডহীন জাতিসংঘ আমরা চাই না। মুসলিম জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আবেদন জাতিসংঘে অর্থ পাঠানো বন্ধ করা হোক। নেতানিয়াহুর ছবিতে নয়, বরং তাকে সরাসরি জুতা মারার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
এর আগে, এদিন কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকে ফেনীর মিজান ময়দানে জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হাজার হাজার জনতা এসে জড়ো হন।